নতুন মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে কি উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে অভ্যর্থনা জানাবে?
সংবাদসূত্রে জানা গিয়েছে একনায়ক কিম জং উন এমনটাই নাকি পরিকল্পনা করেছেন; স্বভাবতই উদ্বেগে রয়েছে পড়শী দেশ দক্ষিণ কোরিয়া
এবারের মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে দোলাচলে সবাই - তা খোদ সে-দেশের মানুষজন হোক বা আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় আমেরিকার মিত্র বা শত্রুপক্ষ। রাশিয়া এবং চিনের মতো শত্রু দেশগুলি তো এই বছরের মার্কিন নির্বাচনের বহর দেখে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেই না। আর এবারে তাদের থেকেও এক পা এগিয়ে গেলেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উন।
নিউ ইয়র্ক পোস্ট-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিম নাকি রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার উত্তরসূরিকে 'অভ্যর্থনা' জানাতে তাঁর বাহিনীকে নির্দেশ দিতে পারেন একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে দেখাতে। হোয়াইট হাউসের পরবর্তী বাসিন্দাকে "আমরা কাউকে ডরাই না" বার্তা দিতেই নাকি কিম-এর এই অভিনব চিন্তা।
এখানে উল্লেখ্য যে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচিকে প্রতিহত করতে রাষ্ট্রপতি ওবামা এবং তাঁর পুরো এশীয় সহযোগী রাষ্ট্রপ্রধানরা পিয়ংইয়াং-এর উপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করলেও কিম বিন্দুমাত্র টলেননি বরং আরও বেশি করে পরমাণু অস্ত্র তৈরির কাজে মনোনিবেশ করেছেন।
আর তাঁর এই নতুন মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে 'অভ্যর্থনা' জানানোর উদ্যোগে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন উত্তর কোরিয়ার শত্রুদেশ দক্ষিণ কোরিয়া। সেদেশের য়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে যে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এ ব্যাপারে সজাগ রয়েছে, জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক পোস্ট।
"উত্তর কোরিয়ার সেনা তাঁদের দেশের বিভিন্ন পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্রে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে না নিচ্ছে, আমরা নজর রাখছি তার উপর। যদি কোনও প্ররোচনামূলক কিছু করে উত্তর কোরিয়া, আমরাও তৈরি," সিওলের সেনা আধিকারিকরা বলেছেন বলে জানায় প্রতিবেদনটি।
উত্তর কোরিয়ার 'মুসুদান' ক্ষেপণাস্ত্র পাড়ি দিতে পারে ২১০০ মাইলের কিছু বেশি দূরত্ব যার অর্থ পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম অঞ্চলে তা আঘাত হানতে পারে। এই গুয়ামেই দক্ষিণ কোরিয়া এবং তার মিত্রদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি অবস্থিত। কোরিয়ান উপদ্বীপে কোনও অশান্তি দেখা দিলে যাতে গুয়াম থেকে চটজলদি সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
উত্তর কোরিয়াকে যে আর লাগাম পড়ানো যাবে না সেটা বুঝেই এখন পিয়ংইয়াং-এর প্রতি ঘুঁটি সাজাচ্ছে ওয়াশিংটন। আমেরিকার আলাস্কা বা হাওয়াই অঞ্চলে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু হামলা যে খুব অসম্ভব কিছু নয়, সেটা মেনেই ওয়াশিংটন তার পিয়ংইয়াং নীতি লজিক করছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা আর বছর চারেকের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা একশো ছোঁবে (এখন রয়েছে কুড়ির আশেপাশে) যা অদূর ভবিষ্যতে সমস্ত দুনিয়ার কাছে বিরাট মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।