ট্রাম্প তো বটেই, এবার তাঁর কট্টরপন্থী প্রশাসনিক সদস্যদের দেখেও চোখ কপালে ওঠার জোগাড়!
ডোনাল্ড ট্রাম্পের কট্টরপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি সম্বন্ধে আশঙ্কা তো ছিলই, এবার তাঁর রক্ষণশীল প্রশাসনিক সদস্যদের দেখে সেই আশঙ্কা আরও বাড়ল।
একে রামে রক্ষে নেই সুগ্রীব দোসর। এমনিতেই ডোনাল্ড ট্রাম্প এবারের মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জেতার পর শঙ্কায় রয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘরের এবং বাইরের মানুষ। আর তার উপর এখন নিউ ইয়র্কের এই ধনকুবের ব্যবসায়ী যে সমস্ত রক্ষণশীল লোকজন নিয়ে তাঁর প্রশাসনিক দল সাজাচ্ছেন, তাতে আশঙ্কা আরও বাড়ছে, বিশেষ করে মুসলমান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বিদেশিদের মধ্যে।
উল্লেখ্য, মার্কিন মুলুকে মুসলমান এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ট্রাম্প বলে এসেছেন প্রথম থেকেই। আর এবার তিনি যেভাবে নিজের প্রশাসনের নিরাপত্তা এবং আইনি আধিকারিকের নির্বাচন করছেন রক্ষণশীল গোষ্ঠীর মধ্য থেকে, তাতে তাঁর কট্টরপন্থী নীতির বাস্তবায়নের আর বিশেষ দেরি নেই বলেই ধারণা অনেকের।
ইতিমধ্যে ট্রাম্পের মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে কট্টরপন্থী শ্বেতাঙ্গ স্টিভ ব্যানোনের চয়ন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। আর এখন, ট্রাম্পের অনুগত সৈনিক সিনেটর জেফ সেশন্সকে এটর্নি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত করার ব্যাপারে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে নাগরিকাধিকার কর্মীদের মধ্যে। অভিবাসন সম্পর্কে সেশন্স-এর দৃষ্টিভঙ্গিও ট্রাম্পের চেয়ে কিছু কম কট্টর নয়। অবৈধ অনুপ্রবেশ তো বটেই, এমনকি বৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধেও সেশন্স সরব।
এছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক মাইক ফ্লিনকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ঘোষণা করার ফলে পরবর্তী মার্কিন প্রশাসন যে সন্ত্রাসবাদের ব্যাপারে আরও কঠোর অবস্থান নেবে, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কঠোর নীতি নেওয়া খারাপ নয়, কিনতু সন্ত্রাসবাদ দমনের নামে নির্দোষদের ধরপাকড় শুরু হয় কী না, সেটা ভেবেই উদ্বিগ্ন মার্কিন মুলুকে বসবাসকারী অনেক মানুষ।
সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি বা সিআইএ-র মুখ্য হিসেবেও ট্রাম্প পছন্দ করেছেন প্রতিনিধিসভার মাইক পম্পিওকে। কানসাস প্রদেশের এই কট্টরবাদী রিপাবলিকান বারাক ওবামা এবং হিলারি ক্লিন্টনের কড়া সমালোচকের অন্যতম। তাঁর কাজের রীতিনীতি সিআইএকে ভবিষ্যতে ফের এক দানবিক সংগঠন করে তুলবে বলে মত অনেকেরই।