উরির মতো হামলা কীভাবে রুখে দিয়ে চার জঙ্গিকে মারল ভারতীয় সেনা, জানুন ফটোফিচারে
কাশ্মীরে সেনার উপরে হামলার ঘটনা বেড়েই চলেছে। তবে এবার একেবারে নির্দিষ্ট তথ্য হাতে পেয়ে বান্দিপোরায় সিআরপিএফের উপরে হামলা রুখে চার জঙ্গিকে খতম করল ভারতীয় সেনা।
গতবছরের সেপ্টেম্বরে জম্মু ও কাশ্মীরের সেনা ছাউনিতে ভোরবেলা হামলায় বেশ কয়েকজন জওয়ান শহিদ হন। সেই ঘটনার প্রতিবাদে মোক্ষম জবাব দিতে সেই মাসের শেষেই সীমান্ত পেরিয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানে থাকা মোট ৭টি জঙ্গি লঞ্চ প্যাড গুড়িয়ে দেয়। তারপরও সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ হয়নি। কাশ্মীরে সেনার উপরে হামলার ঘটনা বেড়েই চলেছে। তবে এবার একেবারে নির্দিষ্ট তথ্য হাতে পেয়ে বান্দিপোরায় সিআরপিএফের উপরে হামলা রুখে চার জঙ্গিকে খতম করল ভারতীয় সেনা।
নির্দিষ্ট তথ্য হাতে ছিল
মে মাসের ১৫ তারিখ সিআরপিএফ ক্যাম্পের হাতে জঙ্গি হামলা সংক্রান্ত নির্দিষ্ট তথ্য আসে। সিআরপিএফ জানতে পারে সেনা ছাউনির কাছের এলাকা ভিডিও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সোমবার হামলা
এরপরই সোমবার ভোররাতে সাড়ে ৩টের সময় সিআরপিএফ ক্যাম্পে ফিঁদায়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তবে সকলে সতর্ক ছিলেন। কনস্টেবল কে দীনেশ রাজা ও প্রফুল্ল কুমার জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। খবর পেয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ ক্যাম্প থেকে এনকাউন্টারে যোগ দেওয়া হয়।
সেনা তৎপরতায় হামলা রুখল
কোনওরকম বিপত্তি ছাড়াই আধাসেনা ও পুলিশ মিলে যৌথভাবে জঙ্গিদের দমন করে। সম্বল ক্যাম্পের সিআরপিএফের ৪৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ন ফের একটা উরি অথবা পাঠানকোট হামলা রুখে দেয়। সতর্ক না থাকলে বড় ঘটনা হতে পারত। তবে সেনার তৎপরতায় তা বেশিদূর গড়ায়নি।
নিহত বুরহানের ঘাঁটির কাছে ক্যাম্প
সম্বল ক্যাম্পটি নিহত হিজবুল কম্য়ান্ডার বুরহান ওয়ানিকে যেখানে এনকাউন্টার করা হয়, তার খুব কাছে। এই এলাকায় কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে মিলে সেনা জঙ্গি দমনে বারবার শামিল হয়। এই এলাকায় বহু সেনা-জঙ্গি বহু এনকাউন্টার হয়েছে।
জঙ্গিদের প্রবেশ
সোমবার ভোররাতে চার জঙ্গি একে ৪৭ রাইফেল, গ্রেনেড, আরও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। সম্বল ক্যাম্পের সামনে দিয়ে দুজন ও পিছন দিয়ে দুজন ঢোকার চেষ্টা করেছিল।
সেনা-জঙ্গি এনকাউন্টার
হামলার খবর পাওয়ার পরই সেনা জবাব দিতে শুরু করে। খবর পেয়ে নিকটবর্তী সেনা ছাউনি থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে মোট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ চার জঙ্গি নিহত হয়।
জঙ্গি নিধনের পর জনতার বিক্ষোভ
এনকাউন্টারে জঙ্গি নিধনের ঘটনার পর আমজনতার সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষ হয়। কেন জঙ্গিদের মারা হল তার প্রতিবাদে পুলিশ ও সেনার উপরে পাথর ছোঁড়ে বিক্ষুব্ধ জনতা। ঘটনার পর স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো সম্বল। মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। তবে জঙ্গিকে নিজেদের কার্যসিদ্ধ করতে পারলে ফল ভয়ঙ্কর হতো। কারণ ভিতরে অন্তত শ'খানেক সিআরপিএফ জওয়ান ছিলেন।