নোট বাতিল : প্রধানমন্ত্রীকে মাত্র ৯ মিনিটে রাজি করান এই অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ
নরেন্দ্র মোদী এই ঘোষণা করেছেন ঠিকই। তবে জানেন কি, কেন্দ্রকে এই বিষয়ে কোন মানুষটি রাজি করিয়েছেন? জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।
সারা দেশে ৫০০ ও ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করার সিদ্ধান্ত রাতারাতি নেওয়া সহজ ছিল না। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ঘোষণা করার কয়েকঘণ্টা পরই বাজারে বাতিল হয়ে যায় এই দুই ধরনের নোট। গোটা ঘটনার সারা দেশ স্তম্ভিত, হতচকিত হয়ে গিয়েছিল, সন্দেহ নেই।
এর আগে ১৯৪৬ ও ১৯৭৮ সালেও নোট বাতিল হয়েছিল, জেনে নিন ইতিহাস
৫০০ ও ১ হাজারের নোট বাতিল! এই সংক্রান্ত আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পান এই প্রতিবেদনে
কারণ সমাজের সব স্তরের মানুষ এই আকষ্মিক ঘোষণার পর নানা সমস্যায় পড়েছেন সন্দেহ নেই। তবে দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে, কালো টাকা ধ্বংস করতে এর চেয়ে ভালো উপায় কিছু হতে পারত না বলেই অনেক বিশেষজ্ঞের মত।
নরেন্দ্র মোদী এই ঘোষণা করেছেন ঠিকই। তবে জানেন কি, কেন্দ্রকে এই বিষয়ে কোন মানুষটি রাজি করিয়েছেন? তিনি অনিল বোকিল। পুনের বাসিন্দা অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ অনিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে বুঝিয়েছেন কীভাবে এই বিষয়টি বলবৎ করা যেতে পারে। কালো টাকা অথবা জাল টাকা রোধে কী কী পদক্ষেপ সরকার গ্রহণ করতে পারে।
৫০০ ও ১ হাজারের মোট ২৩০০ কোটি নোট বদলাতে ব্যাঙ্কগুলি আদৌও সক্ষম তো?
৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল নিয়ে কে কী বলছেন
জানা গিয়েছে, প্রায় ৬ মাস আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, আরবিআই গভর্নর ও অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মিলে বসে এই ঘটনার রূপরেখা ঠিক করেন। তার আগে অনিল বোকিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন এবং মাত্র ৯ মিনিটেই তাঁর পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করে তাঁকে রাজি করিয়ে নেন।
নতুন নোটে থাকবে এমন প্রযুক্তি যার মাধ্যমে ট্র্যাক করা যাবে টাকার লোকেশন!
৫০০ ও হাজার টাকার নোট বন্ধ করে কী কেরামতি করলেন মোদী? জেনে নিন
সূত্রের খবর, তিনি বলেন, ৫০০ ও ১ হাজার টাকার ব্যাঙ্কনোট বন্ধ করে দিতে। এমনকী ১০০ টাকার নোটও বন্ধ করে দিতে বলেছিলেন তিনি।
সমস্ত আর্থিক লেনদেন ব্যাঙ্কের মাধ্যমে হবে। চেক, ডিমান্ড ড্রাফ্ট বা অনলাইন মোডে লেনদেন করতে হবে। রাজস্ব আদায়ের জন্য সিঙ্গল ব্যাঙ্কিং সিস্টেম রাখতে হবে। এছাড়া রপ্তানি শুল্ক ছাড়া বাকী সমস্ত ধরনের কর সংগ্রহ আপাতত বন্ধ রাখতে হবে।
অনিল বোকানির বক্তব্য ছিল, দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৮ শতাংশ মানুষ দিনে মাত্র ২০ টাকা খরচ করে। ফলে তাদের বড় নোট প্রয়োজন নেই। তাছাড়া সারা দেশে প্রতিদিন ২ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন হয় যা বছরের হিসাবে ৮০০ লক্ষ কোটি টাকা।
যদিও তার মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশ লেনদেন হয় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে। বাকী লেনদেন হয় নগদে। যার নাগাল পাওয়া কষ্টসাধ্য নয় প্রায় দূরহ ব্যাপার। আর এখান থেকেই উৎস কালো টাকার। সেটাকেই ধ্বংস করার কথা বলে দরবার করেন অনিল বোকানি। এবং প্রধানমন্ত্রী সব শুনে নিমেষে রাজি হয়ে যান।