Just In
- 13 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 14 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 16 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 19 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
(ছবি) এই ৭ লক্ষণেই বোঝা যায় আপনি নিজেকেই অসম্মান করছেন!
প্রত্যেক মানুষের নিজেদের কিছু অনন্য গুন রয়েছে। যা তাদেরকে অন্যদের থেকে আলাদা করে। কখনও আমরা তা নিজে থেকে বুঝি। কখনও আবার তা বোঝার জন্য অন্যদের সাহায্য লাগে। আর আমাদের উচিত নিজেদের ভিতরের সেই বিশেষ গুনকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলা।[(ছবি) বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলেমেয়েকে এই উপদেশগুলি দয়া করে দেবেন না!]
কিন্তু অনেক সময়ই তা হয় না। পরিস্থিতির চাপে, আমরা সমঝোতার পথে এগোই অন্যদের কথা ভেবে বাঁচতে শুরু করি। কিন্তু তা বলে নিজেকে অসম্মান করা কখনওই উচিত নয়। সবসময় মনে রাখা উচিত আপনি নিজে যদি নিজেকে প্রাপ্য সম্মান না দিতে পারেন তাহলে অন্য লোকে কী করে দেবে? ['সমকামী স্বামীর অত্যাচারের' জেরে আত্মহত্যা করলেন এইএমস চিকিৎসক!]
আপনি নিজেকে যে নিজের অজান্তেই অসম্মান করছেন তা বোঝার জন্য এই ৭ লক্ষণই যথেষ্ট। আপনি জানতে চান কী কী সেই লক্ষণ? নিচের স্লাইডে ক্লিক করে জেনে নিন। [(ছবি) সঙ্গীর পাশে শোওয়ার স্বাস্থ্যকর উপযোগিতা!]
সবাইকে হ্যাঁ বলা
সবার সঙ্গে ভাল হয়ে চলাটা নিজের ক্ষেত্রেই কখনও কখনও বিপজ্জনক হতে পারে। নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে খালি অন্য কারোর চোখে ভাল হতে গিয়ে কোনও কাজের জন্য তাকে হ্যাঁ বলছেন মানে আপনি নিজেকে না বলছেন। তার মানে আপনি নিজেকেই অপমান করছেন।
আপনি যা নন তার অভিনয় করা
কখনও কখনও সুবিধা পাওয়ার জন্য আমরা এমন কিছু করি যা আমাদের স্বভাববিরুদ্ধ। আমরা ঠিক যেমনটা নই তেমনটাই অন্যদের কাছে জাহির করার চেষ্টা করি। যাতে অন্যদের চোখে আপনি ভাল হতে পারেন, প্রশংসা কুড়তে পারেন। কিন্তু এতে আপনি নিজেকেই অসম্মান করছেন। কারণ আপনি যেমন, তেমনভাবে নিজেই নিজেকে গ্রহণ করতে পারছেন না।
লোকের তালে তাল মেলানো
আপনার মত যখন অন্য কারোর মতের সঙ্গে মিল খাচ্ছে তখন যদি তাদের আপনি সমর্থন করেন তাতে কোনও অন্যায় নেই। কিন্তু যদি আপনার মতবিরুদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা বা প্রভাব প্রতিপত্তি দেখে অন্যদের কথার সঙ্গে তাল মেলানো মানে আপনি নিজেকে দুর্বল মনে করেন। মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাইছেন না আপনি। আপনি নিজেকেই অসম্মান করছেন।
লোকের কথায় চলেন
যদি আপনি অন্য লোকের কথা শুনে নিজে যাচাই না করেই কাজ করেন তাহলে তা কখনওই ঠিক না। এর অর্থ হল আপনার নিজস্ব মতামত নেই, আপনার নিজের উপর বিশ্বাস নেই। অন্য কেউ আপনাকে ব্যবহার করতে পারে সে সুযোগ আপনিই তাদের করে দেন। এটা করে আপনি নিজেই নিজেকে অসম্মান করছেন।
নিজের আবেগ লুকিয়ে রাখা
যা মনের মধ্যে রয়েছে তা সবার সামনে প্রকাশ করুন। কে কি ভাববে, সবাই জেনে গেলে আপনাকে প্যাঁক দিতে পারে, মজা ওড়াতে পারে এই সব ভেবে নিজের আবেগকে চেপে রাখবেন না। নিজের আবেগকে ভাসিয়ে দিন। তাতে যদি কেউ আপনাকে অপমান করে বিড়াম্বনায় ফেলে তাহলে পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করুন। আপনি ভীতু বা কাপুরুষ নন প্রমাণ করুন। না হলে যে আপনি নিজেকেই অসম্মান করবেন।
নিজের জন্য আওয়াজ তুলুন
যখন আপনি নিজের কথা না ভেবে শুধুমাত্র অন্যদের খুশি, আরামের খেয়াল রাখেন তখন তারও আপনাকে 'টেকেন ফর গ্র্যান্টেড' করে নেয় সহজেই। আপনার ভাল লাগা- খারাপ লাগা তাদের কাছে গুরুত্ব পায় না। তাই বাকিদের সঙ্গে নিজের কথাও ভাবুন। প্রয়োজনে ফোঁস করুন, নিজের গুরুত্ব সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। শুধুমাত্র বাড়ির একটি আসবাব হয়ে বেঁচে থাকা বন্ধ করুন।
বদসঙ্গে
অনেকসময়েই বিশেষ করে কলেজে-বিশ্ববিদ্যালয়ে বদসঙ্গে পরার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি থাকে। না বুঝেই ক্রমশ এইসব বদসঙ্গে জড়িয়ে পরা এবং ক্রমে নিজের সর্বনাশ করা। যারা বুঝতে পারেন না তাদের কথা আলাদা। কিন্তু অনেকেই আছেন, বুঝতে পারেন বদসঙ্গে পড়েছেন তবুও বেরিয়ে আসতে ভয় পান। এতে আপনি কার ক্ষতি করছেন? অবশ্যই নিজেরই। কখনও কাউকে নিজের জীবনের উপর ছড়ি ঘোরাতে দেবেন না। এতে আপনি নিজেকে নিজেই অপমান করবেন।