সিনেমা রিভিউ : এই 'ডার্ক চকোলেট' একটু বেশিই তেঁতো
ডার্ক চকোলেটের স্বাদ সবার মুখে রোচে না। কারও কারও তিতকুটে লাগে। অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের ডার্ক চকোলেট একটু বেশিই যেন তিতকুটে লাগল। মিষ্টির বড়ই অভাব।
কুখ্যাত শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডের কাহিনীর উপর ভিত্তি করেই এই ছবি। ইন্দ্রাণী মুখার্জি ও শিনা বোরার সম্পর্কের টানাপোড়েন, এবং ইন্দ্রানীর ষড়যন্ত্রের শিনার হত্যার গল্প নিয়েই চিত্রনাট্য বেঁধেছেন অগ্নিদেব। তবে এই শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডের জেরে যেভাবে লক্ষ্মীলাভ হয়েছিল নিউজ চ্যানেলগুলির তা অবিশ্বাস্য। সেই উন্মাদনাটা ছবিতে আনতে পুরোপুরি ব্যর্থ হলেন অগ্নিদেব। তার জন্য অবশ্য চিত্রনাট্যকে সেভাবে দোষ না দিয়ে বরং কাস্টিংকে কিছুটা দায়ী করা যেতে পারে।
ইন্দ্রাণী মুখার্জির ভূমিকায় বলিউড থেকে উড়ে এসে অভিনয় করেছেন মহিমা রায় চৌধুরি। শিনার চরিত্রে রিয়া সেন, পিটার মুখার্জির ভূমিকায় সুদীপ মুখোপাধ্যায়। ইন্দ্রানীর চরিত্রের নাম এখানে হয়েছে ইশানী বন্দ্যোপাধ্যায় আর পিটার হয়েছেন ভিক্টর। শিনার নাম পাল্টে করা হয়েছে রিনা।
এমনিতেই বেশ জটিল সম্পর্কের মারপ্যাঁচ রয়েছে শিনা বোরা মামলায়। যদিও সেই জটকে সহজভাবে ট্রেলারে দেখাতে পারলেও পূর্ণাঙ্গে দৈর্ঘ্যের ছবিতে একের পর এক ধাঁধা খুলতে গিয়ে আরও বড় জট পাকিয়েছেন পরিচালক নিজেই।
টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ট্রেলার দেখে কৌতুহল বাড়িয়ে এই ছবি শুরু থেকে শেষ দেখতে বসলাম, কিছুটা দেখার পরই উত্তেজনা হাওয়া হয়ে ক্রমশ বিরক্তি চেপে ধরছিল। রিয়া সেনের গলায় যিনি ডাবিং করেছেন তাঁর মেকি উচ্চারণ, রিয়ার পুরুষদের সিডিউসড করার হাস্যকর অভিব্যক্তি, মুমতাজের জোর করে শিখে বলা গালাগালি উফ জাস্ট নেওয়া যাচ্ছিল না।
ট্রেলারেও এর ঝলক দেখা গেছিল, তবে কয়েক মিনিটের ঝলকে বোঝা যায়নি ছবিতে এই জিনিসগুলিই এত বিরক্তিকর হতে পারে।
তবুও যদি ছবিটির সম্পর্কে ভাল কিছু বলতে হয় তবে বলব দুজনের কথা, একজন ইন্দ্রানী মুখার্জির চরিত্রে অভিনয় করা মহিমা চৌধুরি এবং দ্বিতীয় জন তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করা ইন্দ্রাশীস রায়। প্রথম বাংলা ছবিতে মহিমা অভিনয় করলেন বলে লাফালাফি করা হলেও তাঁর অধিকাংশ সংলাপই হিন্দিতে। তাই হয়তো স্বাচ্ছন্দে অভিনয় করতে পেরেছেন তিনি। তাক লাগানো অভিনয় না করলেও বাকিদের মতো অসহ্য ছিলেন না মহিমা এই যা শান্তি।