যুদ্ধ-মৃত্যুর আবহে জীবনের গল্প বলছে নোলানের 'ডানকার্ক', এক কথায় এছবি 'মাস্টারপিস'
চলচ্চিত্র প্রেমীদের জন্য় প্রথমেই বলে রাখা ভালো, এই ছবি থিয়েটারে না গিয়ে দেখলে ঠকবেন! কারণ ক্রিস্টোফার নোলান পরিচালিত এই ছবির পরতে পরতে রয়েছে রোমাঞ্চ আর অসম্ভব শিহরণ জাগানো কিছু মুহূর্ত।
পরিচালক- ক্রিস্টোফার নোলান
অভিনয়- টম হার্ডি, ফিওন হোয়াইট হেড
প্রযোজক- ক্রিস্টোফার নোলান , এম্মা থমাস
চলচ্চিত্র প্রেমীদের জন্য় প্রথমেই বলে রাখা ভালো, এই ছবি থিয়েটারে না গিয়ে দেখলে ঠকবেন! কারণ ক্রিস্টোফার নোলান পরিচালিত এই ছবির পরতে পরতে রয়েছে রোমাঞ্চ আর অসম্ভব শিহরণ জাগানো কিছু মুহূর্ত। যা থিয়েটারের আবহ ছাডা় অনুভব করা অসম্ভব।
ইওরোপীয় ইতিহাসের ডানকার্কের যুদ্ধের নানা দিক সেলুলয়েডে বন্দি করতে চেয়েছেন নোলান। নোলানের এই প্রচেষ্টায় গোটা কাহিনি জুড়ে রয়েছে আতঙ্ক -কৌতূহলের মোড়কে রোমহর্ষক কিছু দৃশ্য, কিছু জীবনবোধের বার্তা।
পটভূমি
দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধের
পটভূমিতে,
একদিকে
ন্যাৎসি
জার্মানি
অন্যদিকে
বিরোধী
শক্তি।
আর
এই
প্রেক্ষাপটেই
ফ্রান্সের
ডানকির্কে
শুরু
হয়
যুদ্ধ।
তবে
ক্রিস্টোফার
নোলানের
এই
ছবি
শুধু
'যুদ্ধ'
নিয়ে
নয়।
এছবি
'মানুষ'কে
নিয়ে
,
মানবতা
নিয়ে
।
যেখানে
সুক্ষ্মভাবে
যুদ্ধ-রক্ত-গোলা-বারুদের
সঙ্গে
জায়গা
করে
নিয়েছে
প্রকৃতির
নানা
মেজাজ।
যুদ্ধের
ভাঁওতাবাজির
মধ্যে
'জীবনে'র
গুরুত্বকে
খুঁজে
পাওয়ার
ছবি
নোলানের
ডানকির্ক।
'টিকে'
থাকার
থেকে
'বেঁচে'
থাকার
কতটা
দামি
,তা
ছবিতে
জল-স্থল
-আকাশের
প্রেক্ষাপটে
অভূতপূর্বভাবে
তুলে
ধরা
হয়েছে।
ছবির গল্প
ফ্রান্সের ডানকির্কে ৪০০০০০ সৈন্য যুদ্ধের এক আজব জাঁতাকলে পড়ে যান। কখনও লড়াই শত্রুর সঙ্গে, কখনও নিজের সঙ্গে আবারা কখনও যুদ্ধের চরম একঘেয়েমির সঙ্গে লড়াই। মানসিক, শারীরিক এই সব লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে , জীবনের গুরুত্বকে তুলে ধরেছেন পরিচালক।
পরিচালনা
দৃশগতভাবে একটা গল্প বলার ক্ষেত্রে বেশ দক্ষতা প্রয়োজন হয় পরিচালকের। ক্রিস্টোফার নোলানের মধ্যে যে সেই গুণ বর্তমান তা আবারও তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। নৈসর্গিক সেট তার সঙ্গে উন্নতমানের সিনেম্যাটোগ্রাফিতে ছবির মূল ভাবনা ফুটিয়ে তুলতে তিনি যাবতীয় কসরৎ করে গিয়েছেন। বুদ্ধিদীপ্ত পরিচালন শক্তি দিয়ে তিনি এই ছবিতে তাঁর দর্শকে নিজের সেরাটা উপহার দিয়েছেন বলা যেতে পারে। সংলাপ চয়নের মাঝে মাঝে 'নিঃশ্চুপ'ভাবকে যেভাবে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন তা বর্ণনার অতীত।
প্রযোজনা
এইছবি ক্রিস্টোফার নোলান-ময়। পরিচালনা থেকে প্রযোজনা সব কিছুতেই যে তাঁর ছাপ স্পষ্ট তা ছবি দেখলেই বোঝা যায়। যেভাবে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে ছবিতে গুলির আওয়াজ , বিমানের শব্দকে ছেঁকে নিয়ে য়োগ করা হয়েছে, তাতে 'প্রযোজক' নোলানের শিল্পনিপুণ মানসিকতার ছাপ যথেষ্ট।
সবশেষে
অনেকেই মনে করছেন 'ডানকির্ক'-এর ঝুলিতে হয়োত এবছরের বহু পুরস্কারই চলে আসবে। তবে তা শুধু নোলানের জন্য নয়, ছবির সার্বিক কাজ তথা ক্যামেরায় প্রযুক্তির ব্যবহারের জন্যই। তবে সবশেষে বলা যায়, এইছবি নোলানের অন্যতম 'মাস্টারপিস' হয়ে অবশ্যই থাকবে।