ট্রাম্পের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়াতে পাককে পরামর্শ মুশারফের
প্রাক্তন পাকিস্তানি রাষ্ট্রপতির মতে ট্রাম্প দক্ষিণ এশিয়া সম্পর্কে সড়গড় হওয়ার আগেই ইসলামাবাদের উচিত তাঁর সঙ্গে মিত্রতা করে ভারতকে মোকাবিলা করা
৯/১১-র সন্ত্রাসবাদী হানার সময়ে তিনি নিজে ছিলেন পাকিস্তানের শাসক। আর আল কায়েদার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাঘাত করলে তাঁকে নিজেকে কম চাপ হজম করতে হয়নি। প্রাক্তন পাকিস্তানি সেনানায়ক এবং রাষ্ট্রপতি পারভেজ মুশারফ তার মধ্যেও আন্তর্জাতিক মহলে নিজের দেশের পক্ষে অনেকটাই সমর্থন হাসিল করেছিলেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শরিক হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে।
আর এবার ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পরে সেই মুশারফ জানালেন ইসলামাবাদের কাছে এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ নতুন মার্কিন প্রশাসনের কাছাকাছি যাওয়ার। ব্রিটেনে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা মুশারফের মতে ট্রাম্প যেহেতু দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি সম্পর্কে যথেষ্ট অবহিত নন এই মুহূর্তে, তাই তাঁর প্রশাসনের কাছাকাছি থেকে ভারতের মোকাবিলা করার এখন বড় সুযোগ পাকিস্তানের বর্তমান শাসক নওয়াজ শরিফের কাছে, জানিয়েছে পিটিআই।
দুনিয়া নিউজকে একটি সাক্ষাৎকারে মুশারফ বলেন ভারত ভবিষ্যতে নিজেকে একটি বড় অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে দেখতে চায় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নিজের প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়িয়ে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে বদ্ধপরিকর।
মার্কিন রাজনীতিতে প্রভাবশালী ভারতীয় লবির মোকাবিলা করার জন্য পাকিস্তানকেও পাল্টা কৌশল সাজানোর পরামর্শ দেন মুশারফ যিনি ১৯৯৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শরিফকে উৎখাত করে ক্ষমতায় এসে প্রায় এক দশক পাকিস্তানি রাজনীতিতে ছড়ি ঘোরান।
২০০৭ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হত্যাকাণ্ডের পরেই মুশারফ তাঁর দেশে একঘরে হতে শুরু করেন এবং ২০০৮ সালের মাঝামাঝি বিরোধীদের চাপে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান এবং নভেম্বর লন্ডন চলে যান। ২০১৩ সালের পাকিস্তানি নির্বাচনে ফিরে আসার একটা চেষ্টা করলেও সফল হননি।
সম্প্রতি
একটি
সাক্ষাৎকারে
শরিফ
সরকারকে
দুর্নীতির
অভিযোগ
তুলে
একহাত
নেন
মুশারফ।
পাকিস্তানে
অসামরিক
এবং
সামরিক
শক্তির
মধ্যে
ক্রমবর্ধমান
সংঘাতের
প্রসঙ্গে
তিনি
বলেন
ভারত
তাঁর
দেশের
এই
অভ্যন্তরীণ
ফাটলের
সুযোগ
নিয়েছে।
পাকিস্তানের বিদায়ী সেনা প্রধান জেনারেল রাহিল শরিফের প্রসঙ্গে মুশারফ বলেন তিনি রাহিলের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে কারণ সেনানায়ক হিসেবে তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয়।
ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতিত্বে পাক-মার্কিন সম্পর্কে বিশেষ উন্নতি হবে না বলে ইতিমধ্যেই মত দিয়েছে বহু বিশেষজ্ঞই। নওয়াজ শরিফের সরকার কি তাঁদের সকলের মধ্যে মুশারফের পরামর্শকে গ্রহণযোগ্য মনে করবেন?