ভারতের প্রায় অর্ধেক আইনজীবীই নকল, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার
দেশের প্রায় ৪৫ শতাংশ আইনজীবীই নকল। এমন দাবি আর কারও নয়, খোদ বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার। ২ বছর ধরে ভেরিফিকেশন চালানোর পরে এমন চাঞ্চল্যকর রিপোর্টই তৈরি করেছে তারা।
দেশের প্রায় ৪৫ শতাংশ আইনজীবীই নকল। এমন দাবি আর কারও নয়, খোদ বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার। ২ বছর ধরে ভেরিফিকেশন চালানোর পরে এমন চাঞ্চল্যকর রিপোর্টই তৈরি করেছে তারা।[এই একটিমাত্র তথ্যই বোঝাবে বাংলায় আইনশৃঙ্খলার কেন দিনদিন অবনতি হচ্ছে!]
কয়েকদিন আগেই বার কাউন্সিলের প্রধান মনন কুমার মিশ্র সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জেএস খেহর ও অন্য সিনিয়র বিচারপতিদের সামনে এক অনুষ্ঠানে জানান, সারা দেশের বিভিন্ন আদালতে যারা আইনজীবী সেজে ঘুরে বেড়ান তাদের আসল সংখ্যা ইতিমধ্যে ৫৫-৬০ শতাংশে ছেঁটে আনা হয়েছে।[(ছবি) কোন উন্নত দেশে কত বড় অঙ্কের নোট বাজারে চলে জানেন কি?]
অর্থাত সারা দেশে ভেরিফিকেশনের পরে দেখা গিয়েছে, আসল আইনজীবীর সংখ্যা আদালতে ঘুরে বেড়ানো মোট আইনজীবীর সংখ্যার মাত্র ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ। অর্থাত বাকীরা আইনজীবীই নন।[অবিশ্বাস্য : এই ৮ জনের কাছে রয়েছে পৃথিবীর মোট সম্পদের অর্ধেক]
বার কাউন্সিলের প্রধান জানান, ২০১২ সালের হিসাব অনুযায়ী আমাদের ভোটার ছিল ১৪ লক্ষ। তবে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরে তা কমে ৬.৫ লক্ষে এসে দাঁড়িয়েছে।[জঙ্গিরা কত মাস মাইনে পায় জানেন? জেনে নিন কী বলছে গোয়েন্দা রিপোর্ট ]
এই ভোটাররা হলেন আদতে আইনজীবী যারা রাজ্য বার কাউন্সিলের অধীনে থেকে জেলা, দায়রা ও উচ্চ আদালতগুলিতে আইনের পেশা চালান। এত জাল আইনজীবীর সংখ্যা সামনে আসা নিয়ে প্রধান বিচারপতি খেহর জানিয়েছেন, বার কাউন্সিল এমন পদক্ষেপ করায় সকলেই খুব খুশি।
প্রধান বিচারপতির মতে, অনেকেই রয়েছেন যারা কোনও ডিগ্রি ছাড়াই আদালতে গিয়ে আইনজীবীর পেশা পালন করে রোজগার করেন। এদের কোনও লাইসেন্স নেই। কোনও অধিকার ও এক্রিয়ার ছাড়াই এরা বিভিন্ন আদালতে গিয়ে আইনের পেশাকে নিজের হাতে তুলে নিচ্ছেন। আইনের পেশায় অপরাধীদের যোগদান যাতে কোনওভাবে না হয় তা বার কাউন্সিলের ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সুনিশ্চিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি খেহর।
অনুষ্ঠান প্রধান বিচারপতি বার কাউন্সিলের কাছে নবাগত আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা জানান। এতে আইনের পেশাই লাভবান হবে বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর মতে, আইনজীবীরা সমাজের সেবা করেন। ফলে তাদের সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাই তাদের নিজের পেশা সম্পর্কে সম্ম্যক ধারণা থাকতে হবে। তাহলেই তারা সমাজের কাজে আসতে পারবেন।