ফ্রান্সের রক্ষণশীল রাষ্ট্রপতি প্রার্থী ফ্রাঁসোয়া ফিলোর রাশিয়া প্রীতি ইউরোপে নতুন বিভাজন সৃষ্টি করবে?
ফিলো এও জানিয়েছেন যে তিনি ফ্রান্সকে ইউরোপের নেতৃত্বে দেখতে চান যার অর্থ জার্মানির সঙ্গে ফ্রান্সের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভবিষ্যতে আরও প্রকট হবে
ফিলো এও জানিয়েছেন যে তিনি ফ্রান্সকে ইউরোপের নেতৃত্বে দেখতে চান যার অর্থ জার্মানির সঙ্গে ফ্রান্সের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভবিষ্যতে আরও প্রকট হবে
রবিবার (নভেম্বর ২৭) ফ্রান্সের দক্ষিণপন্থী রাজনীতিবিদ ফ্রাসোঁয়া ফিলো আগামী বছরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্ৰাৰ্থীত্ব জেতার পর ইউরোপের রাজনীতিতে নতুন প্রশ্ন উঠে আসছে। ফিলো বরাবরই ইউরোপে ফ্রান্সের গুরুত্ববৃদ্ধির উপরে জোর দিয়ে এসেছেন এবং তাতে বিশেষজ্ঞদের ধারণা ফিলো যদি শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হন, তাহলে ইউরোপের নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে পুরোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্রান্স এবং জার্মানির মধ্যে প্রতিযোগিতা আরও প্রকট হবে।
জার্মানি ছাড়া ফিলোর রাশিয়া সম্পর্কে অবস্থান নিয়েও বেশ আগ্রহ রয়েছে বিশেষজ্ঞমহলে। ভ্লাদিমির পুতিনের অতিজাতীয়তাবাদী রাশিয়া যখন ইউক্রেন, ক্রাইমিয়া, সিরিয়া ইত্যাদি নানা অঞ্চলে নিজের পেশি প্রদর্শনে ব্যস্ত এবং তাই নিয়ে ইউরোপের নানা দেশ বেশ উদ্বিগ্ন, তখন ফিলো সরাসরি রাশিয়ার পক্ষে সওয়াল তুলে সবাইকে বেশ চমকে দিয়েছেন।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের চাপানো নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে ফিলো তাঁর নির্বাচনী প্রচারে বলেছেন যে তা ফ্রান্সের স্বার্থের বিরোধী কারণ রাশিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপালে তা আসলে ফ্রান্সের ব্যাবসায়িক স্বার্থকেই ব্যাহত করে। গত এপ্রিলে ফ্রান্সের পার্লামেন্টের যে সকল সদস্য রাশিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন, তাঁদের মধ্যে ফিলো হচ্ছেন অন্যতম।
ফ্রান্সের এই নীতি প্যারিসের সঙ্গে বার্লিন এবং মধ্য এবং পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবধান বাড়াবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। জার্মানি সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক মোটেই ভালো নয়।
ফিলো আরও জানিয়েছেন যে রাশিয়ার ক্রাইমিয়া দখলের ঘটনাকে তিনি সমর্থন না করলেও মনে করেন যে সিরিয়াতে ইসলামিক স্টেট-এর সঙ্গে লড়াইতে রাশিয়াকে অবশ্যই পাশে দরকার।
ফিলো যদি আগামী নির্বাচনে যেতেন, তবে ইউরোপের 'বিভাজন' অবশ্যম্ভাবী সেটা বুঝতে অসুবিধা হয় না।