বিজেপির লালবাজার অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র কলকাতা, ঠিক কী হল, দেখে নিন ফটোফিচারে
তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে এদিন কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজার অভিযান করে বিজেপি। কলকাতা হয়ে উঠেছিল রণক্ষেত্র। ঠিক কী হয়েছে, জেনে নিন।
বিজেপির দলীয় কর্মীদের মিথ্যা অভিযোগ ফাঁসানো সহ বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করে সারা রাজ্যে গণতন্ত্র হরণ করার পথে হাঁটছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকার। আর এর প্রতিবাদে এদিন কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজার অভিযান করে বিজেপি। এই একইদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে নয়াদিল্লিতে বৈঠকে মিলিত হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
একদিকে যেমন দিল্লিতে নানা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা, সেইসময়ে কলকাতার রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়াল দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। লালবাজার অভিযান করতে গিয়ে কীভাবে শহর কলকাতা উত্তপ্ত হয়ে উঠল, তা একনজরে দেখে নিন ছবিতে।
বিজেপির অভিযান
এদিন পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিজেপি লালবাজার অভিযান করলে ব্র্যাবোর্ন স্ট্রিট, ফিয়ার্স লেনের মতো এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শহরের নানা রাস্তায় পুলিশ ব্যারিকেড করে থাকলে তা ভাঙার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশ পাল্টা বাধা দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ।
বিজেপি কর্মীর আক্রমণ
পুলিশকে আক্রমণ করেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের দিকে ছোঁড়া হয় বোমা, ইঁট। তার ঘায়ে কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হন। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে পুলিশও পাল্টা লাঠি হাতে প্রতিরোধে নামে। জলকামান, কাঁদানে গ্যাস দিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়।
গ্রেফতার দিলীপ-লকেট-রূপা-রাহুল
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন বিজেপির রাজ্য প্রধান দিলীপ ঘোষ, এছাড়া কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, রাহুল সিনহা, জয়প্রকাশ মজুমদার, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। এদের মধ্যে দিলীপ, কৈলাশ সহ প্রত্যেকেই গ্রেফতার হয়েছেন। এছাড়া বহু নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতার বিজেপি কর্মীরা, কড়া নজরদারি পুলিশের
এদিন বিজেপি-র কর্মী সমর্থকদের নিয়ে একটি বাস লালবাজারের কাছাকাছি চলে আসে। লালবাজার-বিবি গাঙ্গুলি সংযোগস্থলে বাসটিকে আটক করা হয়। গ্রেফতার করা হয় নদিয়া থেকে আগত কর্মী সমর্থকদের। এদিন টিয়ার গ্যাস, জলকামান, র্যাফ কমব্যাট ফোর্স তো ছিলই, সিসিটিভি ক্যামেরার নদরদারির পাশাপাশি ড্রোন দিয়েও নজরদারি চালানো হয়।
পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর
এদিন বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। গাড়িটি আর্মহার্স্ট থানার অতিরিক্ত ওসির গাড়ি ছিল। সবমিলিয়ে মোট ৫টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পাথরের ঘায়ে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী যেমন আহত হয়েছেন, তেমন কয়েকজন বিজেপি সমর্থকও গুরুতর আহত হন বলে খবর।