Just In
(ছবি) অ্যানিমিয়ার সমস্যা দূর করবে এইসব খাবার
রক্তের একটি খুব পরিচিত সমস্যা হল অ্যানিমিয়া। যখন কারও রক্তে লহিত কণিকা বা হিমোগ্লোবিন কমে যায় তখন অ্যানিমিয়ার সমস্যা দেখা দেয়। [অনিয়মিত রক্তচাপের জেরে কী কী সমস্যা হতে পারে জানেন কি?]
হিমোগ্লোবিনের সাহায্যেই শরীরের নানা অঙ্গে রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন পৌঁছয়। ফলে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে শরীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয় ও খুব তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ি আমরা। [উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন এই সহজ উপায়ে]
পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের অ্যানিমিয়ার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে অনেক বেশি। শরীরে ভিটামিন বি১২ ও আয়রনের মাত্রা কম থাকা, বয়স, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, ধূমপান ইত্যাদি নানা কারণে অ্যানিমিয়ার সমস্যা হতে পারে। [কীভাবে বুঝবেন শরীর ক্ষতিকর টক্সিনে ভরে গিয়েছে]
এর লক্ষণও একএকজন মানুষের ক্ষেত্রে একএকরকমের। সাধারণভাবে অলসতা, ক্লান্তি, দুর্বলতা, বমি বমি ভাব, অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়া, পায়খানার সঙ্গে রক্তক্ষরণ, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, অল্পতেই ঠান্ডা লাগা ইত্যাদি অ্যানিমিয়ায় আক্রান্তদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। [নিমেষে নিজেকে রিফ্রেশ করবেন কীভাবে, জেনে নিন]
নিচের স্লাইডে দেখে নিন, অ্যানিমিয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কোন কোন খাবার খেতে মন দেবেন। [ডেঙ্গু রোগ বোঝার সবচেয়ে সহজ উপায়]
বীট
বীট খেলে রক্ত হয়, ছোটবেলায় এই কথাটি আমরা অনেকেই শুনে থাকি। এবং এর সত্যতা রয়েছে। অ্যানিমিয়ায় আক্রান্তদের বীট খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। এতে রয়েছে আয়রন যা রক্তের মাধ্যমে সারা শরীরে অক্সিজেন পৌঁছতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।
বেদানা
বেদানাতেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিন সি। রক্তের সচলতা বাড়ায় এটি। একইসঙ্গে দুর্বলতা, ঘুম-ঘুম ভাব কাটিয়ে উঠতেও সাহায্য করে।
টোম্যাটো
টোম্যাটোতেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা অ্যানিমিয়ার সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। ভিটামিন সি শরীরে আয়রনকে মিশে যেতে সাহায্য করে। ফলে অ্যানিমিয়ার হাত থেকে মুক্তি মেলে সহজেই।
পালং শাক
অ্যানিমিয়ার হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে পালং শাক। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্য়ালশিয়াম, ভিটামিন এ, ই, সি, বি৯। এছাড়াও রয়েছে আয়রন, ফাইবার সহ নানা উপযোগী উপাদান যা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধক।
সয়াবিন
সয়াবিনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিন। এর মধ্যে থাকা অন্য উপাদানও অ্যানিমিয়ার সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে।
রেড মিট
মাটন, বিফ বা ল্যাম্ব যেকোনও ধরনের রেড মিটেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা সহজেই রক্তে মিশে যায়। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন বি যা অ্যানিমিয়ার হাত থেকে বাঁচায়।
ডিম
ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস থাকে। ফলে তা অ্যানিমিক অবস্থা কাটাতে সাহায্য করে। ডিমের কুসুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা স্বাভাবিকভাবেই রক্তে লোহিতকণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে।