পিকে রিভিউ : একশোতে ৯৯ হিরানিকে, আমির পাবেন ১০১
বেঙ্গালুরু, ১৯ ডিসেম্বর : বহু প্রতিক্ষীত সেই 'পিকে' অবশেষে মুক্তি পেল বড়পর্দায়। তবে রিভিউ লেখার আগে সবার কাছে অনুরোধ করতে চাই রাজকুমার হিরানির এই মাস্টারপিসটি অবশ্যই প্রেক্ষাগৃহে দেখবেন।
এই ছবির ৮০ শতাংশ কৃতিত্ব পরিচালক রাজু হিরানিরই। যে বিষয়টি নিয়ে তিনি ছবিটি বানিয়েছেন, এ তো কল্পনাতেও আসবে না। তার উপর সেই বিষয়টিকে এত সুন্দরভাবে টিভির পর্দায় তুলে ধরা। অভিনয় তো ভাল বটেই তবে এই ছবির হৃৎপিণ্ড চিত্রনাট্যই। এই ছবিতে দুর্দান্ত চিত্রনাট্যর পাশাপাশি খুব শক্তিশালী বার্তাও রয়েছে।
ছবির
পটভূমি
পিকে
আসলে
কী
নিয়ে
তৈরি
তা
এখনও
অনেকের
কাছেই
স্পষ্ট
নয়।
পিকে-টিজারেও
স্পষ্ট
নয়,
পিকে
অন্য
দুনিয়ার
প্রানী,
মহাকাশচারি,
নাকি
কোনও
জালিয়াত।
কোন
বিষয়ে
ছবি
তাও
স্পষ্ট
করা
হয়নি।
পরিচালক
চতুর
বলেই
সেই
বিষয়ে
প্রকাশ
করেনননি।
এটি
কোনও
কমেডি
সিনেমাও
নয়,
যেভাবে
এখনও
পর্যন্ত
ছবিটিকে
দেখানো
হয়েছে।
ছবিটি আসলে ভগবানকে নিয়ে এবং ভগবানে ভয় পাওয়া মানুষদের নিয়ে একটি স্যাটায়ার। কিন্তু একেবারে ছাপ মারা বলিউড সিনেমা গোছের তো নয়। এই টুকু পড়ে অনেকে ভাবতে পারেন তবে কি পরেশ রাওয়াল, অক্ষয় কুমার অভিনীত 'ওহ মাই গড' সিনেমাটির ধরণের? একেবারেই না।
ছবির
কাহিনি
বেলজিয়ামের
সাংবাদিকতার
ছাত্রী
জগ্গু
(অনুষ্কা
শর্মা)।
পড়াশোনা
শেষ
করার
পর
সে
ঠিক
করে
ভারতে
নিজের
বাড়িতেই
ফিরে
যাবে
সে।
আর
সেখানেই
তার
সঙ্গে
দেখা
হবে
পিকে-র
(আমির
খান)।
একটি
অদ্ভুদ
ছেলে।
যে
অনেক
কিছুর
উপরই
মুগ্ধ
যা
সমাজে
আমাদের
চারিদিকে
ঘটছে।
তার
জীবনের
ফান্ডা
হচ্ছে,
'প্রত্যেক
ব্রিজে
এটিএম
রয়েছে'
এবং
'যে
কোনও
নিঃঝুম
স্থানে
জামাকাপড়ের
দোকান
রয়েছে।'
পিকে বাকি সবার থেকে আলাদা। আর তাই তার মাথায় অদ্ভুদ অদ্ভুদ সব প্রশ্ন জন্ম নেয়। আর সেই প্রশ্নগুলো জগ্গুকেও নাড়া দেয়। আর সেই কৌতুহল নিরসনেই একটি যাত্রা শুরু করে পিকে ও জগ্গু। আর এই যাত্র ঘিরেই গল্প এগোতে থাকে।
সুশান্ত সিং রাজপুত, সঞ্জয় দত্ত, বোমান ইরানি এবং সৌরভ শুক্লা কী চরিত্রে অভিনয় করছেন এবং কীভাবে তারা পিকের মুখোমুখি হয় তা জানতে হলে গিয়ে ছবিটি দেখতে হবে। বিশ্বাস করুন হতাশ হবেন না।
অভিনয়
প্রত্যাশিতভাবেই
এই
ছবির
পুরো
লাইমলাইটটা
শুষে
নিয়েছেন
আমির
খান।
তাঁর
সবুজ
চোখ,
অস্বাভাবিকভাবে
বেরিয়ে
থাকা
কান,
তাঁর
হাস্যকর
ভোজপুরী
উচ্চারণ
এই
ছবির
রক্তমাংস।
সত্যিই
তাঁর
জীবনের
সেরা
অভিনয়টা
উজাড়
করে
দিয়েছেন
আমির।
নিজের মিষ্টি মেয়ে ইমেজটা বজায় রেখে যথার্থ অভিনয় করেছেন অনষ্কা। এই ছবিতে ছোট একটি চরিত্রে দেখা গিয়েছে বোমান ইরানিকে। বোমান বড় অভিনেতা। ছোট চরিত্রতেও তা প্রমাণ করতে অসুবিধা হয়নি তার। সঞ্জয় দত্তর গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স নিয়েও কিছু বলার জায়গা নেই। বলতে হলে বলব সুশান্তের কথা। বড় অল্প সময়ের জন্য পর্দায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। সুশান্তকে আর একটু দেখার সুযোগ পেলে মন্দ হতো না।
ছবি
নিয়ে
মত
এই
ছবিকে
এককথায়
'পয়সা
ভসুল
এন্টারটেনমেন্ট
ব্লাস্টার
মুভি'
বলাই
যেতে
পারে।
অভিনয়
অসাধারণ.
চিত্রনাট্য
অভাবনীয়।
আর
যে
বার্তাটি
রাজু
হিরানি
দিতে
চেয়েছে
তা
অতি
সহজ
ভাজায়
স্পষ্টভাবে
পৌছেছে
দর্শকের
কাছে।
একশোতে
৯৯পাবেন
রাজু।
১
নম্বর
কাটা
যাবে
সুশান্তকে
যেভাবে
ব্যবহার
করেছেন
তার
জন্য।
তবে
আমির
১০১
পেয়ে
তা
পুষিয়ে
দিয়েছেন।
সবমিলিয়ে
পিকে
একশো
শতাংশই
সুপারহিট।