Just In
Don't Miss
(ছবি) 'হিট স্ট্রোক' সম্পর্কে যা যা জেনে রাখা প্রয়োজন
গরম যত বাড়ছে তত বাড়ছে রোগের প্রকোপ। গরমের দাবদাহে বলি যাচ্ছেন শয়ে শয়ে মানুষ। এদের মধ্যে অধিকাংশেরই প্রাণ যাচ্ছে 'হিট স্ট্রোক' হয়ে।
কী এই 'হিট স্ট্রোক' ?
আবহাওয়া ও শারীরিক অবস্থার জেরে অনেক সময় আপনি চাইলেও শরীর ঠাণ্ডা রাখতে পারেন না। প্রচন্ড গরমে অত্যন্ত পরিশ্রমের কাজ করলে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে অতিরিক্ত জল ও নুন বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরে নানারকম সমস্যা দেখা যায়। শরীরের স্নায়বিক প্রক্রিয়া ব্যহত হয়। যা হয়তো হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তি নাও বুঝতে পারেন। তবে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না করা হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
কাদের ক্ষেত্রে 'হিট স্ট্রোক' হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি?
- দুবছরের কম বয়সের শিশুদের
- বয়স্ক মানুষ
- কিডনি ও হার্টের রোগী
- যাঁদের ডায়বেটিস রয়েছে এবং নিয়মিতভাবে ইনসুলিন নিতে হয়।
হিট স্ট্রোকের উপসর্গ
জ্বর
শরীরের তাপ প্রায় ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটে পৌঁছে যায়। তাপ এর চেয়েও বেশি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামার্শ নেওয়া উচিত।
অতিরিক্ত ঘাম
হিট স্ট্রোকের প্রাথমিক উপসর্গ হলে অত্যধিক পরিমাণে ঘাম হতে থাকে। পাখার তলায় বসার পরও ঘামে জামাকাপড় চপচপে হয়ে ভিজে যায়। আবার অনেকসময় দেখা যায় প্রচন্ড ঘামতে শুরু করলেও আচমকা ঘাম বন্ধ হয়ে যায়। অর্থাৎ শরীর আর ঘাম উৎপাদন করতে পারছে না। যা হিট স্ট্রোকের ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি শতর্কবার্তা।
মাথাব্যথা
প্রচন্ড বাজে রকমের মাথা ব্যথা শুরু হয়। কখনও কখনও মাথার ভিতর বিভিন্ন ধরণের অনুভূতি লক্ষ্য করা যায়।
ত্বক
গরম কালেও ত্বর প্রচণ্ড শুষ্ক হয়ে যায়। অনেক সময় চামড়া উঠতে দেখা যায়। এছাড়াও ত্বকের ঔজ্জ্বল্য চলে যায়। এবং চামড়ার রং অনেকটা লালচে ধরণের হয়ে য়ায়। ছোট ছোট লালচে ফুসকুড়ি দেখা যায়। প্রচুর পরিমাণে ঘামাচি দেখা যায়।
হৃদস্পন্দন
হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। আর এই হৃৎস্পন্দন হারের বৃদ্ধি আচমকাই শুরু হয়। এছাড়াও শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হয়।
বমি বমি ভাব
সারাক্ষণ গা গোলাতে থাকে। মাঝে মাঝেই বমি বমি ভাব হয়। বমিও হতে পারে।
দুর্বলতা
অতিরিক্ত ঘাম বেরিয়ে যাওয়া, বমি হওয়া এমনকী বারবার পাতলা মলত্যাগের জেরে শরীর প্রচন্ড পরিমানে দুর্বল হয়ে পড়ে।
পেশীতে টান
আচমকা হাত বা বিশেষ করে পায়ের পেশী শক্ত হয়ে যায় ফলে যন্ত্রণা শুরু হয়। ঘন ঘন এধরণের উপসর্গ দেখা যাওয়াটা হিট স্ট্রোকের অন্যতম লক্ষণ।
অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
হিট স্ট্রোকের জেরে অনেকে অজ্ঞান পর্যন্ত হয়ে যেতে পারেন। যাঁদের ক্ষেত্রে ফিট-এর সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে হিট স্ট্রোকে অ্যাটাক হওয়ার বিরতি কমে যায়।
ভার্টিগো
ভার্টিগো হচ্ছে একধরণের অনুভূতি যখন আপনি সোজা দাঁড়িয়েও আছেন তখন আপনার মনে হচ্ছে আপনার চারিপাশটা দুলছে বা ঘুরছে।
অস্থিরতা ও দুশ্চিন্তা
সারাক্ষণ আপনার মধ্যে এতটা অস্থিরতা হতে থাকে। কাউকে বলে বুঝিয়ে উঠতে পারেন না। ভিতর ভিতর সবকিছু নিয়ে দুশ্চিন্তা হতে শুরু করে।
কথা বলতে ও বুঝতে সমস্যা
কারোর কথা বুঝতে এবং আপনি যা বলতে চাইছেন তা বাকিদের বোঝাতে সমস্যা হয়। কিন্তু কথা স্পষ্ট থাকে, জড়িয়ে যায় না।
হিট স্ট্রোকের মোকাবিলায় কী কী করণীয় ?
ঠাণ্ডা জায়গায় বিশ্রাম করুন
সবচেয়ে ভাল হয় শীততাপনিয়ন্ত্রিত বাতানুকুল ঘরে যদি বিশ্রাম নেওয়া যায়। অর্থাৎ যে ঘরে এয়ার কন্ডিশনার রয়েছে সেরকম কোনও ঘরে বসে বিশ্রাম করুন। তা যদি সম্ভব না হয় ছায়ায় বসুন। এবং নিজেকে হাওয়া করতে থাকুন। এই সময়ে পরিশ্রমের কোনও কাজ করবেন না।
তরল
পান
করুন
এই
সময়
নুন
চিনির
জল
বেশি
করে
খান।
না
হলেও
অতিরিক্ত
পরিমাণে
জল
খান।
উপসর্গ
কমতে
শুরু
করলে
তখন
নুন
চিনির
জল
খাওয়া
কমান
তবে
শুধু
জল
খেতে
থাকুন।
তবে
শরীর
যতই
খারাপ
লাগুন
অ্যাসপিরিন
বা
প্যারাসিটামলের
মতো
ওষুধ
ওই
মুহূর্তে
দেবেন
না।
অ্যালকোহল
এবং
ক্যাফারিন
জাতীয়
পানীয়
বন্ধ
করে
দিন
অ্যালকোহল
এবং
ক্যাফারিন
শরীরে
ডিহাইড্রেশনের
মাত্রা
আরও
বাড়িয়ে
দেয়।
তাই
এই
সময়ে
একেবারেই
অ্যালকোহল
বা
ক্যাফারিন
(অন্যতম
কফি)
বা
এইজাতীয়
কোনও
কিছুই
খায়া
উচিত
নয়।
শরীরকে
ঠাণ্ডা
রাখুন
এই
সময়
শরীর
গরম
হয়ে
যায়
বলে
শরীরকে
ঠাণ্ডা
করাটা
সবার
আগে
জরুরী।
স্বাভাবিক
তাপমাত্রার
জলে
দিনে
৪-৫
বার
চান
করুন।
বা
ঠান্ডা
জলে
তোয়ালে
ভিজিয়ে
তা
নিংড়ে
নিয়ে
গা
মুছুন
বারবার।
কপালে
বা
পায়ে
ভেজা
কাপড়
রাখতে
পারেন।
তবে
বেশিক্ষণ
ধরে
রাখবেন
না
তাহলে
গা-হাত-পা
যন্ত্রণা
শুরু
হতে
পারে।
ঢিলেঢালা
পোশাক
গরমের
সময়
মূলত
দিনের
বেলায়
সুতির
ঢিলেঢালা
পোশাক
পরুন
যাতে
হাওয়া
যাতায়াত
করতে
পারে।
সিন্থেটিক
বা
সিল্কের
টাইট
ফিটিং
জামাকাপড়
একেবারেই
এড়িয়ে
চলুন।
মালিশ
হাল্কা
হাতে
শরীরে
মালিশ
করতে
থাকুন
যাতে
রক্ত
চলাচল
স্বাভাবিক
থাকে।
ডাক্তার
অবস্থা
আশঙ্কাজনক
হওয়ার
আগে
চিকিৎসকের
সঙ্গে
একবার
পরামর্শ
করে
নিন।