"রাহুল গান্ধী এখনও অপরিণত, ওনাকে আর একটু সময় দিন" : কংগ্রেস নেত্রী শীলা দীক্ষিত
এক ইংরেজি দৈনিকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে শীলা দীক্ষিত জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধী এখনও অপরিণত, ওনাকে আর একটু সময় দেওয়া উচিত। আর কি বলেছেন তিনি তা জেনে নেওয়া যাক।
নয়াদিল্লি, ২৪ ফেব্রুয়ারি : এবার নিজের দলের বর্ষীয়ান নেত্রী তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের মন্তব্যেই চূড়ান্ত বিড়ম্বনায় পড়লেন কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী। এক ইংরেজি দৈনিকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে শীলা দীক্ষিত জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধী এখনও অপরিণত, ওনাকে আর একটু সময় দেওয়া উচিত।
নিজের রাজনৈতিক জীবন, কংগ্রেসের রাজনৈতিক ভবিষ্যত, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস-সমাজবাদী পার্টি জোট, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর রাজনীতিতে আসা, রাহুল গান্ধীর সভাপতি হিসাবে দায়িত্বভার নেওয়া, এই সমস্ত প্রসঙ্গে শীলা দীক্ষিতকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি এসব প্রশ্নের কি উত্তর দিয়েছেন, জেনে নেওয়া যাক।
শীলাকে বাদ দিয়ে প্রচার!
একইসঙ্গে শীলা জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে তিনি এই মুহূর্তে প্রচার করছেন না। তবে তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন সেই কথাও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি প্রচার করতে পারেননি। তবে খুব শীঘ্রই বেনারসে তাঁকে প্রচারে দেখা যাবে। প্রসঙ্গত, শীলা দীক্ষিতকে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে কংগ্রেস প্রচারে নেমেছিল।
রাহুল প্রসঙ্গে
রাহুল গান্ধী সব জায়গায় প্রচারের কোনও ত্রুটি রাখছেন না। তা সত্ত্বেও সব জায়গায় দলকে হারের মুখ দেখতে হয়েছে। এই বিষয়ে শীলার মত, আমরা বদলের মধ্যে দিয়ে এগোচ্ছি। এখনকার রাজনীতির ভাষা বদলে গিয়েছে। এসবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হচ্ছে কংগ্রেসকেও। মনে রাখতে হবে, রাহুলের এখনও পরিপক্ক হওয়ার বয়স হয়নি। ও এখনও অপরিত। তাই রাহুলকে আর একটু সময় দেওয়া উচিত।
কংগ্রেস-সপা জোট প্রসঙ্গে
প্রাথমিক স্তরে কিছু সমস্যা ছিল। তবে এই জোটকে স্বাগত। উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ সকলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। মায়াবতীর সেই জোর আর নেই। বিজেপির উত্তরপ্রদেশে কোনও নেতা নেই। প্রধানমন্ত্রী ঘনঘন সেখানে জনসভা করছেন। তবে মানুষ জানেন, তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হবেন না। এদিকে রাহুল-অখিলেশ জোটের ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে।
রাহুলের কংগ্রেস সভাপতি হওয়া প্রসঙ্গে
হয়ত এবছরই রাহুলকে সভাপতি করে দেওয়া হবে। দলের নেতৃত্বে বদল প্রয়োজন। দশকের পর দশক ধরে একই নেতৃত্ব চলে আসছে। নির্বাচন শেষ হলেই হয়ত এই নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে। আর প্রিয়াঙ্কা গান্ধী অত্যন্ত বুদ্ধিমতী নেত্রী। উত্তরপ্রদেশে কং-সপা জোট গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। রাহুলের মতো প্রিয়াঙ্কারও দলের দায়িত্ব নেওয়া উচিত।
নিজের অবসর প্রসঙ্গে
দল আমাকে যে কাজ করতে বলবে তাই করব। আমি নিজে থেকে কিছু চাইব না। বহুদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছি। অনেক কিছু পেয়েছি। আমার কোনও লোভ নেই। আমি সন্তুষ্ট। আমি এখনই অবসর নিচ্ছি না। দল কোনও দায়িত্ব দিলে তা গ্রহণ করব আমি।