অনলাইন ব্যাঙ্কিং লেনদেনে জালিয়াতদের খপ্পরে পড়লে যে যে বিষয়গুলি করবেন
অনলাইন ব্যাঙ্কিং-এ জালিয়াতদের খপ্পর থেকে গ্রাহকদের বাঁচাতে নির্দেশিকায় বদল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের, ৯০ দিনের মধ্যে গ্রাহকের অভিযোগের নিষ্পত্তির নির্দেশ,গ্রাহককে অভিযোগ জানাতে হবে ৭ টি কাজের দিনের মধ্যে
অনলাইন ব্যাঙ্কিং ট্রানজাকশনে জালিয়াতদের খপ্পরে পড়লে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার আগেকার নির্দেশিকায় কিছুটা বদল করা হয়েছে। গ্রাহকের দায়বদ্ধতা নিয়েও বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।
একবার দেখে নেওয়া যাক নির্দেশিকায় কী আছে
১) ইলেকট্রনিক ব্যাঙ্কিং ট্রানজাকশনের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলিকে গ্রাহকদের এসএমএস এবং ই-মেল সতর্ক করার নির্দেশকে আবশ্যিক করা হয়েছে।
২) আনঅথোরাইজড ই-ব্যাঙ্কিং ট্রানজাকশনের ক্ষেত্রে ৩ দিনের মধ্যে জানালে ১০ দিনের মধ্যে সেই টাকা অ্যাকাউন্টে দিতে বাধ্য় থাকবে ব্যাঙ্কগুলি।
৩) তৃতীয় পক্ষের প্রতারণা ব্যাঙ্কে জানানোর ক্ষেত্রে ৪ থেকে ৭ টি কাজের দিনের দেরি হলে, গ্রাহককেই সর্বোচ্চ ২৫ হাজার পর্যন্ত ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে। তবে সেটা নির্ভর করছে প্রতারণার পরিমাণ, গিফট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ডের ওপর।
৪) বেসিক সেভিংস ব্যাঙ্ক ডিপোজিটের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দায়ভার নিতে হবে গ্রাহককে।
৫) ব্য়াঙ্কে খবর জানানোর পরও কোনও আনঅথোরাইজড লেনদেন হতে তার দায় বর্তাবে ব্য়াঙ্কগুলির ওপর।
৬) প্রতারণার খবর ব্যাঙ্কে জানাতে ৭ টি কাজের দিনের বেশি সময় লাগলে দায়ভার নির্ভর করবে, ব্য়াঙ্কটির বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর।
৭) রিজার্ভ ব্যাঙ্ক চায়, গ্রাহক প্রতারণার কথা ব্যাঙ্কে জানাতে ৭ দিনের বেশি যেন না লাগে।
৮) প্রতারণার ক্ষতিপূরণের আবেদনের নিষ্পত্রি ৯০ দিনের মধ্য়ে করতে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
৯) ডেবিট কার্ড/ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে গ্রাহক যেন সুদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হন, সেটাও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে গ্রাহকের কাঁধে যাতে অতিরিক্ত কোনও সুদ না চাপানো হয় সেই দিকটিও উল্লেখ করা হয়েছে।