দীপিকা আখ্যান: টলিউডের ৩ কন্যেও এবার স্তন বিভাজিকা প্রদর্শনের স্বাধীনতা নিয়ে সোচ্চার
ক্ষিপ্ত দীপিকার জবাব, হ্যাঁ আমি নারী, আমার স্তন বিভাজিকাও রয়েছে, তাতে কার কী? দীপিকাকে শান্ত করতে সংবাদপত্রের জবাব, বিষয়টিকে প্রশংসা হিসাবে নিন। ব্যস আর কী বোমার সলতেতে আগুন লেগে গেল। সিংহভাগ বলিউড ঝাঁপিয়ে পড়ল দীপিকার সমর্থনে। তাতেও শান্ত হলেন না দীপিকা। আগুন লাগা বোমা তো ফাটলই উল্টে ফেসবুকে 'মাই পয়েন্ট অফ ভিউ' (আমার দৃষ্টিভঙ্গি) আরও একটি বোমা দেগে বসলেন দীপিকা। ব্যস আর মজা নয় এবার অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে "ডিয়ার দীপিকা, আওয়ার পয়েন্ট অফ ভিউ" শীর্ষক প্রতিবেদনে তার জবাব দিল সংবাদপত্র। দীপিকার বক্তব্যের প্রত্যেকটি ইস্যু ধরে যুক্তিসঙ্গত সওয়াল তুলল তারা। বলল দীপিকা ভণ্ডামি করছেন। অথচ একটা ছোট্ট ক্ষমা প্রার্থনা করলেন না।
এই গোটা ইস্যুতে দীপিকার পক্ষ নিয়েছেন বলিউডের বহু অভিনেত্রী। পিছিয়ে থাকলেন না টলিউড অভিনেত্রীরাও। টেলিগ্রাফ কাগজে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নারী শরীর ও স্তন বিভাজিকা প্রদর্শের স্বাধীনতা নিয়ে মুখ খুলেছেন টলিউডের তিনকন্যা।
ঋতুপর্ণা
সেনগুপ্ত,
অভিনেত্রী
আমার
পুরুষদের
কাছে
একটাই
আবেদন
আছে
,
আদিম
মানসিকতা
থেকে
বেরিয়ে
আসুন।
সংবেদনশীল
হোন।
মানুষ
হোন।
যখন
কোন
মহিলা
পোশাকের
মাধ্যমে
স্তন
বিভাজিকা
প্রদর্শন
করেন
তা
কখনওই
আপনাদের
উত্যক্ত
করার
জন্য
নয়।
তিনি
কোন
পোশাক
পড়বেন
বা
পড়বেন
না
তা
তাঁর
জন্মগত
অধিকার।
সিনেমায়
বা
সামাজিক
বিভিন্ন
অনুষ্ঠানে
আমি
খোলামেলা
পোশাক
পড়ি।
যদিও
আমার
সহকর্মীরা
আমাকে
ও
আমার
কাজকে
সম্মান
করেন,
তাও
কখনও
আমার
পরিবারের
পুরুষ
সদস্যদের
বলতে
শুনি
তাঁর
মেয়েকে
কখনও
অভিনেত্রী
হতে
দেবেন
না,
কারণ
মিনি-স্কার্টে
তিনি
তাকে
সহ্য
করতে
পারেন
না।
একজন
মহিলার
শুধুমাত্র
স্তন
ও
স্তন
বিভাজিকা
ছাড়াও
আরও
অনেককিছু
রয়েছে।
আমি
পর্দায়
আমার
শরীর
দেখাতে
পারি
কিন্তু
আমি
একইসঙ্গে
জাতীয়
পুরস্কারপ্রাপ্ত
অভিনেত্রীও
বটে।
স্বস্তিকা
মুখোপাধ্যায়,
অভিনেত্রী
শুধু
স্তন
বিভাজিকা
কেন
পিঠখোলা
ব্লাউজ
পড়লেও
লোকে
ট্যারা
চোখে
আমার
দিকে
দেখে।
এমনকী
পুরুষেরা
অত্যন্ত
কামাতুর
দৃষ্টিতে
তাকায়
এবং
মহিলাদের
উচিত
মাথা
থেকে
পা
অবধি
ঢেকে
রাখা
গোছের
কিছু
নোংরা
মন্তব্যও
করেন।
একজন
অভিনেত্রী
হিসাবে
আমি
বলব,
কারোও
নিষেধ
স্খলনের
জন্য
প্রথমেই
এমন
পোশাক
পরা
উচিত
যাতে
শরীর
দেখা
যায়।
আমাদের
পেশার
চাহিদাই
এটা।
কেউ
তর্ক
জুড়তে
পারেন
অভেনেত্রী
রেখার
প্রসঙ্গ
টেনে।
তিনি
সবসময়
পিঠঢাকা
ব্লাউজ
পড়েন
শাড়ির
সঙ্গে।
কিন্তু
পুরুষের
কটাক্ষ
নজর
কী
তাতে
এড়াতে
পেরেছেন
তিনি?
মহিলাদের
শীরিরিক
সম্পদ
রয়েছে,
তারা
তা
ঢাকবেন
না
দেখাবেন
সেটা
সম্পূর্ণ
তাদের
ব্যাপার।
আমার
প্রসঙ্গে
বলতে
পারি
খোলামেলা
পোশাকে
যাতে
আমার
স্তন
বিভাজিকাও
দেখা
যাবে
তাতে
আমি
স্বচ্ছন্দ।
এমনকী
পিঠখোলা
ব্লাউজেও।
কোনও
পুরুষ
তাতে
আমায়
কটাক্ষের
চোখে
দেখছে
কি
না
আমি
তাতে
পরোয়া
করি
না।
আমি
আমার
শরীর
নিয়েও
স্বচ্ছন্দ
বোধ
করি।
পাওলি
দাম,
অভিনেত্রী
আমার
মনে
হয়নি
কেউ
আমাকে
লালসার
চোখে
বা
কটাক্ষের
চোখে
দেখছে।
আমি
কখনও
পোশাকের
জন্য
বিব্রত
বোধও
করিনি।
আমি
যদি
কোনও
পার্টিতে
পরার
জন্য
কোনও
এমন
পোশাক
বেছে
নিই
যাতে
আমার
স্তন
বিভাজিকা
দেখা
যাবে
এবং
যদি
লক্ষ্য
করি
কোনও
পুরুষ
আমার
স্তন
বিভাজিকার
দিকে
তাকিয়ে
রয়েছে,
তাহলে
আমার
কেন
খারাপ
লাগবে?
আমি
বলতে
চাইছি
আমি
নিজেই
তো
এই
পোশাকটা
বেছেছিলাম
পরার
জন্য,
তাই
না?
কোনও
পুরুষ
যদি
আমার
দিকে
তাকায়
আমি
সেটাকে
প্রশংসা
হিসাবেই
গ্রহণ
করব।
কিন্তু
কেউ
যদি
আমার
মুখের
উপর
নোংরা
মন্তব্য
করেন
তাহলে
আমাক
খারাপ
লাগবে।
কিন্তু
এখনও
পর্যন্ত
এমন
কোনও
নোংরা
ঘটনা
ঘটেনি
আমার
সঙ্গে।
যতদূর
ট্যারা
চোখে
তাকানোর
প্রসঙ্গ
আসছে,
আমি
বলব
সবাই
ভাল
জিনিসের
দিকে
তাকায়
কটাক্ষ
করে।