কয়েক মিনিটের সাক্ষাতে পুতিনকে বার্তা দিলেন ওবামা; কিন্তু কিছু কি এসে গেল তাঁর?
আপেক শীর্ষসম্মেলনে কয়েক মুহূর্তের জন্য কথা হল ওবামা-পুতিনের কিনতু মার্কিন রাষ্ট্রপতির সিরিয়া বার্তা কি আদৌ কানে নিলেন রুশ নেতা?
গত চার বছরে দুই নেতার মধ্যে সম্পর্ক যে খুব ভালো গিয়েছে তা বলা যাবে না। ক্রাইমিয়া, ইউক্রেন, সিরিয়া, নেটো ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়েই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে টানাপড়েন দেখা গিয়েছে। এমনকী, ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এবছরের মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে প্রভাবিত করার।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়তে যে রাশিয়া অখুশি নয়, আন্দাজ করেছেন অনেক বিশেষজ্ঞই। তাঁদের আশঙ্কা ছিল ট্রাম্পের প্রতিপক্ষ হিলারি ক্লিন্টন যদি এই নির্বাচনে জিততেন তাহলে রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে ফের ঠান্ডা যুদ্ধ চাঙ্গা হয়ে উঠত, কারণ পুতিন এবং হিলারির মধ্যে আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক।
তা
সেই
ওবামা
প্রশাসনের
শেষবেলায়
পুতিনের
সঙ্গে
বিদায়ী
মার্কিন
রাষ্ট্রপতির
মিনিট
কয়েকের
জন্য
দেখা
হয়
লিমাতে
অনুষ্ঠিত
এশিয়া-প্যাসিফিক
ইকোনোমিক
কোঅপারেশন
বা
আপেক-এর
শীর্ষসম্মেলনে।
ইউক্রেন
এবং
সিরিয়া
নিয়ে
দুই
নেতার
মধ্যে
কথা
হয়।
রয়টার্স-এর
সূত্র
অনুযায়ী
ওবামা
এবং
পুতিন
দাঁড়িয়েই
কথা
বলেন।
ওবামা পরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে তিনি সিরিয়ার বিরামহীন রক্তক্ষয় নিয়ে পুতিনের কাছে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেন। সিরীয় এবং রুশ সেনাবাহিনীর যৌথ আক্রমণের কথা তুলে ওবামা পুতিনকে বলেন যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার কথা। "আমি বিনয়ের সঙ্গে হলেও রাষ্ট্রপতি পুতিনকে জানিয়েছি সিরিয়ার প্রতি আমাদের নীতির মৌলিক পার্থক্য নিয়ে," বলেন ওবামা।
এখানে উল্লেখ্য, ওয়াশিংটন এবং মস্কো সিরিয়াতে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে একজোট হয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করলেও তা অচিরেই ব্যর্থ হয় পারস্পরিক সন্দেহের কারণে। ওবামা প্রশাসন যেমন চায় সিরিয়ার স্বৈরাচারী শাসক বাশার আল-আসাদের অপসারণ, আসাদের মিত্র পুতিন তাঁর সঙ্গেই হাত মিলিয়েছেন।
অন্যদিকে, পুতিন অন্য একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন তিনি ওবামাকে ধন্যবাদ জানান গত কয়েক বছরে একসঙ্গে কাজ করার জন্য।
ধুরন্ধর পুতিন জানেন বিদায়বেলায় ওবামা তাঁকে কী বললেন বা না বললেন তা নিয়ে কিছুই এসে যায় না তাঁর। ওবামার উত্তরসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তিনি ইতিমধ্যেই যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন। ট্রাম্প সে অর্থে আসাদ-এর বিরোধী না হওয়ার ফলে রাশিয়া যে আগামী দিনগুলিতে খুশি মনেই সিরিয়াতে নিজেদের আগ্রাসন জারি রাখবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আর তাই বোধহয় ওবামার সঙ্গে সম্ভবত তাঁর শেষ সাক্ষাতে সৌজন্যকেই বেশি গুরুত্ব দিলেন পুতিন।