For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

আজ মার্কিন নির্বাচনের তৃতীয় বিতর্ক: ট্রাম্প কি পারবেন খেলা ঘোরাতে?

প্রথমটিতে মঞ্চে হেরেছেন। দ্বিতীয়টির আগেই টেপ কেলেঙ্কারি নিয়ে নাজেহাল হয়েছেন। আর বুধবার (অক্টোবর ১৯) লা ভেগাতে তৃতীয় তথা অন্তিম রাষ্ট্রপতি বিতর্ক।

  • By SHUBHAM GHOSH
  • |
Google Oneindia Bengali News

প্রথমটিতে মঞ্চে হেরেছেন। দ্বিতীয়টির আগেই টেপ কেলেঙ্কারি নিয়ে নাজেহাল হয়েছেন। আর বুধবার (অক্টোবর ১৯) লা ভেগাতে তৃতীয় তথা অন্তিম রাষ্ট্রপতি বিতর্ক। আগামী মাসের আট তারিখে বারাক ওবামার উত্তরসূরি নির্বাচনের আগে এটাই রিপাবলিকান পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের শেষ সুযোগ হিসেবে ধরা হচ্ছে।

কিন্তু প্রশ্ন হল: ট্রাম্প আগাগোড়াই বলে এসেছেন যে এবারের নির্বাচনটি নাকি "রিগড" অর্থাৎ বিরোধীপক্ষ এবং সংবাদমাধ্যম তাঁকে হারাতে নাকি এই নির্বাচনে কারচুপি করেছে। যদি সত্যিই এই নির্বাচনে কারচুপি হয়ে থাকে, তবে তিনি কেন নিজেকে সরিয়ে নেননি বা নিচ্ছেন না?

মার্কিন নির্বাচনে শেষ বিতর্ক: ট্রাম্প কি পারবেন খেলা ঘোরাতে?

ট্রাম্প বুঝে গিয়েছেন অবস্থা সঙ্গীন আর তাই দুষছেন সবাইকে

আসলে সমস্যা হচ্ছে ট্রাম্প বুঝে গিয়েছেন যে এলোপাথাড়ি মন্তব্য এবং বিশেষ করে এক দশক পুরোনো ওই টেপটি জনসমক্ষে আসার ফলে তাঁর অবস্থা বেশ বেসামাল। আর তাই নির্বাচনের একেবারে প্রাক্কালে তিনি মিডিয়া এবং প্রতিপক্ষ হিলারি ক্লিন্টনের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার বাড়িয়েই চলেছেন। এমনকি, ট্রাম্পের প্রচার দলের তরফেও বলা হয়েছে যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমের এই নারীবিদ্বেষের এবং যৌন-বিষয়ক অভিযোগের পাহাড় আদতে সাহায্য করেছে হিলারিকেই।

মিডিয়ার কাজই তো তথ্য সামনে আনা; তাতে যিনি ডুবেছেন দোষ তাঁরই

এই মন্তব্যের মধ্যে যুক্তি মেলা ভার। কারণ এই বিতর্কের পাহাড় ট্রাম্প নিজেই তৈরি করেছেন। সংবাদমাধ্যম বা হিলারি নয়। আর এই কেলেঙ্কারিগুলিকে বাইরে বের করে আনাটাই সংবাদমাধ্যমের কাজ আর তার উপর দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক ঘুঁটি সাজানো বিরোধীদের। তাই "মিডিয়া হিলারিকে সাহায্য করেছে" গোছের মন্তব্য করার আগে ট্রাম্প এবং তাঁর শিবিরের মাথায় রাখা উচিত কেন নিউয়র্কের ওই ধনকুবের নিজে দায়িত্বজ্ঞান দেখাননি অতীতে।

এখন প্রতি-আক্রমণই ভরসা

ট্রাম্পের এই প্রতি আক্রমণ তাঁর তূনের শেষ তীর। এখন সব দোষ মিডিয়া ঘোষের উপর চাপিয়ে যাতে নির্বাচনে হেরে গেলেও তিনি বলতে পারেন যে "দেখো, সংবাদমাধ্যমই ষড়যন্ত্র করে আমাকে হারাল"। দুনিয়াজুড়ে রাজনীতিবিদদের এই একই খেল। মুখে সংবাদমাধ্যমের বাপান্ত করলেও তাঁরা জয় বা হারের সময়ে তার ঘাড়েই সওয়ার হন।

শেষ বিতর্কের বিষয়গুলি ট্রাম্পের পক্ষে খারাপ নয় কিনতু ভদ্রলোকের কি আদৌ বিবেচনা বলে কিছু আছে?

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের এই শেষ বিতর্কে অবশ্য ট্রাম্পের যে করণীয় কিছুই নেই, তা নয়। এই পর্বে যে-সমস্ত ইস্যুগুলি নিয়ে তর্ক হওয়ার কথা (যেমন অভিবাসন, অর্থনীতি, বিদেশনীতি ইত্যাদি) সেগুলিতে ট্রাম্প আবার অতি-জাতীয়তাবাদী ধুয়ো তুলতে পারেন। ওই একটি ক্ষেত্রকে তিনি তাঁর অস্ত্র করেই এবার এগিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের বিষয়ে ট্রাম্প আবার ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়া রিপাবলিকান পার্টিকে ঐকবদ্ধ করতে পারেন। এবারের প্রার্থীদের শারীরিক সক্ষমতার প্রশ্নে তিনি ফের হিলারিকে ঘায়েল করার চেষ্টা করতে পারেন। এই বিষয়গুলি ট্রাম্পের এলোপাথাড়ি ব্যাটিং করার জন্য আদর্শ।

কিনতু ট্রাম্পকে দেখে কখনও মনে হয় না যে তাঁর মস্তিষ্কে বিবেচনা বলে কোনও পদার্থ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, উনি ফের আলটপকা মন্তব্যই করতে থাকবেন। চূড়ান্ত নেতির এই নির্বাচনী পরিবেশে আরও বেশি নেতিবাচক কথা বলতে থাকলে তা অনেক অনিচ্ছুক ভোটার, যাঁরা হয়তো হিলারিকেই ভোট দিতেন শেষ পর্যন্ত, প্রক্রিয়াটিকেই বয়কট করবেন। আর সেখানেই ট্রাম্পের আশা আবার ফুটে উঠবে।

ট্রাম্প যত বাজে বকবেন, হিলারির তত অবস্থান শক্ত হবে

তাই, এই শেষ বিতর্কে হিলারির যে কিছুই করণীয় নেই, তা নয়। তাঁর প্রধান কাজ হবে ট্রাম্পের বিপরীত মুখে দাঁড়ানো। যত ট্রাম্প আজেবাজে বকে ভোটারদের ভ্রান্ত করবেন, ততই তিনি তাঁদের অভয় দেবেন। হিলারির স্বামী প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিন্টনও ১৯৯২ সালের নির্বাচনী বিতর্কে এমনভাবেই ভোটারদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আর হারিয়েছিলেন রিপাবলিকান রাষ্ট্রপতি সিনিয়র জর্জ বুশকে।

হিলারি ক্লিন্টনকে ঘিরেও যে অভিযোগ নেই এবারের নির্বাচনে তা নয়। কিনতু ট্রাম্পের কাণ্ডকারবার দেখে সাধারণ মানুষের কাছে রিপাবলিকান প্রার্থী এখন এক আস্ত বিভীষিকা।

রাষ্ট্রীয় রাজনীতিতে হিলারি কী দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন তাতে সাধারণ মানুষের কী? ট্রাম্প তাঁদের কোনও বিকল্প পথ তো দেখতে পারেননি, উল্টে তাঁকে রাষ্ট্রপতি মনে করতে এখন বুক কেঁপে উঠছে অনেক মার্কিন নাগরিকেরই। তাই হিলারির এটাই সুযোগ। ডেমোক্র্যাট তো বটেই, এই শেষ বিতর্কে উনি রিপাবলিকান সমর্থকদের মধ্যেও আশার আলো সঞ্চার করতে পারেন। এই শেষ পথটুকু নির্বিগ্নে কাটাতে পারলে 8ই নভেম্বর ইতিহাস গড়া তাঁর কাছে অসম্ভব কিছু নয়।

English summary
Can Donald Trump make amends in the third and final presidential election debate on Oct 19?
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X