রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে এই পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিন একনজরে
আগামী ১৭ জুলাই ভারতের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি তথ্য জেনে নিন একনজরে।
আগামী ১৭ জুলাই ভারতের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এবছর যিনি এই পদে আসবেন তিনি হবেন চতুর্দশতম রাষ্ট্রপতি। ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে পরপর দু'বার রাজেন্দ্র প্রসাদ রাষ্ট্রপতি পদে ছিলেন। তারপরে আর কেউ দু'বার রাষ্ট্রপতি পদে বসেননি। লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের চেয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনেকটা আলাদা। এর পদ্ধতি বেশ জটিল। সাধারণ ভোটের মতো আমজনতা ভোট দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে না। তাদের দ্বারা নির্বাচিত বিধায়ক, সাংসদরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দায়িত্বে থাকেন। এহেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি তথ্য জেনে নিন একনজরে। আরও পড়ুন : (১৯৫২-২০১৭) ভারতীয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ইতিহাস জেনে নিন একনজরে
ভোটের বৈধতা
ভারতের প্রায় সমস্ত ভোটই এখন ইভিএমে হয়। তবে রাষ্ট্রপতি ভোট হয় ব্যালট পেপারে। সবুজ রঙের পেপার থাকে সাংসদদের জন্য। অন্দিকে গোলাপি পেপার থাকে বিধায়কদের জন্য। সাংসদদের ব্যালট পেপারে হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় লেখা থাকে। অন্যদিকে বিধায়কদের ব্যালট পেপারে ইংরেজি ও সেই রাজ্যের আঞ্চলিক ভাষায় লেখা থাকে। ভোট বৈধ করতে গেলে কাকে পছন্দ তার স্পষ্ট উল্লেখ করতে হয়। দ্বিতীয় পছন্দ জানানো যায় অথবা নাও যেতে পারে। যদি ঠিকমতো পছন্দ না জানানো হয় তাহলে ব্যালট বৈধ নাও হতে পারে। পছন্দ জানাতে হলে এক, দুই, তিন এভাবে লেখা অংশে টিক দিতে হয়। ১,২,৩ এভাবে না লেখা থাকে না।
নমিনেশন বাতিল প্রক্রিয়া
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে গেলে কিছু শর্ত মানতে হয়। যেমন তাঁকে ভারতের বাসিন্দা হতে হবে। ৩৫ বছরের বেশি বয়স হতে হবে। লেকসভার সদস্য হওয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে। সরকারের কোনও লাভজনক সংস্থার অংশীদার হওয়া যাবে না। তবে রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল, উপ রাষ্ট্রপতি, রাজ্য ও কেন্দ্রের মন্ত্রীদের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় রয়েছে।
প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, ১৯৭৭ সালে কোনওরকম প্রতিযোগিতা ছাড়াই নীলম সঞ্জীব রেড্ডি জয়ী হন। কারণ মোট ৩৭ জনের মধ্যে ৩৬ জন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর আবেদন বাতিল হয়েছিল।
পোলিং বুথের নির্বাচন
সাধারণ নির্বাচনে ভোটাররা পোলিং বুথ নির্বাচন করতে পারেন না। যে বুথে ভোট পড়ে সেখানেই গিয়ে ভোট দিয়ে আসতে হয়। তবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সাংসদ, বিধায়করা পোলিং বুথ পছন্দ করতে পারেন। কেউ যদি দিল্লিতে এসে ভোট দিতে না চান, সেক্ষেত্রে অন্তত ১০দিন আগে তা নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হয়। কিছুক্ষেত্রে অন্য রাজ্যের রাজধানীতেও ভোটের ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ডিপোজিট
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলা প্রার্থীর ১৫ হাজার টাকা জমা রাখতে হয়। ১৯৭৪ সালে তা ছিল ২৫০০ টাকা। এবং ১৯৯৭ সালে তা বাড়িয়ে করা হয় ১৫ হাজার টাকা। কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারলেও সেই টাকা আর ফেরত দেওয়া হয় না।
সংসদ ভবনে ভোট গণনা
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোট গণনা শুধুমাত্র নয়াদিল্লির সংসদ ভবনেই হয়। অন্য কোথাও ভোট হলে সেই ব্যালট পেপার দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়। বিভিন্ন রাজ্যের প্রিসাইডিং অফিসার আলাদাভাবে তা সিল করে পাঠিয়ে দেন। তারা সেখানে গণনা করেন না। প্রার্থীর নির্বাচিত ব্যক্তির সামনেই ভোটগণনা করা হয়।