'মুমতাজ খুবই আন্ডাররেটেড অ্যাকট্রেস' বলছেন 'রক্তকরবী'-র পরিচালক অমিতাভ ভট্টাচার্য, আর কি বললেন তিনি
বাঙালী সংস্কৃতির একটা বিশালাকাশ জুডে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ। তাঁর সমাজবোধ থেকে জীবন-দর্শন বারেবারে বাঙালীকে রসদ যুগিয়ে আসছে। রবীন্দ্রনাথের যে কোনও কীর্তির প্রতিই বাঙালির আবেগ তুমুল।
বাঙালী সংস্কৃতির একটা বিশালাকাশ জুড়ে রয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর সমাজবোধ থেকে জীবন-দর্শন বারেবারে বাঙালীকে রসদ যুগিয়ে আসছে। রবীন্দ্রনাথের যে কোনও কীর্তির প্রতিই বাঙালির আবেগ তুমুল। তাই রবীন্দ্রনাথের লেখা নাটক কিম্বা উপন্যাস নিয়ে চলচ্চিত্রায়ণের কাজ বিরাট চ্যালেঞ্জ। কারণ সেই 'কাজের' এক দিকে যেমন রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর সাহিত্যভাবনা অন্যদিকে তেমনই রয়েছে রবীন্দ্রনাথকে কেন্দ্র করে বাঙালীর আবেগ।
এই দুরূহ চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখেই তৈরি হয়েছে পরিচালক অমিতাভ ভট্টাচার্যের ছবি 'রক্তকরবী'। ছবি মুক্তির আগে ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলার মুখোমুখি হলেন পরিচালক অমিতাভ ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে আলোচনায় যেমন উঠে এসেছে, 'রক্ত করবী' নিয়ে নানা কথা। তেমনই উঠে এসেছে , বাংলা সিনেমা সম্পর্কিত নানা দিক।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা- একদিকে রবীন্দ্রনাথের নাটক অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, এই ছবি তৈরি করাটা কতটা চ্যালেঞ্জের ছিল?
অমিতাভ- এটা ভীষণই বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, রবি ঠাকুরের 'রক্তকরবী' একটা চরম রাজনৈতিক নাটক। রক্তকরবীর ইন্টার-প্রিটেশন আমার জীবনে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ এই কারণে যে একেই বাঙালির রবীন্দ্রনাথ নিয়ে আবেগতাড়িত এবং তারপর বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে তুলে ধরা! কাজটা একদমই সহজ ছিল না। এবং এই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের ইন্টার প্রিটেশন!...
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা- সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবেশের সঙ্গে কতটা সম্পর্কিত এই ছবি ? মানে,দর্শক এই ছবির সঙ্গে কতটা 'রিলেট' করতে পারবেন নিজেদের?
অমিতাভ- 'রক্তকরবী'-তে বারেবারে রবি ঠাকুর বলতে চেয়েছেন, যে রাজত্বটা চলছে তা রাজাকে কেন্দ্র করেই সবটা চলছে। তবে রাজাই সবটা অপরেট করছেন?এটা কী সত্যি? নাকি নেপথ্যে কিছু রয়েছে? যদি প্রেক্ষাপট ধরা যায়, তাহলে ভারতীয় প্রেক্ষাপটে তো এ ছবি আসবেই। এখানে প্রেক্ষাপট কাল্পনিক হিসাবে দেখানো হয়েছে যদিও। তবে সিনেমার চরিত্রগুলোর সঙ্গে হয়তো কারও, কোনও জায়গায় মিল আসলেও আসতে পারে।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা- 'কন্ডিশনস অ্যপ্লাই' এর পর 'রক্তকরবী', মুমতাজ-উষসীর সঙ্গে ফের টিম-আপ... কী বলবেন?
অমিতাভ- আমি এর আগে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি মুমতাজ খুবই 'আন্ডাররেটেড অ্যাকট্রেস'। ওঁর অভিনয় গুণ সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হয়, আমরা পরিচালকরা তো কিছু ছাঁচ নিয়ে ঘুরে বেড়াই, আমাদের এমন মাটি প্রয়োজন হয়,যে মাটিটা ফেললে 'ওয়ার্ক' করে। সে ক্ষেত্রে মুমতাজকে যদি ঠিকঠাকভাবে গাইড করা যায়, তাহলে ওঁর থেকে ভালো অভিনেত্রী কম হয়। 'কন্ডিশনস অ্যাপ্লাই' যাঁরা দেখেছেন বা 'রক্তকরবী' যাঁরা দেখবেন, তাঁরা দুটো তুলনা করলে বুঝবেন যে একজন অভিনেত্রীর মাত্রা কোথায় যেতে পারে। সঠিক চরিত্র নির্বাচন, সঠিক পরিচালনা, সঠিক চিত্রনাট্য ..। আর যদি উষসী সম্পর্কে বলতে হয়, উষসী চক্রবর্তী নিজেই জানেন না উনি কত বড় অভিনেত্রী! কত ভালো বা পরিণত অভিনেত্রী... মুমতাজ বা উষসী এমনিতে তো শিক্ষিতা অভিনেত্রী..তাই চরিত্র নিয়ে এঁদের মাইন্ডসেট তৈরি করে নেওয়া গেলে, আর ভাবতে হয়না। এঁরা নিজেরাই সেই চরিত্রটাকে গড়ে ফেলেন। শ্যুটিং এর সময়, এঁরা নিজেরাই এতটা তৈরি হয়ে থাকেন যে ওঁদের খুব একটা গাইড করতে হয় না। দু'জনের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা দেখুন, আমরা তো বন্ধুর মতো করে কাজ করি। ছবি বানাতে গেলে একটা দল তৈরি হয়। আর সেই দল নিয়ে কাজ করতে হয়, তো বন্ধুরা মিলে যখন কোনও দল হয়, সে দলটার বোঝাপড়া এমনিই ভালো হতে বাধ্য।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা- 'রক্তকরবী'র ইউএসপি যদি কিছু বলতে বলা হয়, তাহলে সেটা কী হবে?
অমিতাভ- 'রক্তকরবী' নিজেই একটা ইউএসপি। বাঙালির কাছে 'রক্তকরবী' এমন একটা সেন্টিমেন্ট, যে এটা নিয়ে নাটক হলেও কলকাতায় সেটা হাউসফুল হবে। আমরা সর্বাঙ্গীন প্রচেষ্টা করেছি। কাস্ট ,ক্রিউ, মিউজিক টিম, সবাই চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেছি ভালো ছবি উপহার দেওয়ার। বাকিটা দর্শকের ওপর ছাড়তে হবে। সবার ওপর দর্শক সত্য!
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা- এই ছবির ৩টি বিষয়, যা দর্শককে মাল্টিপ্লেক্সমুখী করবে ...
অমিতাভ- রক্তকরবীর কাহিনি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.. তাঁর নাটকের অনেকাংশই এই ছবিতে ব্যবহৃত হয়েছে, তাঁর গান, দেবজ্য়োতি মিশ্রর মিউজিক এবং বাকি সবার অভিনয়।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা- আর পরিচালকের পরিশ্রম?
অমিতাভ- বাকি সবগুলো যদি ভালো হয়ে ওঠে তাহলে সেটাই পরিচালকের তৈরি করা জিনিস। এরমধ্যে যদি কোনও ভুল থেকে যায়, তাহলে সেটাই পরিচালকের ভুল হয়ে যায়।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা- এই ছবিতে একঝাঁক বাংলার গুণী অভিনেতা অভিনেত্রী রয়েছেন, কাকে বেশি নম্বর দেবেন?
অমিতাভ- এটা দেওয়া সম্ভবই নয় । প্রত্যেক অভিনেতা অভিনেত্রী যাঁরা এখানে অভিনয় করেছেন তাঁরা আমাকে অবাক করেছেন। কারণ কেউ কেউ খুবই ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কিন্তু, সেটার প্রতি তাঁদের একাত্মবোধ আমাকে অবাক করেছে! এটা বলতে পারি, এই ছবি দেখার পর দর্শকরা অনেককেই নতুন করে আবিষ্কার করবেন এই অভিনেতা অভিনেত্রীদের। আর এই মানুষগুলো(অভিনেতা অভিনেত্রীরা) নিজেদের ব্যক্তিত্বকে ভেঙে যে ভাবে চরিত্র হয়ে উঠেছেন, সেটা আমার কাছে সবচেয়ে বড় ব্যাপার। তাই এখানে আমি কাউকে আলাদা করতেপারব না। তবে এটা আমি বলতে পারি, শান্তিদা, মুমতাজ , বাবানদাদের তুলনায় হয়তো, সাগ্নিক, টিটোদা, উষসী এঁদের চরিত্রে স্পেস একটু কম ছিল ডিউরেশন অনুযায়ী। সেক্ষেত্রে সবাই এত ভালো 'জাস্টিফাই' করেছেন.. তা নিয়ে দর্শক বলতে পারবেন ভালো!
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা- শ্য়ুটিং এর সময়ের কিছু অভিজ্ঞতা যদি শেয়ার করেন...
অমিতাভ- শ্যুটিং-এর সময় বিখ্যাত এই অভিনেতারা যেভাবে সহযোগিতা করেছেন তা অবাক করার মতো। একটা শট যখন হচ্ছে তখন আরেক জন চুপচাপ বসে রয়েছেন। কেউ আমায় কোনও দিনও বলেননি যে 'আমার শটটা একটু তাড়াতাড়ি নাও। 'প্রত্যেকেই এতটা সহযোগিতা করেছেন যা অভাবনীয়। আমাদের মতো তরুণ চলচ্চিত্র পরিচালকদের কাছে এটা একটা অ্যাচিভমেন্ট। রাজেশ শর্মা এসে সকাল ১০ টা থেকে বসে রয়েছেন , ৪টে পর্যন্ত তাঁর শট হয়নি ,আমি যখন বলছি দাদা আরেকটুখানি , উনি বলছেন 'ঠিক আছে তুই তোর মতো শট নে, কোনও চাপ নেই, আমি টাইম যখন দিয়েছি পুরোটাই আমি থাকব'। আমরা রাস্তাঘাটে যখন শ্যুট করেছি তখন তাঁরা পুরোটাই কো-অপরেট করেছেন। তাঁদের বার্তা, 'সিনেম্যাটোগ্রাফিটা ভালো হোক, স্টোরিটা ভালো হোক ,আমাদের কোনও রিল্যাক্সেশন দরকার নেই'। এটা সব্বাই করেছেন।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা - এর পরের প্রজেক্ট নিয়ে যদি কিছু বলেন..
অমিতাভ- পরের প্রজেক্ট নিয়ে এই মুহুর্তে কিছু বলতে চাইছি না। পরের প্রজেক্ট নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছি না। কারণ সেটা এখনও ঠিকঠাকভাবে তৈরি করা হয়নি আর কি ! সেটা সাইকো থ্রিলার হতে পারে, পকিটিক্যাল ড্রামা হতে পারে, পলিটিক্যাল অ্য়াকশন থ্রিলার হতে পারে , দেশভাগ নিয়ে একটা কিছু হতে পারে...
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা - 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর'-এর যে কোনও লেখা নিয়ে বাংলা ছবি করাটা কী বাড়তি চাপ মনে হয় ?
অমিতাভ- মনে হয়(সম্মতির সুরে)! আমার কাছে সত্যিকারের ঠাকুর হল রবি ঠাকুর। যে ঠাকুরকে আমি অনুভব করতে পারি। রবি ঠাকুর আমাদের থেকে এতটাই এগিয়ে.... এত যোজন এগিয়ে যে , তাঁকে ব্য়খ্যা করাটাই ভীষণ কঠিন হয়। এবং তাঁর কথার একটা মানে , আর কথার অন্তর্নিহিত আরেকটা মানে...উনি তো কালজয়ী একজন ... অবশ্যই ভীষণ কঠিন মনে হয় আমার কাছে। ভীষণ, ভীষণ কঠিন!
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা- ব্যক্তি অমিতাভ ভট্টাচার্য থেকে পরিচালক অমিতাভ ভট্টাচার্য হওয়ার রাস্তাটা কেমন ছিল ?
অমিতাভ- ভীষণই কঠিন। কারণ, একটা কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে দেওয়া, একটা সাবলীল সুন্দর কম্ফর্টেবল জীবন ছেড়ে দেওয়া, অনিশ্চয়তাই তো এখানে একমাত্র নিশ্চয়তা! .. সেটার পেছনে দৌঁড়ানো , শুধুমাত্র আমার কাছে আমার সিনেমাটা আমার কিছু কথা বলার জন্য। সেটা হতে পারে আমার রাজনৈতিক কথা, আমার কোনও মানসিক কথা, এই কথাগুলো বলার মাধ্যম হল সিনেমা। মাধ্যমটাকে বাছতে গিয়ে জীবনে অনেক কিছু হারাতে হয়েছে,স্বাভাবিকভাবেই। ব্যাপারটা অনেকটা বরফের মতো! ওপরে বরফ যতখানি ভাসছে তার নীচে সমুদ্র ৬ গুণ বেশি রয়েছে, তো ব্যাপার যেটা হল, যথটুকু আমি আছি ওপরে ,তার ৬ গুণ নীচে আমার ব্য়র্থতা রয়েছে। যদি ওপরে কিছু থাকে...!
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা- আপনার প্রিয় বাংলা ছবির পরিচালক কে?
অমিতাভ- একজন নয়। ৩ জন খুব প্রিয় পরিচলাক রয়েছেন বাংলা ছবির ক্ষেত্রে। প্রথম হলেন ঋত্বিক ঘটক, দ্বিতীয় সত্যজিত রায়, তৃতীয় মৃণাল সেন।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা- ঋতুপর্ণ পরবর্তী সময়ে বাংলা 'সমান্তরাল ছবি' কি আরও পরিণত হয়েছে বলে আপনার মনে হয়?
অমিতাভ- আসলে, বাংলা অডিয়েন্সকে নিয়ে তো বাংলা ছবি বানাতে হয়..এটা একটা বড় চাপ। কারণ আমরা গোয়েন্দা গল্প বেশি ভালোবাসি, আমরা মানসিক টানাপোড়েন বেশি ভালোবাসি,... সারা পৃথিবী, ইওরোপ একটু অন্য ঘরানায় ছুটছে, তো আমি যদি সেই অন্য ঘরানার সঙ্গে দৌড়তে যাই, তাহলে আমি ব্যার্থ হব। যাঁরা যাঁরা সেটা করতে গেছেন, তারা মোটামুটিভাবে হয়েছেন, আমি প্রথম ছবিতেও তাই হয়েছি। ব্যাপর হল, বাঙালি সেন্টিমেন্ট হল সম্পূর্ণ আলাদা সেন্টিমেন্ট, সেটাকে নিয়ে যাঁরা ছবি বানাচ্ছেন... (একটু থেমে)বাংলা ছবির আলাদা ঘরানা রয়েছে, ভালো ছবি তৈরি হচ্ছে , কনটেন্ট গুলো আসতে আসতে পরিণত হচ্ছে এবং সেই কনটেন্ট নিয়ে ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। তবে সিনেমা মানেই তো গল্প বলা নয়। এটাই একটা ব্যাপার.. বাংলা ছবির একটা ঘরানা রয়েছে... যে ঘরানাটাকে আসতে আসতে ব্রেক করতে হচ্ছে, কিন্তু সহজে ব্রেক করা যায়না। যায়নি... যাবেও না।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা- কোনও ড্রিম প্রজেক্ট, বা কোনও বিশেষ অভিনেতাকে নিয়ে ছবি করার ইচ্ছে রয়েছে কী? এ নিয়ে যদি কিছু বলেন?
অমিতাভ- আসলে বাংলা ছবি বানাই তো... এমন বাজেটের ছবি বানাতে হয় যে বড় কিছু ভাবতেই পারি না। আর সত্যি কথা বলতে কী .. ইচ্ছে আছে,মনোজ বাজপাইকে নিয়ে একটা ন্যাশনাল লেভেলে কাজ করার, দেখি কতদূর সেটা হতে পারে!
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা- সেটাকেই কী পাখীর চোখ করে এগোচ্ছেন ?
অমিতাভ- দেখুন সেভাবে আমার পাখীর চোখ বলে কিছু নেই। কথাবার্তা যদি ঠিকঠাক থাকে.. তাহলে হতে পারে কাজটা , আমার কনটেন্ট হল আমার ছবির মধ্যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটটা থাকবে। আমার ছবির সঙ্গে বৃহত্তর প্রেক্ষাপট জড়িয়ে থাকবে। ...
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা- কার অভিনয় আপনার ভালোলাগে ?
অমিতাভ- নাসিরুদ্দিন শাহকে আমার ভীষণ ভালো লাগে। এখন যদি বলা যায়, মনোজ বাজপেয়ী,নওয়াজউদ্দিন, ইরফান খানকে আমার ভালো লাগে।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা- বাঙালী অভিনেতাদের তালিকায় সবচেয়ে আগে...
অমিতাভ- সৌমিত্রবাবুকে খুব ভালো লাগে, উত্তমবাবুকে ভালো লাগত, পাহাড়ী সান্যালকে খুব ভালো লাগত। আর সবার উপরে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা- 'রক্তকরবী' নিয়ে দর্শকদের কী বললেন?
অমিতাভ- রবীন্দ্র নাটক দেখেছেন পড়েছে, আপনাদের থেকে সমালোচনা আশা করি। আপনারা আসুন, হলে গিয়ে সমালোচনা জানান। আপনাদের সমালোচনার ওপর নির্ভর করছে আগামী ছবির মুভমেন্টগুলো কোনদিকে যাবে। .. আপনাদের সহযোগীতা চাই.. আর্শীবাদ চাই, সর্বোপরি চাই আপনারা হলে গিয়ে রক্তকরবীটা দেখুন। বাংলা সিনেমা দেখুন, বাংলা সিনেমা যাতে এগিয়ে যায়... । কারণ বাংলা সিনেমা এখন খুবই কঠিন মুহুর্কে দাঁড়িয়ে পড়েছে।...জিএসটি সংক্রান্ত বিষয়.. হল মালিকদের সঙ্গে প্রডিউসারদের সমস্যা..সবাই খুব টানাপোড়েনের মধ্যে দাঁড়িয়ে পড়েছি। আর রিজিওনাল ফিল্মের যেটা সমস্যা এই স্বল্প বাজেটের ছবি.. যদি তার মদ্যে করের বোঝা চেপে যায়, তাহলে তো নাভিঃশ্বাস উঠে যাবে। হল মালিকেরও উঠবে, প্রডিউসারেরও উঠবে।