উরি হামলার পরে মাসুদ আজহারের জঈশ-ই-মহম্মদ 'সেরা জঙ্গি দল' ক্লাবে উত্তীর্ণ হল!
ভারতের কাছে আপাতত সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদীর নাম মাসুদ আজহার, সংগঠনের নাম জঈশ-ই-মহম্মদ। এবং প্রতক্ষ্যে ও পরোক্ষে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া দেশের নাম পাকিস্তান। [জঈশ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারকে নিয়ে চমকপ্রদ কাহিনি জেনে নিন একনজরে]
জম্মু ও কাশ্মীর সাম্প্রতিক অতীতে যেকটি সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে, তার সবকটির সঙ্গে প্রত্যক্ষে অথবা পরোক্ষে জড়িয়ে রয়েছে জঈশের নাম। রবিবারের উরিতে সেনা ঘাঁটিতে হামলার পরে মনে করা হচ্ছে, লস্কর-ই-তৈবা, আল কায়েদার পরে উপমহাদেশে এখন সের জঙ্গি দলের তালিকায় একেবারে উপরে উঠে এসেছে জঈশ-ও, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। [উরি হামলার জঙ্গিরা পাকিস্তান থেকে এসেই হামলা চালিয়েছে, এই তার প্রমাণ!]
বিশেষ করে জানুয়ারিতে পাঠানকোটে হামলার পরে সেপ্টেম্বরে উরির সেনা ঘাঁটিতে হামলা করে আপাতত সবচেয়ে এগিয়ে জঈশ জঙ্গিরাই। অন্যদিকে, ২০০৮ মুম্বই হামলার পরে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় জঙ্গি দল বলে পরিচিত লস্করা ভারতে তেমন বড় কোনও হামলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া ভারতে ঢুকতে চেয়ে অনেক জঙ্গি সেনার হাতে মারা গিয়েছে বা গ্রেফতার হয়েছে। [এক্সক্লুসিভ : নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েও কীভাবে পাকিস্তানে সংগঠন চালায় জঈশ জঙ্গিরা!]
যেমন কিছুদিন আগে লস্কর জঙ্গি বাহাদুর আলি সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে ভারতের সেনার হাতে গ্রেফতার হয়েছে। সে লাহোর থেকে এসেছিল। এছাড়া গতবছর উধমপুরে গ্রেফতার নাভেদ আলিও বিএসএফ কনভয়ে হামল চালিয়ে ধরা পড়ে। ফলে সবমিলিয়ে লস্করের প্রভাবে কিছুটা মরচে পড়েছে। [উরি জঙ্গিহানার শহিদদের মধ্যে বাংলার দুই জওয়ান!]
অন্যদিকে আল কায়েদার প্রভাবও আর তেমন নেই উপমহাদেশে। এই অবস্থায় মাসুদ আজহারের হাতে তৈরি জঈশ-ই-মহম্মদই উপমহাদেশে সন্ত্রাসবাদের নয়া উপাখ্যান রচনার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে। ১৯৯৯ সালে কান্দাহারে বিমান ছিনতাইয়ের বদলে যে মাসুদ আজহারকে ভারতকে ছাড়তে হয়েছিল, সেই আজহারই গত নভেম্বরে কুপওয়ারায় সেনা ক্যাম্পে হামলা করেছে, পাঠানকোটে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা করেছে এবং উরিতে জঙ্গি দিয়ে হামলা চালিয়ে ভারতকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে।