(ছবি) এর আগে 'জুলিয়েট'দেরও নিশানা করেছে 'অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড'
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যোগী আদিত্যনাথ দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকেই একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তাদের। এর মধ্যে অন্যতম হল 'অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড'।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যোগী আদিত্যনাথ দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকেই একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তাদের। এর মধ্যে অন্যতম হল 'অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড'।
মূলত বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের সমস্ত প্রতিশ্রুতি মতো উত্তরপ্রদেশে মহিলা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চালু করা হয়েছে অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড। পুলিশের এই স্কোয়াড পথ চলতি 'রোমিও' তথা ইভ টিজারদের আটক করে। চালু হওয়ার দু দিনের মধ্যেই ৮০০ জন ইভ টিজারকে পাকড়াও করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তবে শুধুমাত্র উত্তরে প্রদেশেই নয়, অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড এর আগে ভারতের অন্য এক রাজ্যেও মোতায়েন করা হয়েছিল। একনজরে দেখে নেওয়া যাক অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড সম্পর্কে নানা তথ্য।
এই 'স্কোয়াড' কীরকম?
প্রতিটি
'অ্যান্টি
রোমিও
স্কোয়াড'
-এ
থাকছে
একজন
করে
সাব
ইনস্পেক্টর
ও
৪
জন
কন্সস্টেবল।
যাঁদের
মধ্যে
থাকছেন
২
জন
মহিলা
কন্সস্টেবল।
উত্তরপ্রদেশ
পুলিশের
এই
স্কোয়াডে
কখনও
সাদা
পোশাকে
আবার
কেউ
খাঁকি
পোশাকে
পাহারা
দেওয়ার
দায়িত্বে
থাকছেন।
স্কোয়াডের উদ্দেশ্য
অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াডের উদ্দেশ্য হল মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বৃহস্পতিবারই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, যে এই স্কোয়াড কোনও নীতি পুলিশের কাজ করছে না। ইভটিজারদের হাত থেকে মহিলাদের রক্ষা করতে এই স্কোয়াড গঠিত হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্কুল , কলেজে মোতায়েন থাকছে পুলিশের এই স্কোয়াড।
মাতাল ধরতে পুলিশ!
উত্তরপ্রদেশের রাস্তায় প্রায়সই মদ খেয়ে উপদ্রব চালায় অনেকে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, মাতালরা মহিলাদের সাথে অভব্য আচরণও করছেন। তাই জনসমক্ষে কারা মদ খেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে , তাদেরও পাকড়াও করছে 'অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড'।
অনেকটা 'অপরেশন মজনুর' মতো ?
এর আগে ২০০৫ সালে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় চালু হয়েছি , অপরেশন মজনু। যে অভিযানে , রাস্তার কোনও জায়গায় যদি কোনও মহিলার সঙ্গে ছেলেদের দেখা যেত, তাহলে চলত পুলিশি ধরপাকড়। যা নিয়ে প্রবল সমালোচনা হয় সেসময়।
গুজরাতে প্রথম দেখা যায় 'অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড'
উত্তরপ্রদেশই প্রথম নয়, এর আগে গুজরাতেও অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড দেখা গিয়েছে । ১৯৯০ সালের শেষের দিকে গুজরাতে এমন ধরনের স্কোয়াড প্রথমবার দেখা যায়। তবে খুব কম সময়ের জন্য এই ধরনের স্কোয়াডকে নিযুক্ত করা হয়।
'রোমিও' নয় 'জুলিয়েট'দেরও ধরপাকড় চলেছে
গুজরাতে যখন এই ধরনের স্কোয়াড গঠন হয়, তখন শুধুমাত্র রোমিও নয়, ধরপাকড় চলেছে 'জুলিয়েট' দেরও। কারণ সেইসময় গুজরাত পুলিশের উদ্দেশ্য ছিল, কোনও ছেলে মেয়েকে একসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে বসতে দেখলেই তাদের ধরা হবে। তাই পুরুষদের সঙ্গে সঙ্গে ধরপাকড় চলত মহিলাদেরও।