সপা-য় অখিলেশের উত্থানই কী মেনে নিতে পারলেন না মুলায়ম?
এই প্রশ্নের উত্তর তো শুধু মুলায়ম সিংই দিতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের দোড়গোড়ায় এসে কেন ছেলে তথা জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিংকে দল থেকে বহিষ্কার করার মতো দলের পক্ষেপ।
এই প্রশ্নের উত্তর তো শুধু মুলায়ম সিংই দিতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের দোড়গোড়ায় এসে কেন ছেলে তথা জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিংকে দল থেকে বহিষ্কার করার মতো দলের পক্ষে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিলেন নেতাজি।
যদিও নেতাজি বলছেন, দলের স্বার্থেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত, তবু প্রশ্ন তো রয়েই যাচ্ছে। দলের স্বার্থে নাকি তাঁর 'অন্য' পরিবার এবং ঘনিষ্ঠদের কথায় কান দিয়েই দলের বাজি লাগাতেও পিছপা হলেন না মুলায়ম।
পার্টির আভ্যন্তরিন সূত্রের খবর, মুলায়মের দ্বিতীয় স্ত্রী সন্ধ্যা গুপ্ত যিনি আগে কখনও মুলায়মের রাজনৈতিক জীবনে হস্তক্ষেপ করেননি, তিনিই অখিলেশের উত্থানে রাজনীতিতে নিজের উৎসাহ দেখাতে শুরু করেন। লখনউ ক্যান্টন্টমেন্ট থেকে দাঁড়ানো ছোট বউ অপর্ণা যাদবের সমর্থনে রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে আসতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
অখিলেশ এবং সাধনা গুপ্তর মধ্যে কথাবার্তাটুকু হলেও দুজনের মধ্যে খুব একটা যে মধুর সম্পর্ক নেই তা দলের ভিতর ও বাইরে কারোরই অজানা নয়। মুলায়মের দ্বিতীয় পরিবারের এই হঠাৎ উত্থানের অভিলাস, নেতাজির ভাই শিবপাল সিং যাদবের পরিবারের মধ্যে গৃহযুদ্ধের উস্কানি, তাতে আবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু অমর সিংহের ঘি ঢালা।
যদিও প্রথমে মুলায়ম চেয়েছিলেন ছেলে অখিলেশ দেশের মধ্যে সেরা মুখ্যমন্ত্রী হোন কিন্তু পার্টির অন্দরের খবর, দলের মধ্যে ক্রমশ অখিলেশের বেড়ে ওঠা জনপ্রিয়ে কাঁটা হয়ে বিঁধছিল মুলায়মের চোখে। তিনি সবসময় চেয়েছিলেন দলের প্রথা মেনেই চলুক অখিলেশ। অখিলেশ চেয়েছিলেন দলে পরিবর্তন আনতে। আংশিক সাফল্যও পেয়েছিলেন। আর তা ভাল ভাবে নিতে পারছিলেন না মুলায়ম। এর উপর পারিপার্শ্বিক ফ্যাক্টরগুলোও কাজ করেছে। ফলস্বরূপ বাবা-ছেলের সম্পর্কে ফাটল।