সিনেমা ব্যবসায়ে ক্ষতি : ফের পাকিস্তানে প্রদর্শন হবে ভারতীয় সিনেমা?
ফের পাকিস্তানে চালু হতে পারে, বলিউড সিনেমার প্রদর্শন। পাকিস্তানের ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউটাররা বলিউড সিনেমার প্রদর্শন ফের একবার চালু করবার জন্য আবেদন জানায় পাক প্রশাসনকে।
করাচি, ১৮ জানুয়ারি : ভারতীয় সিনেমা না দেখালে বাঁচবে না পাকিস্তানের সিনেমা হলগুলি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্রমাবনতিতে সিনেমা হল মালিকদের গড়ে ৭৫ শতাংশ করে আয় কমেছে। ফলে বাধ্য হয়েই ফের একবার ভারতীয় সিনেমা দেখানোর বিষয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে পাকিস্তানে।
বলিউডের সিনেমাকে নিষিদ্ধ করা থেকে এক পা পিছিয়ে আসতে চলেছে পাকিস্তান। খবর, ফের পাকিস্তানে চালু হতে পারে, ভারতীয় সিনেমার প্রদর্শন। বাণিজ্যিকভাবে পাকিস্তানে আমদানি হতে পারে বলিউড সিনেমা। ভারতীয় সিনেমা না দেখানোর ফলে ইতিমধ্যেই আর্থিকভাবে ধুঁকছে বহু পাকিস্তানি সিনেমা হল।
পাক অভিনেত্রী মাহিরা খান ও বলিউড বাদশা শাহরুখ খান অভিনীত 'রইস' মুক্তির আগে এমনই উদ্যোগ নিতে চলেছে পাকিস্তানের ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউটাররা। সূ্ত্র থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে বলিউড ফিল্মগুলি নিষিদ্ধ করার ফলে তাদের ব্যাবসায়িক ক্ষতি প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছিল। এই নিষিদ্ধকরণের পর পাকিস্তানের থিয়েটারগুলিতে আয়ের প্রায় ৭৫ শতাংশ কমে যেতে থাকে।
খবর, পাকিস্তানের ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউটাররা বলিউড সিনেমার প্রদর্শন ফের একবার চালু করবার জন্য আবেদন জানিয়েছিল পাক প্রশাসনের কাছে। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এই সংক্রান্ত একটি কমিটিও তৈরি করেছেন ।
এই কমিটির মধ্যে রয়েছেন, পাক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী, সেদেশের বাণিজ্য বিষয়ক সচিব, এবং পাক প্রধানমন্ত্রীর এক বিশেষ উপদেষ্টা ও পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের এক প্রতিনিধি। এমনিতে পাকিস্তানে ভারতীয় সিনেমা আইনত নিষিদ্ধ হয়ে রয়েছে। তবে সেদেশের বাণিজ্য মন্ত্রকের আমদানি নীতি অনুযায়ী, তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রককে বলিউডের সিনেমার প্রদর্শন থেকে ছাড় দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। যে নিয়ম অনুযায়ী প্রতিমাসে ২ থেকে ৩টে বলিউড সিনেমা আমদানি করতে পারবে পাকিস্তান।
প্রসঙ্গত, উরিতে ভারতীয় সেনা ক্যাম্পে পাক হামলার পর বলিউডের পাকিস্তানি অভিনেতাদের বিরোধিতা করে বহু রাজনৈতিক দল। পাক অভিনেতাদের অনেকেই এদেশ ছাড়তে বাধ্য হন। তারপর সেই ঘটনার পাল্টা হিসাবে, পাকিস্তানও তাদের দেশে নিষিদ্ধ করে ভারতীয় সিনেমার প্রদর্শন।
বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় সোস্যাল মিডিয়াতে সমালোচনার ঝড়ও বয়ে যায়। শুরু হয় 'ট্রোল'। মজা করে বলা হয় ভারতীয় ছবি নিষিদ্ধ করলে পাকিস্তান কোনও দিনও জানতে পারবেনা, 'বাহুবলী' ছবিতে কাটাপ্পা কেন বাহুবলীকে হত্যা করে...। কারণ তার উত্তর 'বাহুবলী 'ছবির সিক্যুয়ালে রয়েছে।