দেশের এই শহরের তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলিতে এইভাবে জোর করে ইস্তফা দেওয়ানো হচ্ছে কর্মীদের
শুধু তাই নয়, ছাঁটাইয়ের কালো থাবা পড়েছে সুদূর মার্কিন মুলুকের মাইক্রোসফ্টের মতো সংস্থাতেও। ছাঁটাই হওয়ার আতঙ্কে প্রহর গুনছেন বহু তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীই।
তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বহু দিন ধরেই চলছে মন্দা। দেশের একের পর এক তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মীর কপালে ভাঁজ পড়েছে এনিয়ে । উইপ্রো, টিসিএস-এর মতো একাধিক সংস্থা থেকে ছাঁটাই হয়ে চলেছেন হাজার হাজার কর্মী। শুধু তাই নয়, ছাঁটাইয়ের কালো থাবা পড়েছে সুদূর মার্কিন মুলুকের মাইক্রোসফ্টের মতো সংস্থাতেও। ছাঁটাই হওয়ার আতঙ্কে প্রহর গুনছেন বহু তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীই। দেশের অন্যতম তথ্য প্রযুক্তি নগরী পুনের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিতে এমনই ছবি উঠে আসছে বলে এক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।[আরও পড়ুন:মোবাইলের এই অ্যাপে অন দ্য স্পট পাওয়া যাবে আধার কার্ড, জানুন কীভাবে]
কিছুদিন আগে ,পুনের এক তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় এক কর্মী ও সংস্থার এক ম্যানেজারের কথোপোকথোনের রেকর্ড প্রকাশিত হয় । তা থেকে উঠে এসেছে নতুন এক তথ্য় । দেখা গিয়েছে প্রতিদিন ইস্তফা দেওয়ার জন্য কর্মীদের উপ চাপ বাড়াতে থাকছে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলো। এজন্য কর্মীদের জোর করে ইস্তফা দেওয়ানোরও চেষ্টা করা হচ্ছে সংস্থার তরফে। অনেক চাপে পরে তা দিচ্ছেনও। আর এই ঘটনা রোজের রুটিনে দাঁড়িয়ে গিয়েছে এই সংস্থাগুলিতে ।[আরও পড়ুন:হোয়াটসঅ্যাপে আসছে নতুন ফিচার্স, আপনি আপডেট তো ]
চাপ বাড়ানোর জন্য সংস্থাগুলি যে কৌশল রপ্ত করেছে তা অতিব সুচতুর। এজন্য সংস্থাগুলির মানবসম্পদ উন্নয়ন দফতরের ওপরেও প্রচণ্ডভাবে চাপ বাড়ানো হচ্ছে। সেই দফতরের তরফ থেকে বৈঠক আয়োজন করে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। তারপরই তাঁকে ইস্তফা দেওয়ানোর জন্য বাধ্য করা হচ্ছে। এজন্য মানসিক ভাবে কর্মীদের উপর নানান চাপ সৃষ্টি হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ব্ল্যাক লিস্টিং বা ইচ্ছাকৃত পয়েন্ট কমিয়ে দেওয়ার মতো কৌশলও ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
জনৈক তথ্য় প্রযুক্তি কর্মী জানিয়েছেন, তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার মানবসম্পদ উন্নয়ন দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মীর কাছে ফোন করা হচ্ছে। জানানো হচ্ছে তাঁর সঙ্গে কিছু জরুরী দরকার রয়েছে। এরপর একটি ঘরে ঢুকিয়ে কর্মীর ফোন বন্ধ কের দিতে বলা হচ্ছে। রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকে থাকছেন সংস্থার মানবসম্পদ উন্নয়ন দফতরের প্রতিনিধিরা সঙ্গে উচ্চপদস্থ কর্তারা। অভিযোগ সেই বৈঠকে কর্মীদের ওপর মানসিকভাবে চাপ বাড়ানো হচ্ছে। যে চাপ সহ্য করতে না পেরে অনেকে সেখানেই ইস্তফা জমা দিয়ে দিচ্ছেন। ইস্তফা দেওয়ার পর , সংস্থার নিরাপত্তা কর্মীদের দিয়ে ওই কর্মীকে দফতরের গেট পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। যাতে সেই কর্মী রুদ্ধদ্বার বৈঠকের বিষয়ে সংস্থার কোনও কর্মীর সঙ্গে কথা বার্তা না বলতে পারেন।
ধিরে ধিরে মানব সম্পদ দফতরের থেকে আসা ফোন কল কর্মীদের কাছে আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহু মনরোগ বিশেষজ্ঞের মতে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাতে কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকটিকে একেবারেই আমল দেওয়া হয়না। যা একটি নেতিবাচক দিক। তবে আপাতত, এই একের পর এক কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনা ও কার প্রক্রিয়া তথ্য প্রযুক্তি কর্মীদের মানসিক দিক দিয়ে যেভাবে বিপর্যস্ত করে তুলছে তা রীতিমত চিন্তার বিষয়।