গ্রিস, তুর্কি, সিরিয়া, কিংবা লেবাননের মানুষরাই কি মিশরীয় সভ্যতার শুরু করেছিলেন
মিশরীয় সভ্যতা, মমি-এসব আমরা ইতিহাস পড়া শুরুর সময় থেকেই পরিচিত। কিন্তু সেইসব মানুষ কোথা থেকে এসেছিলেন, তা উঠে এসেছে নতুন গবেষণায়।
মিশরের মমির ডিএনএ-পরীক্ষা করে নতুন তথ্য উদ্ঘাটনের দাবি করলেন বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যেই প্রায় একশো মমির জিন পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা সেইসব মানুষদের উৎসের সন্ধান করতে পেয়েছেন বলে দাবি। বর্তমান মিশরবাসীর সঙ্গে জিনগত বৈশিষ্ট্যে মমি জিনের খুব বেশি মিল নেই বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা। এই তথ্য উদঘাটনে ডিএনএ সজ্জার পরীক্ষায় বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছিল বলে, নেচার কমিউনিকেশন নামক জার্নালে জানানো হয়েছে।
নীলনদ সংলগ্ন আবুসির-এল-মেলেক নামক প্রাচীন এলাকা থেকে প্রাপ্ত ১৫১ টি মমি বেছে নেওয়া হয়। তবে তার মধ্যে থেকে মাত্র তিনটি মমির ডিএনএ পরীক্ষা সম্ভব হয়েছে। খ্রিস্টপূর্ব চোদ্দোশো বছর থেকে চারশো খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মমিগুলিকে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। নতুন পদ্ধতির ডিএনএ পরীক্ষায় মিশরের বর্তমান মানুষদের সঙ্গে নয়, গ্রিস, তুর্কি, সিরিয়া, কিংবা লেবাননের মানুষদের ডিএনএ-র সঙ্গে মিল পাওয়া যাচ্ছে।
জার্মানির টুবিজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ভেনারা সুয়েনমান মিশরে আলেকজান্ডারের জয়ের প্রভাব নিয়েও গবেষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আলেকজান্ডারের জয়ের জিনগত প্রভাব মিশরের ওপর পড়েনি। তবে প্রাচীন মিশরীয়দের সঙ্গে না হলেও, বর্তমান তুর্কি কিংবা ইউরোপের সঙ্গে জিনগত যোগ পাওয়া গেছে। মমিগুলি পরীক্ষা করে যেভাবে মাইটোকনড্রিয়াল ডিএনএ সংরক্ষিত হয়েছে, সে ব্যাপারেও কিছুটা অবাকই হয়েছেন গবেষকরা।