তিন দশকের গবেষণার পর এই রকেট মহাকাশে পাঠাতে চলেছে ইসরো
জিএসএলভি এমকে ৩ ডি১ রকেট মহাকাশে পাঠাতে চলেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। এদিন সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে জিএসএলভি এমকে ৩-কে মহাকাশে পাঠানো হবে।
তিন দশকের গবেষণার পর ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন সিই-২০ সমৃদ্ধ জিএসএলভি এমকে ৩ ডি১ রকেট মহাকাশে পাঠাতে চলেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। এদিন সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে জিএসএলভি এমকে ৩-কে মহাকাশে পাঠানো হবে।
২০০৩ সালেই এই ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন মহাকাশে পাঠাতে পারত ইসরো। তবে তা তখন পাঠানো সম্ভব হয়নি। সবমিলিয়ে মোট তিন দশক ধরে এই রকেট নিয়ে গবেষণা করেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এদিনের উৎক্ষেপণ সফল হলে ইসরোর ভবিষ্যৎ প্রকল্প চন্দ্রযান ২ ও মহাকাশে মানুষ পাঠানোর গবেষণা আরও তরান্বিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই নতুন রকেট সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক একনজরে।
প্রথম তথ্য
জিএসএলভি এমকে ৩ ডি১ রকেট এদিন সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টা ২৮ মিনিট নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে মহাকাশের পথে যাত্রা করবে।
দ্বিতীয় তথ্য
জিএসএলভি এমকে ৩ ডি১ -এর তিনটি ধাপ রয়েছে। এটিতে সম্পূর্ণ ভারতীয় পদ্ধতিতে তৈরি ক্রায়োজেনিক আপার স্টেজ ইঞ্জিন রয়েছে। যা ভারী যোগাযোগে সক্ষম উপগ্রহ বহন করে নিয়ে গিয়ে 'জিওসিনক্রোনাস ট্রান্সফার অরবিট'-এ স্থাপন করতে পারবে।
তৃতীয় তথ্য
ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন ছাড়া রয়েছে সি২৫, যা ২৮ টন ওজন বহন করতে পারে। এছাড়া দুটি মোটর (এস২০০) রয়েছে ও কোর লিক্যুইড বুস্টার (এল১১০) রয়েছে।
চতুর্থ তথ্য
জিএসএলভি এমকে ৩ ডি১-র ওজন পাঁচটি সম্পূর্ণ ভর্তি বোয়িং জাম্বো জেটের সমান। অথবা ২০০টি হাতির সমান। ভারতের মাটি থেকে এমন ভারী রকেট আগে উৎক্ষেপণ করা হয়নি। এর আগে ভারী উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাতে হলে ইসরোর বিদেশের উপরে ভরসা করতে হতো।
পঞ্চম তথ্য
জিএসএলভি এমকে ৩ ডি১-ই হতে চলেছে আগামিদিনে ভারতের রকেট। এতে করে মহাকাশচারীদের মহাকাশে প্রেরণ করা হবে। যাদের 'গাগানটস' অথবা 'ভোমানটস' বলে ডাকা হবে। পৃথিবী থেকে মহাকাশে মানুষ নিয়ে যেতে এটাই আগামিদিনে ভারতের প্রধান ভরসা হতে চলেছে।
ষষ্ঠ তথ্য
এই রকেটের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল, এই প্রথম উপগ্রহে কোনও ট্রান্সপন্ডার নেই। তার বদলে ইসরো অনেকগুলি ফ্রিকোয়েন্সি বীম ব্যবহার করেছে।
সপ্তম তথ্য
উপগ্রহে সম্পূর্ণ ভারতীয় পদ্ধতিতে তৈরি লিথিয়াম-ইয়ন ব্যাটারি লাগানো হয়েছে। এর ফলে অন্য দেশের উপরে ভারতের নির্ভরতা কমবে। এছাড়া এই ধরনের ব্যাটারি পরে গাড়ি অথবা বাসে ব্যবহার করা যাবে।
অষ্টম তথ্য
এই নতুন রকেট অ্যাডভান্স স্পেসক্রাফ্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন মিনিয়েচার হিট পাইপ, ফাইবার অপটিকস গাইরো, মাইক্রো ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল সিস্টেমস অ্যাকসেলেরোমিটার ইত্যাদি। ভবিষ্যতের মহাকাশ গবেষণাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতেই এগুলির ব্যবহার করা হয়েছে।