For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

'সুট-বুটের সরকার' বলে বারবার কাকে খোঁটা দেন রাহুল গান্ধী? নিজের দেশের মানুষকেই নয়তো?

  • By SHUBHAM GHOSH
  • |
Google Oneindia Bengali News

এখনও পর্যন্ত বিশেষ কিছু করে দেখাতে পারেননি উনি। শেষ নির্বাচনী সাফল্য বলতে সেই ২০০৯ সালের লোকসভা ভোট উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের দ্বিতীয় স্থান অর্জন। তারপর বেশ কিছু নির্বাচন গিয়েছে কিন্তু প্রায় ১৩১ বছর বয়স ছুঁতে চলা কংগ্রেস আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছিল ৪৪-এ যা ওনার নিজের বয়েসের চেয়েও কম। রাজ্যস্তরেও কংগ্রেসের অস্তিত্ব রীতিমতো সংকটে। আর পাঁচ-দশ বছর পরে হয়তো দলটি থাকবে কিনা সে প্রশ্নও তুলতে শুরু করেছেন কেউ কেউ। আর এই ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে রাহুল গান্ধী তৈরী হচ্ছেন ফের একটি উত্তরপ্রদেশ যুদ্ধের জন্য।

ছেচল্লিশ-বছর বয়সী রাহুল আপাতত কিছু করে দেখাতে পারেননি যা দেখে মনে হয় আগামী বছর উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে ওঁর দল দারুন কিছু একটা করে দেখাতে পারবে। এমনকি, কংগ্রেসের অতি বড় সমর্থককে জিজ্ঞেস করলেও বোধহয় আশা জাগানো কোনও সাড়া পাওয়া যাবে না। অবস্থা এতটাই সঙ্গীন যে কংগ্রেস যদি ২০১২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পাওয়া মোটে ২৮টি আসনও (উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার মোট আসন সংখ্যা ৪০৩) ছুঁতে পারে এবার, তাহলেই ধরা হবে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব কাজ করছে।

'সুট-বুটের সরকার' বলে বারবার কাকে খোঁটা দেন রাহুল গাঁধী? নিজের দলের ভোটারকেই নয়তো?

কেন রাহুল পারেন না?

কিন্তু রাহুল কেন একবারও পেরে উঠছেন না? নরেন্দ্র মোদি তো বটেই, রাহুলের নেতৃত্ত্বাধীনে কংগ্রেস কোনও আঞ্চলিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেও দাঁড়াতে পারছে না আজকাল। এমনকি, যে-সমস্ত রাজ্যে কংগ্রেস একটানা বহুদিন রাজত্ব করেছে, সেখানেও তারা হোঁচট খেয়ে পড়ছে। দোষ কি রাহুলের একার? নাকি দল হিসেবেই কংগ্রেস প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে?

উত্তরটা সব মিলিয়েই। রাহুল গান্ধীর সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে উনি বাস্তবিক অবস্থার কথা কম ভাবেন আর ইতিহাসের প্রতি বেশি আস্থা রাখেন। নরেন্দ্র মোদির মোকাবিলায় রাহুলকে বারবার দেখা যায় হয় হিন্দুত্ববাদ অথবা "বড়লোকের সরকার" নিয়ে খোঁটা দিতে। কিন্তু খোঁটা দিয়ে কদ্দূর কাজ হবে যদি না কোন বিকল্প পথের সন্ধান না দিতে পারেন তিনি?

রাহুল প্রায়শই মোদি সরকারকে "সুট-বুট কি সরকার" বলে কটাক্ষ করেন। কিন্তু উনি কি একবারও ভেবে দেখেন যে সমকালীন ভারতে সুট-বুট পড়ার স্বপ্ন এমন কিছু অলীক নয়। আজকের উদার অর্থনীতির দুনিয়ায় একজন কৃষকের সন্তানও সুট-বুট পরে অফিস যাওয়ার স্বপ্ন শুধু দেখতেই পারেন না, সেটা বাস্তবে করে দেখাতেও পারেন। তবে এই কটাক্ষের মানে কী? কাকেই বা রাহুল কটাক্ষ করেন? ভাবনাটার মধ্যে তাঁর প্রয়াত ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির একটা পরিচয় আছে বটে, কিন্তু সেই রাজনীতি আজ আর কতটা চলনসই?

কংগ্রেসের আসল লক্ষ্য কে বা কী?

উত্তরপ্রদেশের ভোটার আগে রাহুলের রণনীতিও বেশ দিশাহীন লাগে। এই তিনি অযোধ্যায় পুজো দিচ্ছেন তো এই মাদ্রাসায় গিয়ে মধ্যাহ্নভোজন সারছেন। আবার ব্রাহ্মণ সমাজ পুজোয় যোগ দিচ্ছেন তো আবার দলিত পরিবারের সঙ্গেও খাবার খাচ্ছেন। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে: কংগ্রেসের আসল লক্ষ্য কে বা কী? হয়তো রাহুল ভাবছেন এটা এখনও তাঁর প্রপিতামহ জওহরলাল বা মাতামহ ইন্দিরার সময়কার ভারত। কিন্তু ওই যে আগেই বললাম, বাস্তবিক চরিত্র অনুধাবন না করে রাজনীতি করতে এসে রাহুল কেবলই হোঁচট খাচ্ছেন।

উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি যে আজ বহুবিভক্ত এবং সেখানে এক প্রান্তিক খেলোয়াড় হিসেবে কংগ্রেসের যে সর্বাগ্রে প্রয়োজন একটি গ্রহণযোগ্য আঞ্চলিক নেতৃত্ব, সেটাই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব আজও বুঝে উঠতে পারলেন না। ওনারা হয়তো ভাবেন রায় বারেলি আর আমেথির মধ্যেই উত্তরপ্রদেশ সীমাবদ্ধ। আজকের দিনে বিজেপি বা অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলি যেভাবে তাদের নির্বাচনী পাশার ঘুঁটি সাজায় কোনও এক বিশেষ ভোটব্যাঙ্ককে লক্ষ্য রেখে, কংগ্রেস সেটা করতেই ব্যর্থ। এই দলটির প্রধান চিন্তা কোন গাঁধী তাদের মুখ হবে? এই ইন্দিরা গাঁধী-কেন্দ্রিক রাজনৈতিক ভাবনাচিন্তাই কংগ্রেসের আজকের প্রধান অন্তরায়।

মোদী যেভাবে উঠেছেন, রাহুল সেভাবে 'নামতে' পারেননি

আর এদিক থেকে, নরেন্দ্র মোদি আর রাহুল গান্ধীর মধ্যে একটা বড় পার্থক্য যাচ্ছে। মোদি যেমন খুব নিচ থেকে শুরু করেও কঠোর পরিশ্রম করে আজ উপরে উঠেছেন, রাহুল সেই একইরকম পারদর্শিতা দেখিয়ে কিন্তু নিজেকে মানুষের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারেননি। গান্ধী পরিবারের নিরাপত্তার বেড়াজালের মধ্যে থেকে ভারত যে কখন বদলে গিয়েছে, তা রাহুল বা তাঁর মা সোনিয়া জানতেও পারেননি। তাই আজ ওনাদের 'তোতাপাখির মতো' মুখস্থ করা রাজনীতির পাঠ সত্যিকারের কোনও কাজে আসে না।

মহাত্মা গান্ধী হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাহুল-আরএসএস-এর নয়া বিবাদ সম্পূর্ণই মূল্যহীন। আজকের ভারতের বহুরকমের সমস্যা। কিন্তু রাহুলকে সেসব নিয়ে কোনও কথা বলতে শোনা যায় না। নতুন প্রজন্মের সঙ্গে আলাপচারিতা করতে গিয়েও ওঁর গলায় সেই একই মোদি-বিরোধী ক্ষোভের স্বর। মোদি ছাড়া কি আর দেশে কোনও প্রসঙ্গ নেই উত্থাপন করার মতো? রাহুল গান্ধী যদি সত্যিই যুবনেতা হয়ে থাকেন, তবে উনি কেন নতুন ভাবনাচিন্তা তুলে ধরেন না নতুন প্রজন্মের সঙ্গে কথাবার্তার মাধ্যমে? নাকি আদৌ জানেনই না?

শশীর থেকে শিখতে পারেন রাহুল

শশী থারুরের থেকে রাহুল এব্যাপারে কিছু শিখতে পারেন। থারুর তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অনেকটা অংশ জুড়েই কিন্তু আমজনতা, বিশেষ করে কমবয়সী ছেলেমেয়েদের সঙ্গে কাটান, নানা প্রসঙ্গে মতামত দেন- কিন্তু তাঁর দলেরই প্রধান কান্ডারি হয়েও রাহুল গাঁধীকে তাঁর সিকিভাগ উৎসাহও দেখতে দেখা যায় না।

কে কংগ্রেসের এই স্থবিরতা থেকে তাকে উদ্ধার করবে তা ভগবানই জানেন কিন্তু ২০১৭-র উত্তরপ্রদেশে যদি রাহুল গান্ধী বক্সিং রিং-এর বাইরে আরও একবার ছিটকে পড়েন, তাহলে কিন্তু ভবিষ্যৎ বেশ অন্ধকার।

English summary
Rahul Gandhi’s politics ahead of UP election 2017 seems to lack a direction
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X