জিও মালিক মুকেশের বিলাসবহুল অট্টালিকা অ্যান্টিলিয়ার অন্দরমহলের ছবি দেখলে চমকে যাবেন
বাকিংহ্যাম প্যালেসের পর পৃথিবীর সবচেয়ে দামী বাড়ি মুম্বইয়ে মুকেশ আম্বানির 'অ্যান্টিলিয়া'। ভোগবিলাস কাকে বলে তা এই বাড়িতে না এলে বোঝা যাবে না।
ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি তথা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক মুকেশ আম্বানির নতুন বাড়ি একেবারে প্রথম থেকেই সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে আমজনতার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। বাকিংহ্যাম প্যালেসের পর পৃথিবীর সবচেয়ে দামী বাড়ি মুম্বইয়ে মুকেশ আম্বানির 'অ্যান্টিলিয়া'। ভোগবিলাস কাকে বলে তা এই বাড়িতে না এলে বোঝা যাবে না। একনজরে জেনে নেওয়া যাক এই বাড়ি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
দামী বাড়ি দামী রাস্তা
দক্ষিণ মুম্বইয়ের আল্টামাউন্ট রোডে ৪ লক্ষ স্কোয়ার ফিটের এই অট্টালিকা তৈরি করেছেন মুকেশ। বিশ্বের সবচেয়ে দামী ঠিকানাগুলির একটা এটি। যার ফলে এই এলাকায় জমির দামও আকাশছোঁয়া। প্রতি বর্গ স্কোয়ার ফুটের দাম ৮০ হাজার টাকা এখানে।
প্রতিটি তলা ২ তলার সমান
অ্যান্টিলিয়া-তে মোট ২৭টি তলা রয়েছে। আট রিখটার স্কেল পর্যন্ত ভূমিকম্প আটকাতে পারে এমন ডিজাইন দিয়ে এটি তৈরি। এর প্রতিটি তলা সাধারণ বাড়ি বা ফ্ল্যাটের ২টি তলার সমান। অর্থাত প্রায় ৬০ তলা সমান উঁচু এই বিল্ডিং।
গাড়ির জন্য আলাদা জায়গা
মুকেশ আম্বানির এই বাড়িতে গাড়ি রাখার মোট ৬টি তলা রয়েছে। গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে দামী ৫ কোটির মেব্যাক। মোট ১৬৮টি গাড়ি রাখার জায়গা রয়েছে এখানে। এমনকী সাত তলায় কার সার্ভিস স্টেশনও তৈরি করেছেন মুকেশ।
হেলিপ্যাডের জায়গা
মুকেশ আম্বানির বিলাসবহুল ম্যানসনে শুধু গাড়িই নয়, হেলিকপ্টার পর্যন্ত এসে দাঁড়ানোর জন্য হেলিপ্যাডের ব্যবস্থা রয়েছে। এবং একটি দুটি নয়, মোট তিনটি। প্রত্যেক মুম্বইবাসীর মতোই মুকেশকেও প্রয়োজনে যাতে রাস্তার ট্রাফিক ঠেলতে না হয়, সেজন্যই এই ব্যবস্থা।
সুপারফাস্ট লিফট
অ্যান্টিলিয়া ম্যানসনে মোট ৯টি লিফট রয়েছে। খুব দ্রুতগতির এই লিফটে চাইলেই খুব অল্পসময়ে যেকোনও তলায় চলে যাওয়া সম্ভব। বাড়িতে সদস্য মাত্র পাঁচজন, অথচ লিফট মোট ৯টি।
বিনোদনের ব্যবস্থা
মুকেশ আম্বানির বাসভবনে দুটি তলা জুড়ে রয়েছে বিনোদনের ব্যবস্থা। রয়েছে জিম, হেলথ স্পা, অনেকগুলি সুইমিং পুল, জাকুজি, যোগা সেন্টার, ডান্স স্টুডিও ও অন্যান্য বিনোদনের ব্যবস্থা, যা লজ্জায় ফেলে দেবে দেশের সেরা বিলাবহুল হোটেলগুলিকেও।
অ্যান্টিলিয়ার অন্দরে
বিশাল বড় মন্দির রয়েছে অ্যান্টিলিয়ার অন্দরে। এছাড়া রয়েছে অতিথিদের জন্য বিশেষ স্যুইট, সেলুন, আইসক্রিম পার্লার, প্রাইভেট সিনেমা থিয়েটার যেখানে একসঙ্গে ৫০ জন বসে খেলা দেখতে পারে।
তুষারাবৃত কামরা
মুম্বইয়ের গরমের সঙ্গে পাল্লা দিতে নিজের বাড়ির একটি তলায় স্নো-রুম বানিয়েছেন মুকেশ। এখানে গেলে মনে হবে তুষারের দেশে এসে গিয়েছেন। বাইরে থেকে কিছু না বোঝা গেলেও ভিতরে বরফ পড়ছে।
অ্যান্টিলিয়ায় কোন তলায় থাকেন মুকেশের পরিবার
এত বড় বাড়ির কোল তলায় মুকেশের পরিবার থাকে তা নিয়ে সকলের আগ্রহ রয়েছে। জানা গিয়েছে, সূর্যের আলো ও বাতাস আরও বেশি করে পেতে মুকেশেক পরিবার একেবারে সবচেয়ে উঁচু তলায় থাকে।
প্রতিটি তলা একেবারে আলাদা
মুকেশ আম্বানির শখের তারিফ না করে পারা যায় না। অ্যান্টিলিয়ার প্রতিটি তলার কাজ একে অন্যের চেয়ে আলাদা। কোনওটাতে মার্বেলের কাজ, কোনওটাতে ক্রিস্টালের কাজ, কোনও তলায় আবার একেবারে ভিন্ন নকশা তৈরি করা হয়েছে।
বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণে ৬০০ কর্মী
মুকেশ আম্বানির বিলাসবহুল বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কমপক্ষে ৬০০ জন কর্মী রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কখনও কখনও নিজেদের কাজ নিজেরাই করেন নেয় আম্বনি পরিবার।
বাড়ির নামকরণ
অতলান্তিক মহাসাগরের একটি দ্বীপের নামানুসারে এই বাড়ির নামকরণ করা হয়েছে অ্যান্টিলিয়া। দক্ষিণ মুম্বইয়ের বিস্তীর্ণ বস্তি এলাকার মাঝে এই বাড়িটি যেন এক অন্য অধ্যায় রচনা করেছে।