ইনি বলিউডের প্রথম নায়িকা যিনি তিন তালাকের শিকার হয়েছিলেন
বলিউডের ষাটের দশকের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী মীনা কুমারী ওরফে মেহজবিন বানো তিন তালাকের শিকার হন।
সারা দেশ আজ তিন তালাকের অসাংবিধানিক ঘোষণা হওয়ার খুশিতে আনন্দিত। সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে তিন তালাক প্রথাকে অসাংবিধানিক বলে ব্যাখ্যা করেছে। একইসঙ্গে ছয়মাসের মধ্যে নতুন আইন প্রণয়ন করে কেন্দ্রকে তা বলবৎ করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে জানেন কি বলিউডে এই ঘটনা প্রথম কার সঙ্গে ঘটেছিল?
বলিউডের ষাটের দশকের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী মীনা কুমারী ওরফে মেহজবিন বানো তিন তালাকের শিকার হন। বলিউডের ট্যাজেডি কুইন বলে পরিচিত ছিলেন মীনা কুমারী। বছরের পর বছর ধরে নিজের অভিনয় দিয়ে দর্শকের মন ছুঁয়ে গিয়েছেন। তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেও অত্যন্ত চড়াই-উতরাই ছিল। অনেক অপমান, গঞ্জনা ও সবশেষে তিন তালাকের বোঝা তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে।
তিনি সিনেমা নির্মাতা কমল আমরোহীর প্রেমে পড়ে তাঁকে বিয়ে করেন। যিনি ১৯৫২ সালের অবিস্মরণীয় সিনেমা পাকিজার পরিচালক। এই সিনেমার কিছুদিনের মধ্যেই বিয়ের আনন্দ বদলে যায় দুঃখে। সেইসময় নাকি কমল আমরোহী রাগে মীনা কুমারীর সঙ্গে বিচ্ছেদ করে নেন তিন তালাকের মাধ্যমে।
পরে যখন দুজনে ফের বিয়ে করবেন বলে মনস্থির করেন, তখন মীনা কুমারীকে আর এক ধরনের মুসলিম প্রথা নিকাহ হালালার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। যে প্রথায় বিবাহ বিচ্ছেদ করা মহিলাকে প্রথমে অন্য কাউকে বিয়ে করতে হয়। তাঁকে সুখী করতে হয়। তারপর তাঁর থেকে মৌখিক সম্মতির মাধ্যমে বিচ্ছেগ ঘটিয়ে প্রথম স্বামীকে বিয়ে করতে হয়। এবং এটা করতে হয় মহিলাদেরই, পুরুষদের নয়।
মীরা কুমারী সেইসময়ে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী জিনাত আমানের বাবা আমান উল্লাহ খানকে। পরে একমাস পরে বিচ্ছেদ করে ফের কমল আমরোহীকে বিয়ে করেন।