সমীক্ষা: ৪ জন পিছু ১ জন দিল্লি ভোটারের নাম অপসারণের প্রয়োজনীয়তা আছে
নয়াদিল্লি, ২৯ জানুয়ারি : ত্রুটির কারণে ভোটার তালিকা থেকে প্রায় চারজন পিছু এক জনের নাম বাদ পরার যোগ্য। আপাতভাবে সংখ্যাটা কম মনে হলেও তা প্রায় ঠেকছে গিয়ে ২০ লক্ষ ৯০ হাজার ভোটারে গিয়ে। একটি বেসরকারি সমীক্ষায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এই তথ্য চ্যালেঞ্জিংও বটে কারণ আসন্ন দিল্লি নির্বাচনে ব্য়বধান যেখানে কম সেখানে এই ভোটাররা কোনও প্রার্থীর জয়ের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।
দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনের ফল ঘোষণা ১০ ফেব্রুয়ারি। তারই আগে বেঙ্গালুরুর একটি স্বেচ্ছেসেবী সংস্থা জনগ্রহ যথাযথ নগর নির্বাচনী তালিকা বা 'পিওর' প্রকাশ করল। এই সংস্থার মতে মোট ১ কোটি ৩০ লক্ষ ভোটারের মধ্যে প্রায় ২০ লক্ষ ৯০ হাজার ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পরার মতো রয়েছে। ১০ লক্ষ ৪০ হাজার ভোটারের কোনও সন্ধানই নেই।
ইন্ডিয়াস্পেন্ড ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মাত্র ৬০ শতাংশ ভোটারের আবেদন ত্রুটিমুক্ত।
সমীক্ষাটি দিল্লির ৮টি বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্রে ৩,২০০ জন ভোটারের ভোটার তালিকায় এন্ট্রি পর্যালোচনা করে দেখেছেন সংস্থার কর্মীরা। রোহিনী বিধানসভা কেন্দ্রে যেখানে ত্রুটির হার সবচেয়ে কম মাত্র ৯ শতাংশ, সেখানে, অন্য সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে এই ত্রুটির হার ১৭ থেকে ৩৩ শতাংশ। সঙ্গম বিহারে এই ত্রুটির হার সবচেয়ে বেশি ৩৩ শতাংশ।
এই ৮ টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৬ টি তেই দেখা গিয়েছে, জয়ী প্রার্থী নিজেদের পক্ষে কমপক্ষে ৫ শতাংশ বেশি ভোট পেয়েছে। গান্ধীনগরে জয়ের ব্যবধানের হার যেখানে এই আটটি কেন্দ্রের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেখানে ভোটার তালিকায় ত্রুটির হারও প্রায় ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। ওখলাতেও জয়ের ব্যবধানের হার ১৯ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোটার তালিকায় নাম তোলার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হলেও ভোটার তালিকা থেকে নাম অপনয়নের গুরুত্ব ভারতে এখনও সেভাবে প্রচলিত হয়নি। কিন্তু ভোটার তালিকা ম্যানেজমেন্ট কর্মসূচি গ্রহণ করাটা অত্যন্ত জরুরি।