ভোলানাথকে নিয়ে মজাদার কিছু বাংলা জোকস
পিটিয়ে আধমরা
পাহাড়ে উঠেছে ভোলানাথ। উঠেই সে একটা আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়ে গেল। ভোলানাথ সেই চেরাগে ঘষা মারতেই এক দৈত্য এসে হাজির হয়ে বলল, ‘হুকুম করুন আমার মালিক।' ভোলানাথ তো অবাক। খানিক পরে সে ধাতস্থ হয়ে বলল, ‘আমি তোমার কাছে তিনটি জিনিস চাইব। দিতে পারবে তো?' দৈত্য বলল, ‘জি মালিক, তবে আমার একটা শর্ত আছে। আপনাকে যা দেব, আপনার বন্ধু ওই জিনিসটি আপনা-আপনি দ্বিগুণ পরিমাণে পাবে।' ভোলানাথ তো এতে মহাখুশি। সে রাজি হয়ে বলল, ‘ঠিক আছে, তবে তাই হোক। আমাকে একটা পরশপাথর দাও দেখি।' দৈত্য ভোলানাথকে পরশপাথর দিয়ে বলল, ‘আপনার বন্ধু কিন্তু দুটি পরশপাথর পেয়েছে।' এরপর ভোলানাথ দৈত্যের কাছে ১০০ মিলিয়ন ডলার চাইল। দৈত্য ভোলানাথের হাতে ১০০ মিলিয়ন ডলার ধরিয়ে দিয়ে বলল, ‘আপনার বন্ধু এবার ২০০ মিলিয়ন ডলার পেল।' ভোলানাথের বন্ধু সবকিছু দ্বিগুণ পাচ্ছে দেখে ভোলানাথের রাগ চরমে উঠে গেল। এ ছাড়া ওই বন্ধুর ওপর খানিক রাগও আছে তার। সে ভাবল, এই তো সুযোগ! মুচকি হেসে দৈত্যকে বলল, ‘এবার আমাকে পিটিয়ে আধমরা করে দাও তো বাপু!'
টেলিভিশন ছাড়া সবকিছু চুরি হয়ে গেছে
ভোলানাথ পুলিশের কাছে গিয়ে নালিশ করল, ‘স্যার, কাল রাতে টেলিভিশনটা ছাড়া আমার বাসার সবকিছু চুরি হয়ে গেছে।' এ কথা শুনে পুলিশ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘তা চোর মহাশয় সব নিল কিন্তু টেলিভিশনটা নিল না কেন?' ভোলানাথের জবাব, ‘ওটা আর চুরি করবে কীভাবে বলেন, আমি তো তখন বসে বসে টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখছিলাম!'
বিশ্বস্ত
ভোলানাথের
সঙ্গে
তার
এক
মনোরোগ
চিকিত্সক
বন্ধুর
দেখা।
ভোলানাথ
তাকে
দেখে
অবাক
হয়ে
জিজ্ঞেস
করল,
‘আরে
গোপাল,
তুই!
আমি
তো
শুনেছিলাম
তুই
মরে
গেছিস!'
গোপাল:
হুমম,
কিন্তু
এখন
তো
জীবিতই
দেখলে,
নাকি?
ভোলানাথ:
হতেই
পারে
না!
যে
ব্যক্তি
আমাকে
এই
সংবাদ
দিয়েছে
সে
যে
তোমার
চেয়েও
বিশ্বস্ত।
কত টাকা দিতে হবে
একবার ভোলানাথ নতুন কার কিনে নিজে চালিয়ে অফিসে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় সিগন্যাল বাতি জ্বলে ওঠায় গাড়িতে বসে অপেক্ষা করছিলেন ভোলানাথ। একবার বাধ্য হয়ে ভোলানাথ ট্রাফিক পুলিশকে বললেন. ‘আচ্ছা মশাই, এ মুহূর্তে ডান দিকে যেতে হলে আপনাকে কত টাকা দিতে হবে?' ট্রাফিক পুলিশ রেগে বললেন, ‘আপনি তো আচ্ছা লোক হে! আমাকে টাকার কথা বলছেন কেন? একদম জেলে পুরে রাখব কিন্তু।' ভোলানাথ ট্রাফিক পুলিশকে একটি সাইনবোর্ড দেখিয়ে বললেন, ‘আমার কী দোষ, সাইনবোর্ডে তো আপনারাই লিখেছেন Free left turn।'