অন্য দেশগুলিতে কীভাবে ও কবে জিএসটি বলবৎ হয়েছে জানেন কি
জিএসটি অন্য দেশে কীভাবে বলবৎ হয়েছে তা দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
ভারতে আগামী ১ জুলাই পথ চলা শুরু হবে জিএসটি বা পণ্য ও পরিষেবা করের। এবং তা শুরুর আগে নানা স্তরে দেশের মধ্যে বিক্ষোভ, বিরোধ চলছে। তবে এটা শুধু ভারতের ক্ষেত্রে নয়, অন্য দেশগুলির ক্ষেত্রেও হয়েছে। অন্যদেশে জিএসটি বলবৎ করার সময় কম সময়ের জন্য হলেও বিরোধ প্রদর্শিত হয়েছে।[অারও পড়ুন:জিএসটি-র কী প্রভাব পড়বে জীবনদায়ী ওষুধের উপরে, জানেন কি]
ভারত জিএসটি শুরুর মাহেন্দ্রক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফলে এই ধরনের কর ব্যবস্থা অন্য দেশে কীভাবে বলবৎ হয়েছে তা দেখে নেওয়া যাক একনজরে।[অারও পড়ুন:কোন দেশ কবে প্রথম জিএসটি চালু করে সেই ইতিহাস জানেন কি]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বের তাবড় অর্থনীতির দেশগুলির মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম যেখানে জিএসটি বা পণ্য ও পরিষেবা কর বলে কিছু নেই। বদলে প্রতিটি মার্কিন প্রদেশ কর ব্যবস্থায় স্বতন্ত্রতা উপভোগ করে।
ফ্রান্স
১৯৫৪ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে ফ্রান্স জিএসটি বলবৎ করে। এই মুহূর্তে বিশ্বের মোট ১৬০টি দেশে জিএসটি চালু রয়েছে। ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ ১৯৭০-৮০-র দশকে জিএসটিকে আপন করে নিয়েছে।
চিন
চিন তাদের বিটিএস বা বিজনেস ট্যাক্স সিস্টেমের বদলে ২০১৬ সালে ভ্যাট বা ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স সংষ্কার করেছে। বাকী সমস্ত ট্যাক্সকে সরিয়ে শুধুমাত্র ভ্যাট চালু করেছে। তবে কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে চিনে জিএসটি চালু রয়েছে।
জাপান
১৯৮৯ সালে ভোগ্যপণ্যের উপরে ৩ শতাংশ হারে কর চাপায় জাপান। ১৯৯৭ সালে তা বেড়ে ৫ শতাংশ হলে জাপানে মন্দা শুরু হয়। ২০১২ সালে তা ফের বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করে দেওয়া হয়েছে।
মালয়েশিয়া
দীর্ঘ ২৬ বছরের বিতর্কের পর ২০১৫ সালে মালয়েশিয়া সরকার জিএসটি বলবৎ করে। রাজধানী কুয়ালা লামপুরে বিক্ষোভ শুরু হয়। তবে গত একবছরে ব্যবসা দারুণ ভালো হতে শুরু করেছে।
অস্ট্রেলিয়া
২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়া জিএসটি চালু করে। এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ায় জিএসটির সর্বোচ্চ হার ১০ শতাংশ। তবে তা বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার ভাবনাচিন্তা চলছে।
নিউ জিল্যান্ড
১৯৮৬ সালে নিউ জিল্যান্ডে ১০ শতাংশ হারে জিএসটি চালু হয়। ১৯৮৯ সালে তা বেড়ে করা হয় ১২.৫ শতাংশ ও ২০১০ সালে তা বেড়ে হয় ১৫ শতাংশ।
সিঙ্গাপুর
সিঙ্গাপুরে ১৯৯৪ সালে জিএসটি চালু হয়। বিভিন্ন গোষ্ঠী সেইসময়ে জিএসটি-র বিরোধিতা করেছিল। এখন সেই ঘটনা ইতিহাস। আইটি সেক্টরের পর সিঙ্গাপুর সরকারের রাজস্ব সংগ্রহের দ্বিতীয় উৎস হল জিএসটি।
ব্রাজিল
জিএসটির বিকল্প হল ভ্যাট। তবে ব্রাজিলে সাও পাওলোয় ১৭ শতাংশ ও রিও দে জেনেইরোয় ১৮ শতাংশ লেভি আদায় করা হয়। এবং ব্রাজিলে অন্তঃরাজ্য সাপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে ৪ থেকে ২৫ শতাংশের মধ্যে লেভি আদায় করা হয়।
কানাডা
১৯৯১ সালে কানাডায় জিএসটি বলবৎ হয়। ভারতের মতোই সেদেশে দ্বৈত মডেল রয়েছে। রাজ্য জিএসটি ও কেন্দ্রীয় জিএসটি। তবে বিভিন্ন প্রদেশকে অপশন দেওয়া ছিল যে রাজ্য অথবা কেন্দ্রীয় কর বেছে নেওয়া যাবে বলে। এর ফলে তিনটি প্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে আইনি পথে যায়। তা নিয়ে পরে নানা পণ্যের দামের হেরফেরও হয়।