মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর পদটিকে অন্তত শ্রদ্ধা দেখান
কলকাতায় ডিমনেটাইজেশন-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমে মমতা বললেন মোদীকে রাজনীতি থেকে সরাব
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার (নভেম্বর ২৮) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ভারতীয় রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। নোট বাতিলের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কলকাতায় একটি প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন জীবিত থাকতে বা মৃত অবস্থায় তিনি ভারতীয় রাজনীতি থেকে মোদীকে সরাবেন।
প্রধানমন্ত্রীকে "নিজেকে ভগবান মনে করছেন" বলে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন তাঁর এই সিদ্ধান্তের ফলে সমস্ত কিছু ব্যাহত হচ্ছে। মোদীর বাসস্থানের সামনে ধরনা দেওয়ার হুমকিও দেন তিনি।
মমতা বলেন ব্যাঙ্ক, এটিএমগুলিতে টাকা নেই আর প্রধানমন্ত্রী সেখানে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন আর দেশকে ক্যাশলেস অর্থনীতি বানানোর জন্য জ্ঞান দিচ্ছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন সেটা সবাই জানে কিন্তু তাই বলে প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার যে হুমকি তিনি দিলেন সেটা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। রাজনীতিবিদ হিসেবে মোদীর সঙ্গে তাঁর আকচাআকচি থাকতেই পারে কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পদটির প্রতি তো একটা ন্যূনতম শ্রদ্ধা দেখানোটা প্রয়োজন।
এর আগেও দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমলেও মমতা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছিলেন বেশ কয়েকবার। কখনও সাক্ষাৎকারে তাঁকে ভেংচি কাটা বা কখনও জনসভায় "আমি কি ধরে মারব?" জাতীয় কথাও তিনি বলেছেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।
আর তাছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রবণতা তো নতুন কিছু নয়। সেই সত্তরের দশকে জয়প্রকাশ নারায়ণের গাড়ির উপর তাণ্ডব করা এই নেত্রীকে পরবর্তীকালে সংসদেও দেখা গিয়েছে কখনও স্পিকার বা কখনও বিরোধীদের বিরুদ্ধে মারমুখী হতে। সেটাই তাঁর স্টাইল হতে পারে কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অন্তত কথা বলার আগে তো একটু ভাবুন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। আপনি আর যে কোনও বিরোধী নেত্রী নন, একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক লড়াই নিশ্চই থাকবে কিনতু তাকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া কেন?