'জব উই মেট' থেকে 'জব হ্যারি মেট সেজল' ছক ভাঙেননি ইমতিয়াজ, ছবিতে 'দুরন্ত' শাহরুখ-অনুষ্কা
'টিউবলাইট', 'জাগ্গা জাসুস' পর পর মুখ থুবড়ে পড়ার পর শাহরুখ অভিনীত 'জব হ্যারি মেট সেজল' বক্স অফিসকে কতটা জমজমাট রাখতে পারে তা নিয়ে রয়েছে প্রচুর জল্পনা।
অভিনয়- শাহরুখ খান, অনুষ্কা শর্মা
পরিচালনা- ইমতিয়াজ আলি
বলিউড বিগ শট সলমন, রনবীরের একের পর এক ছবি বক্স অফিসে ধাক্কা খেয়েছে। এরকম একটা অবস্থায় গোটা ইন্ডাস্ট্রির নজর রয়েছে বলিউডের 'বাদশা' শাহরুখ খানের দিকে। 'টিউবলাইট', 'জাগ্গা জাসুস' পর পর মুখ থুবড়ে পড়ার পর শাহরুখ অভিনীত 'জব হ্যারি মেট সেজল' বক্স অফিসকে কতটা জমজমাট রাখতে পারে তা নিয়ে রয়েছে প্রচুর জল্পনা।
হালকা মেজাজে একটা গভীর বার্তায় দর্শককে গেঁথে ফেলে ছবি বানিয়ে থাকেন পরিচালক ইমতিয়াজ আলি। ইমতিয়াজের সেই ছক এই ছবিতেও ভাঙেনি।
প্রেক্ষাপট
ছবির প্রেক্ষাপট ইওরোপ। অ্যামস্টরডাম থেকে শুরু করে ইওরোপের নানা চোখ ধাঁধানো জায়গাকে কেন্দ্র করে এগিয়ে গিয়েছে ছবির গল্প। ছবির মূল আকর্ষণ যদি শহরুখ-অনুষ্কার প্রেম কাহিনি হয়, তাহলে ছবির আরেকটি আকর্ষণ অবশ্যই এই ছবির মনজয় করা বিভিন্ন দেশ বিদেশের দৃশ্য। শেষে পাঞ্জাবের নৈসর্গিক সৌন্দর্য তুলে ধরতেও এক ফোঁটা কার্পণ্য করেননি ইমতিয়াজ।
ছবির গল্প
ছবিতে দেখানো হয়েছে সেজল অর্থাখ অনুষ্কা শর্মার বাগদানের আংটি হারিয়ে গিয়েছে অ্যামস্টারডমের কোনো জায়গায়। সেই আংটি খুঁজে বার করার জন্য অনুষ্কা সাহায্য নেন ট্যুর গাইড হ্যারি অর্থাৎ শাহরুখ খানের । আর এভাবেই হ্যারির সঙ্গে দেখা হয় সেজলের। নিজেদের সফরে যাঁরা অবিষ্কার করেন একে অপরকে। জীবনের ইতিবাচক দিক গুলি থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলা হ্যারি খুঁজে পান প্রেমের 'মানে'। হ্যারির এই সফর থেকে শুষে নেওয়া বাস্তব, তাঁকে শিক্ষা দেয় জীবন সম্পর্কে। কীভাবে ইচ্ছে থাকলে তাকে পেতে হয়, সেই রাস্তা হ্যারিকে দেখায় সেজল। সবচেয়ে বড় কথা অন্যকে চেনার চেয়ে নিজেকে আগে চিনে নেওয়াটা যে অনেক বেশি জরুরী সেই বার্তাই সেজলের মাধ্যমে ছবিতে দিয়েছেন পরিচালক।
অভিনয়
'রাজ',
'রাহুল'
-এর
চরিত্রে
শাহরুখকে
'কলেজ
প্রেম'
করতে
দেখেছে
তাঁর
দর্শককূল।
৯০-এর
দশকের
শাহরুখের
সেই
সব
প্রেমের
ছবিতে
মাত
হয়েছিল
একটা
গোটা
জেনারেশন।
সেই
জেনারেশনের
সঙ্গে
দিনে
দিনে
যোগ
হয়েছে
শাহরুখের
নতুন
ফ্যান
ফলোইং
-ও
।
যাঁদের
কাছে
শাহরুখ
সেই
পুরনো
মোড়কে
ছেড়ে
ধরা
দিচ্ছেন
নতুন
অবতারে।
বলা
যায়
খানিকটা
পরীক্ষা
নিরীক্ষা
চালাচ্ছেন
নিজের
চরিত্রগুলো
নিয়ে।
'ডিয়ার
জিন্দগি'
-র
জাহাঙ্গির
খান
থেকে
'জব
হ্যারি
মেট
সেজল'-এর
হ্যারি,
এই
ধরনের
চরিত্রে
এক
হালকা
মেজাজে
প্রেমকে
নতুন
ধারায়
তাঁর
ভক্তদের
কাছে
তুলে
ধরছেন
শাহরুখ।
এই
ছবিতেও
নিজের
দক্ষ
অভিনয়ে
তা
ফুটিয়ে
তুলেছেন
'কিং
খান'।
পাশপাশি
অনুষ্কার
অভিনয়
দিন
দিন
যে
পরিণত
হচ্ছে
তার
প্রমাণ
এই
ছবি।
অনুষ্কার
বলিউড
অভিষেক
হয়েছিল
শাহরুখের
সঙ্গে
'রব
নে
বনা
দি
জোড়ি'
ছবিটি
দিয়ে।
সেখানে
থেকে
জব
হ্যারি
মেট
সেজল'
পর্যন্ত
সফরে
অভিনেত্রী
হিসাবে
যে
কতটা
পরিণত
হয়েছেন
অনুষ্কা,
তা
চোখে
পড়ার
মতো।
পরিচালনা
এ ছবি যে ছকে বাঁধা ইমতিয়াজ আলির পরিচালনা-জাত, তা বোঝাই যায়। ছবির দৃশ্য নির্বাচন মনে করিয়ে দেয় তাঁর 'হাইওয়ে' ছবিকে। ' জব উই মেট' থেকে 'জব হ্যারি মেট সেজল' এই গোটা সফরকালে ইমতিয়াজ তাঁর প্রতিটি ছবিতে একটা সূক্ষ্ম বার্তা উপহার দিয়েছেন দর্শককে। এই ছবিতেও মজার মলাটে জীবনের ইতিবাচক দিক নিয়ে একটা আবসাদ কাটিয়ে ওঠার গল্প বুনেছেন ইতমিয়াজ। আর এই গল্প ভারতীয় দর্শকের মনোগ্রাহী করার জন্য সমস্ত রকমের 'মশলা' ছিটিয়ে দিয়েছেন পরিচালক। তবে এই 'মশলা ছেটানোর' কৌশলে আরও একটু সাবধানী হওয়া উচিত ছিল ইমতিয়াজের।
সঙ্গীত
ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন প্রীতম চক্রবর্তী । ইতিমধ্যেই 'রাধা','বাটারফালাই', 'হাওয়ায়েঁ' -এর মতো এই ছবির গানগুলি জায়গা করে নিচ্ছে বহুজনের মোবাইলের প্লে লিস্টে। গানগুলির জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ক্রমাগত উঠছেন বাংলার অরিজিৎ সিং।
সবশেষে
উইকএন্ডে,
ফুরফুরে
মেজাজে
বান্ধবীর
সঙ্গে
মাল্টিপ্লেক্সে
দেখার
মোত
ছবি
'জব
হ্যারি
মেট
সেজল'।
শাহরুখ
ভক্তদের
বাড়তি
পাওনা,
এই
ছবিতে
শাহরুখকে
এক্কেবারে
অন্য
অবতারে
পাওয়া।
সবশেষে
বলা
যায়,
ছবির
মাধ্যমে
ইমতিয়াজ
আলির
দেওয়া
বার্তা
'জব
হ্যারি
মেট
সেজল'-র
আরেকটি
USP।