কেমন বায়োডেটা পছন্দ করেন অফিস এমপ্লয়াররা? জেনে নিন কী বলছে সমীক্ষা
চাকরির বাজার এমনিতেই মন্দা। তার উপর রয়েছে ভয়ানক প্রতিযোগিতা। একটু সুযোগ দিয়েছেন কী একেবারে ঘাড়ের উপর দিয়ে অন্য কেউ আপনার চাকরি নিয়ে চলে যাবে। দুমূল্যের বাজারে চাকরি খুঁজতে গেলেও একেবারে গলদঘর্ম দশা হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। [প্রথম চাকরির জন্য কি কি মাথায় রাখা উচিত]
তবে জানেন কী ধরনের বায়োডেটা বা জীবনপঞ্জী পছন্দ অফিসের নিয়োগকর্তাদের? সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, বেশিরভাগ এমপ্লয়ারই মাত্র ২ পাতার বায়োডেটা বেশি পছন্দ করেন যাতে কোনওরকম ব্যকরণগত ভুল থাকবে না। [জাপানে অফিসে ওভারটাইমের জেরে প্রাণ যাচ্ছে প্রতি ৫ জনে ১ জনের!]
একটি বেসরকারি চাকরির সাইট প্রায় ১১০০টি এমপ্লয়ারকে নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায়। চাকরির ক্ষেত্রে বায়োডেটা দেখার সময়ে কোনও জিনিসকে দেখে প্রার্থী নির্বাচন বা কোন জিনিসকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় এই প্রশ্নগুলি সামনে রাখা হয়েছিল। তাতেই এই জবাব উঠে এসেছে। [ভারতে দশম শ্রেণি পাশ করার পরই পড়াশোনায় ইতি টানে ৪৭০ লক্ষ ছেলেমেয়ে!]
বলা হচ্ছে, আপনার বায়োডেটাকে একটি প্রবেশ খিড়কি হিসাবে দেখেন নিয়োগকর্তারা। তা যত সংক্ষিপ্ত অথচ তথ্যবহুল ও ঝকমকে হবে ততই তা নিয়োগকর্তার আপনাকে ফোন করতে বাধ্য করাবে। [আধুনিক ভারতে এখনও ক্রীতদাস ১ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ]
বায়োডেটায় একঝলকে যাতে আপনার কর্মক্ষমতা সম্পর্কে সকলে জানতে পারেন তার ব্যবস্থা তাই আপনাকেই করতে হবে। এছাড়া ব্যকরণগত ভুল বা বানান ভুল যাতে না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে আপনাকে।
এর পাশাপাশি সবচেয়ে যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হল, নিয়োগকর্তারা খেয়াল করেন, যে কাজের জন্য তাঁরা কর্মী নিয়োগ করতে চাইছেন বায়োডেটায় লেখা তথ্য তার সঙ্গে যায় কিনা। অর্ধেক নিয়োগকর্তাদের মতে, কী কাজ করছেন সেটার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ না থাকলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা ছেটে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।
সমীক্ষা চালানো নিয়োগকর্তাদের ৪৩ শতাংশ বলেছেন, বায়োডেটার দৈর্ঘ্য কত হচ্ছে তার উপরে অনেককিছু নির্ভর করে। ৮০ শতাংশের মতে, ২ পাতার বায়োডেটাই আদর্শ। আর বাকী ২০ শতাংশের মতে, ১ পাতার জীবনপঞ্জী হলেও মন্দ হয় না।