Just In
(ছবি) ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে যে তথ্যগুলি আপনার জানা প্রয়োজন
এই বর্ষার সময়ে কলকাতা সহ রাজ্যের নানা প্রান্তে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে রমরমিয়ে। যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা কম, তাদের এরকম নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সবচেয়ে বেশি।
মশার কামড়ে এই সময়ে বহু রোগ হয় মানুষের। ডেঙ্গুর মশা কামড়ানোর পরই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। জ্বরের পাশাপাশি নানধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। আর এই রোগে প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যান। নিচের স্লাইডে দেখে নিন, কীভাবে ওইটুকু মশা আপনার জীবন ব্যতিব্যস্ত করে তুলতে পারে।
কোন মশা ডেঙ্গুর বাহক
সাধারণত এডিস মশার কামড়েই এই রোগ হয়। আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড়ানোর পর ফের একবার ওই মশা অন্যজনকে কামড়ালে অন্যের দেহে ডেঙ্গুর জীবাণু প্রবেশ করে।
মশা কামড়ানোর পছন্দের জায়গা
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ডেঙ্গুর মশার কামড়ের পছন্দের জায়গা হল কনুঁইয়ের কাছে বা হাঁটুর নিচে কোনও জায়গা।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
ডেঙ্গু হলে শরীরের নানা জায়গার গাঁটে ব্যথা ও মাংসপেশিতে ব্যথা হবে। এছাড়া মাথাব্যথা, জ্বর, ক্লান্তি ও সারা শরীরে জ্বালা অনুভূত হবে।
ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে
সাধারণত ১০-১৪ দিন ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ থাকে। পরের এক সপ্তাহও ক্লান্তি অব্যাহত থাকে।
কারা আক্রান্ত হতে পারেন
যেকেোনও ব্যক্তিই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন। ফলে নিজের থাকার জায়গাটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা সবার আগে প্রয়োজন।
ডেঙ্গু ফলে শরীরের কোন অংশ আক্রান্ত হয়
মস্তিষ্ক থেকে শুরু করে নার্ভাস সিস্টেম, গোটাটাই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে। ফলে ডেঙ্গু হয়েছে জানতে পারলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সমস্ত পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
চিকিৎসকেরা কি বলছেন এ প্রসঙ্গে
ডেঙ্গু হলে সবসময়ই পুরোপুরি বেড রেস্ট নেওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকেরা। বিশ্রাম নিলে ও ওষুধ খেলে ধীরে ধীরে ডেঙ্গু সেরে ওঠে।
ডেঙ্গুর প্রভাব
মাংসপেশিতে যন্ত্রণা, গাঁটে ব্যথা, দুর্বলতা ইত্যাদি রোগ সারার পরও বহুদিন থেকে যায়। এই সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসায় অন্য রোগ সহজেই বাসা বাঁধতে পারে শরীরে।
ডেঙ্গু কি সংক্রামক
না। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে থাকতে কোনওরকম সমস্য়া হওয়া উচিত নয়। তবে তা সংক্রামিত হয় মশার কামড়ের ফলে।
কী খাবার খাবেন না এই সময়ে
ডেঙ্গু, টাইফয়েড ইত্য়াদি রোগ হলে বাইরের সমস্তরকম জাঙ্কফুড ও ফাস্টফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
কী খাবেন এই সময়ে
লেবু, পেপে, ভেষজ চা, ফলের রস, প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে পারবেন তবে তেল-মশলা একেবারেই খাওয়া যাবে না।
কোন ওষুধ খাবেন না
এমন সময়ে কোনওরকম ব্যথার ওষুধ খেতে নেই। একান্তই প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তবেই তা খাওয়া উচিত।
রোগ সারলে কী করবেন
কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে নিয়মিত যোগা ও অন্যান্য ব্যায়াম করতে পারেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন প্রোটিন ও ভিটামিন জাতীয় খাবার খেতে হবে এইসময়ে।
ডেঙ্গুতে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা
অবশ্যই। ফি বছর রাজ্যের নানা জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করিয়ে বহু মানুষ মারা যান। তাই জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।