বর্ধমান কাণ্ড: স্থানীয় নেতাদের সাহায্য ছাড়া কিছু সম্ভব ছিল না, জানাল রেজাউল
বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডে ধৃত রেজাউল করিমের কাছ থেকে রাজনৈতিক যোগ থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ শিবির পর্যন্ত নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে এনআইএ। জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি-র গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রেজাউল। রেজাউলকে জেরা করে চাঞ্চল্যপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছে এনআইএ। রেজাউল জানিয়েছে, স্থানীয় নেতাদের সাহায্য ছাড়া পশ্চিমবঙ্গে এতগুলি মডিউল গড়ে তোলা সম্ভব ছিল না।
রেজাউল এও জানিয়েছে, বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচামাল স্থানীয় বাজার থেকেই পেয়েছে তারা স্থানীয় নেতাদের সাহায্যে। কারণ বাংলাদেশ থেকে বোমা তৈরির কাঁচামাল বারবার আনানো ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।
স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কাজ
তদন্তের প্রাথমিক পর্বে এনআইএ জানতে পেরছিল জেএমবি মডিউলকে বিভিন্ন স্থানীয় নেতা সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছিল। রেজাউল জানিয়েছে স্থানীয় নেতার বাড়ি ভাড়ায় নেওয়াটা ইচ্ছাকৃতভাবেই। অর্থাৎ স্থানীয় নেতা সব জেনে বুঝেই জামাত জঙ্গিদের বাড়ি ভাড়া দিয়েছিল।
অন্যদিকে জেএমবি সদস্যরা বুঝতে পেরেছিল স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চললে রাজ্যে তারা সুরক্ষিত থাকবে। বোমা তৈরির ক্ষেত্রে কাঁচামাল সরবরাহের জন্যও কাঁচামাল প্রক্রিয়াকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল স্থানীয় নেতারা। গ্রাম এলাকায় বোমার চাহিদা রয়েছে তা জানত জঙ্গিরা।
শিমুলিয়া প্রশিক্ষণ শিবির
রেজাউল এনআইএ-র তদন্তকারী দলকে জানিয়েছে, শিমুলিয়ায় এই মাদ্রাসা গড়ে তোলাটা ছিল একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এখানে নতুন নিয়োগ হওয়া সদস্যদের প্রশিক্ষণ চলত।
এনআইএ-র হাতে প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বেশ কিছু ভিডিও এসেছে যা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এনআইএ-র এক আধিকারিকের কথায়, ভিডিওর বেশ কিছু ছবি ঝাপসা। ছবিগুলিকে ডিজিটালাইস করে দেখা হবে।
তথ্য গোপন
রেজাউল জানিয়েছে, খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গেই সমস্ত তথ্য ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। বাড়ি খালি করে চলে যাওযার জন্য আবদুল হাকিম তাকে বলেছিল। কিন্তু যতক্ষণে লোক জড়ো হয় আমি ততক্ষণে পালাতে অসমর্থ হই। তারপর হাকিমই আমাকে বলে কোনও মতে রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে যেতে। আমি ঝাড়খণ্ডে পালিয়ে যাই সেখানে রেলের কনট্রাক্টর হিসাবে কাজ করছিলাম।