(ছবি) কঙ্গনা রানাউতের এই বিতর্কিত মন্তব্য নড়িয়ে দিয়েছে গোটা বলিউডকে
হিমাচল প্রদেশে জন্মগ্রহণ করা কঙ্গনা রানাউত এই মুহূর্তে বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেত্রী। প্রথমে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। পরে নিজে থেকে কিছু করে দেখাতে চেয়ে মাত্র ১৬ বছর বয়সে দিল্লি পাড়ি দেন।
হিমাচল প্রদেশে জন্মগ্রহণ করা কঙ্গনা রানাউত এই মুহূর্তে বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেত্রী। প্রথমে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। পরে নিজে থেকে কিছু করে দেখাতে চেয়ে মাত্র ১৬ বছর বয়সে দিল্লি পাড়ি দেন। হয়ে যান মডেল। সেখান থেকে সিনেমার জগতে আসা।
২০০৬ সালে গ্যাংস্টার সিনেমা দিয়ে বলিউডে পা রাখেন কঙ্গনা। সেবছরই সেরা মহিলা ডেব্যু অভিনেত্রীর খেতাব পান তিনি। এরপরে একে একে-ওহ লমহে, লাইফ ইন আ মেট্রো, ফ্যাশন, তনু ওয়েডস মনু করার পরে কুইন সিনেমা করে সকলের নয়নের মণি হয়ে উঠেছেন তিনি। তবে বিতর্কও কিছু কম হয়নি কঙ্গনাকে নিয়ে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কঙ্গনার কিছু মন্তব্য যা বলিউড সিনেমা জগতে শিহরণ সৃষ্টি করেছে।
নিজের বলিউড সফর প্রসঙ্গে
ওরা আমার উচ্চারণ নিয়ে মজা করে। আমার ইংরেজি নিয়ে ঠাট্টা করে। মানুষ কতটা খারাপ হতে পারে তা ওরা দেখিয়েছে। ওরা দুমুখো। ওরা কখনও ভাবতে পারেনি আমি কঙ্গনা রানাউত তারকা হয়ে উঠব। এবং সেই প্রযোজক ও অভিনেতাদের সঙ্গে কখনও কাজ করব না।
ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপন না করা
যখন আমি ছোট ছিলাম, তখ থেকেই ফরসা হওয়ার বিষয়টি আমার বোধগম্য হতো না। ফলে তারকা হওয়ার পরে এই বিজ্ঞাপন করে কী ধরনের দৃষ্টান্ত আমি স্থাপন করতাম? ফলে এই ধরনের অফার ফিরিয়ে দিয়ে আমি একটুও হতাশ নই। আমার বোন শ্যামলা রঙের, অথচ সুন্দরী। আমি এই বিজ্ঞাপন করলে বোনকে অপমান করতাম। বোনকে যদি কষ্ট না দিতে পারি তাহলে সারা দেশকে কীভাবে আমি কষ্ট দেব?
প্রথম জীবনের কথা বলতে গিয়ে
প্রথমে যখন শুরু করেছিলাম তখন কুকুরের মতো আচরণ করা হতো। ইন্ডাস্ট্রির অনেকে এমন ব্যবহার করতেন যেন আমি অবাঞ্ছিত কেউ। আমার কথা বলারও অধিকার নেই। ফলে সকলের কাছে ধাক্কা খাওয়া আমার জীবনের অংশ হয়ে গিয়েছিল।
ইন্ডাস্ট্রির গতানুগতিকতা নিয়ে
এই জগত একপেশে। এখানে মেয়েদের 'গ্ল্যামার ডল', অথবা নগণ্য ছাড়া আর কিছু ভাবা হয় না। ফলে এটাই সঠিক সময় যখন আমাদের উচিত নিজের সত্ত্বাকে জাহির করার।
করণ জোহরকে স্বজনপোষণের বাহক প্রসঙ্গে
আমার বায়োপিক তৈরি হলে, করণ জোহর হবে স্টিরিওটাইপ বলিউডের বড় মাথা যে বাইরের জগতের কারও এগিয়ে আসা মেনে নিতে পারে না। তাদের প্রতি অসহিষ্ণু ও স্বজনপোষণের ধারক ও বাহক।
তাঁকে সাইকোপ্যাথ বলা প্রসঙ্গে
যখন মহিলাদের সম্পর্কে কেউ ঈর্ষান্বিত হয় তখন প্রথমে মহিলাটি হয় ডাইনি, পরে বেশ্যা, এবং আরও বেশি সফল হলে তাঁকে সাইকোপ্যাথ বলে ডাকা হয়।
হৃত্বিকের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে
সারা পৃথিবীর সামনে নগ্ন অনুভব করানো হল আমাকে। আমি সারারাত ঘরে কেঁদেছি। যা খবর বেরিয়েছে তার বেশিরভাগই সত্যি নয়। সকলে আমাকে হাসির পাত্র বানিয়েছেন। বন্ধুদের মাঝেও আমি হাসির পাত্র হয়েছি।