For Daily Alerts
ভারতে 'ম্যারেজ সার্টিফিকেট'-এর জন্য আবেদন জানাবেন কীভাবে : জেনে নিন খুঁটিনাটি
অগ্নিসাক্ষী করে বিয়ে সামাজিক স্বীকৃতি দিলেও আইনি স্বীকৃতি কিন্তু দেয় না। আর নিজের বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দিতে ম্যারেজ সার্টিফিকেট বা বিবাহ শংসাপত্র থাকা আবশ্যক।
অগ্নিসাক্ষী করে বিয়ে সামাজিক স্বীকৃতি দিলেও আইনি স্বীকৃতি কিন্তু দেয় না। আর নিজের বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দিতে ম্যারেজ সার্টিফিকেট বা বিবাহ শংসাপত্র থাকা আবশ্যক। নয়তো যতই ঘটা করে কয়েক হাজার মানুষের সামনে আপনার বিয়ে হোক না কেন তা আইনি মান্যতা পাবে না।
১৯৫৫ সালের হিন্দু বিবাহ আইন বা ১৯৫৪ সালের বিশেষ বিবাহ আইনে ভারতে বিবাহ নথিভুক্ত করা হয়। আপনি যে বিবাহিত তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মুখ্য প্রমাণপত্রই হল ম্যারেজ সার্টিফিকেট। ২০০৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট মহিলা সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বিবাহের ক্ষেত্রে ম্যারেজ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করে।[আধার কার্ড সম্পর্কে যে ৮টি তথ্য জেনে রাখা প্রয়োজন]
বয়সের মানদণ্ড
- হিন্দু বিবাহ আইন অনুসারে স্বামীর বয়স ন্যূনতম ২১ বছর ও স্ত্রীয়ের বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে।
- বিশেষ বিবাহ আইন অনুযায়ী স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের বয়সই ন্যূনতম ২১ হতে হবে।
আবেদন করার প্রণালী
- হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী, যে সাব ডিভিশন ম্যাজিস্ট্রেটের এক্তিয়ারে থাকা এলাকার মধ্যে স্বামী অথবা স্ত্রী থাকেন, সেখানকার অফিসে ছুটির দিন ছাড়া যে কোনও দিনে গিয়ে আবেদন জানানো যেতে পারে।
-
আবেদনপত্র
ভর্তি
করে
তাতে
স্বামী
ও
স্ত্রী
উভয়কেই
স্বাক্ষর
করতে
হবে।
[ছাগলের
বিনিময়ে
জোর
করে
৫৫
বছরের
প্রৌঢ়ের
সঙ্গে
৬
বছরের
মেয়ের
বিয়ে
দিল
বাবা]
- আবেদন জানানোর দিনই সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ নিয়ে যেতে হবে। সেদিনই তথ্যের যাচাই হবে। এবার নাম নথিভুক্ত করার জন্য সাক্ষাৎ ও আলোচনার একটি দিন নিশ্চিত করা থাকে।
- আগে থেকে জানানো ওই দিনে স্বামী ও স্ত্রীয়ের পাশাপাশি একজন গেজেটেড অফিসারকেও উপস্থিত থাকতে হবে। ওই দিনেই সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
কী কী নথি প্রয়োজন
- সম্পূর্ণভাবে ভর্তি করা আবেদনপত্র যাতে স্বামী ও স্ত্রী উভয়েরই সই থাকতে হবে।
- ঠিকানার প্রমাণপত্র : ভোটার আইডি/রেশন কার্ড/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স
- জন্মের প্রমাণপত্র : স্বামী ও স্ত্রীয়ের জন্ম তারিখের প্রমাণপত্র।
- ২টি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ১টি বিয়ের ফটো
- নির্দিষ্ট ফর্ম্যাটে আলাদা আলাদা স্বামী ও স্ত্রীর হলফনামা।
- আধার কার্ড
- সমস্ত তথ্য ও নথি স্বসাক্ষরিত হতে হবে (সেল্ফ অ্যাটেস্টেড)
- বিয়ের কার্ডের একটি কপি
অনলাইন নথিভুক্তির জন্য
- নিজের জেলাকে সিলেক্ট করে পরের ধাপে যান।
- নির্দিষ্ট জায়গায় স্বামীর বিবরণ ভরে 'রেজিস্ট্রেশন অফ ম্যারেজ সার্টিফিকেট'-এ ক্লিক করুন।
- ম্যারেজ সার্টিফিকেট আবেদনপত্র ভরার পর সাক্ষাতের (অ্যাপয়েন্টমেন্ট) দিন বাছুন।
- "সাবমিট অ্যাপ্লিকেশন"-এ ক্লিক করুন।
- আপনাকে একটা অস্থায়ী নম্বর দেওয়া হবে। আপনার অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ-এ এই নম্বরটি ছাপা থাকবে। আবেদনের ফর্ম ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ।
- এই অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ-এর একটা প্রিন্ট আউট নিয়ে নিন।
সাক্ষাৎ
- হিন্দু বিবাহ আইন অনুসারে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের ১৫ দিনের মধ্যে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন। কিন্তু বিশেষ বিবাহ আইনের ক্ষেত্রে এই সময়টা ৬০ দিনের।
সাক্ষী
- দম্পতির বিবাহে উপস্থিত ছিলেন এমন যে কেউ বিয়ের রেজিস্ট্রির সাক্ষী হতে পারেন। তবে তার কাছে প্যান কার্ড ও ঠিকানার প্রমাণপত্র থাকা আবশ্যক।
ম্যারেজ সার্টিফিকেটের সুবিধা
- বিয়ের পর যদি আপনি পাসপোর্টের জন্য আবেদন জানান বা কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে চান সেক্ষেত্রে ম্যারেড সার্টিফিকেট প্রয়োজব।
- স্বামী স্ত্রী উভয়ের ক্ষেত্রেই ভিজা প্রাপ্তির জন্য সহায়ক ম্যারেজ সার্টিফিকেট।
- স্পাউস ভিসায় বিদেশে যাওয়া দম্পতির ক্ষেত্রে সামাজিক বিবাহ গ্রহণযোগ্য নয়, সেক্ষেত্রে ম্যারেজ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক।
মূল্য
- হিন্দু বিবাহ আইনের ক্ষেত্রে মূল্য ১০০ টাকা।
- বিশেষ বিবাহ আইনের ক্ষেত্রে মূল্য ১৫০ টাকা।
Comments
English summary
How to apply for Marriage Certificate in India: Your complete guide
Story first published: Tuesday, October 25, 2016, 15:07 [IST]