পৃথিবীতে এসে পড়ল ৪০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরের আলো, রহস্য উন্মোচন বাঙালি বিজ্ঞানীর
নতুন ছায়াপথের খোঁজ পেলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীদের একটি দল। এটি পৃথিবী থেকে ৪০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।
মহাকাশে নতুন ছায়াপথের খোঁজ পেলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীদের একটি দল। এটি পৃথিবী থেকে ৪০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। আমাদের মিল্কি ওয়ে ছায়াপথ থেকে এটি অনেক দূরে ছায়াপথের একটি ক্লাস্টার। এই মহাঝাঁককেই খুঁজে বের করেছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। মহাকাশে এতদূরে এতবড় ছায়াপথের সন্ধান এই প্রথম বিজ্ঞানীরা পেলেন বলে জানা গিয়েছে। তাও আবার ভারতীয় বিজ্ঞানীদের দল এটিকে খুঁজে পাওয়ায় উৎসাহের মাত্র আরও বেড়ে গিয়েছে।
জানলে খুশি হবেন, এই বিজ্ঞানীদের দলে রয়েছেন দুজন কৃতী বাঙালি বিজ্ঞানী। একজন অধ্যাপক সোমক রায়চৌধুরী ও অন্যজন অধ্যাপক জয়দীপ বাগচী। দুজনেই পুনের 'ইন্টার ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স'-এ গবেষণা করেন। সোমক এই মুহূর্তে এই সংস্থার ডিরেক্টর। তাঁর নেতৃত্বেই একটি দল এই নতুন ছায়াপথ আবিষ্কার করেছে।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি এই সরস্বতী ছায়াপথের ক্লাস্টার থেকে আলো এসে পৃথিবীতে পৌঁছয়। তা বিজ্ঞানীদের নজরে আসে। তখনই উদ্ধার করা হয় এই ছায়াপথকে। অর্থাৎ আজ থেকে ৪০০ কোটি আলোকবর্ষ আগে যে আলোকরশ্মি সরস্বতী ছায়াপথ থেকে পৃথিবীর দিকে যাত্রা করেছিল তা এখন পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছে।
এই ছায়াপথের ক্লাস্টারে মোট ৪২টি গোষ্ঠী রয়েছে। যার এক একটিতে রয়েছে ১০ হাজারে বেশি ছায়াপথ। এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণার নতুন দিক খুলে দিল বলে মনে করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
এতদিনের গবেষণায় মহাকাশে যত ছায়াপথের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা তার মধ্যে সরস্বতী ছায়াপথই সবচেয়ে দূরে অবস্থিত। বিজ্ঞানীদের দাবি, ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আগে 'বিগ ব্যাং' হয় প্রায় ১৪শো কোটি বছর আগে। আর এই সরস্বতী ছায়াপথের জন্ম হয়েছে তার ১ কোটি বছর পর। অর্থাৎ ঠিক আজ থেকে ৪০০ কোটি আলোকবর্ষ আগে। সেই আলোই দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে পৃথিবীতে পৌঁছেছে।