ভারতে পেট্রোলের দাম কমে দাঁড়াবে ৩০ টাকা প্রতি লিটারে!
পাঁচ বছরের মধ্যে পেট্রোলের দাম কমে দাঁড়াতে পারে ৩০ টাকা প্রতি লিটারে। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনটাই নাকি সত্যি হতে চলেছে।
আগামী পাঁচ বছরে পেট্রোলের দাম কমে দাঁড়াতে পারে ৩০ টাকা প্রতি লিটারে। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনটাই নাকি সত্যি হতে চলেছে। পেট্রোল-ডিজেলের মতো খনিজ জ্বালানির উপরে আগামিদিনে মানুষের নির্ভরতা অনেক কমে আসবে। ফলে দাম হুড়মুড়িয়ে কমে যাবে।
অন্তত এমনটাই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎবক্তা টনি সেবা। তিনি এর আগে সৌরবিদ্যুৎ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। বলেছিলেন, বর্তমানের দামের চেয়ে ১০ গুণ বেশি দাম হবে সৌর বিদ্যুতের।
টনি সেবা সিলিকন ভ্যালির উদ্যোগপতি। সৌর বিদ্যুৎ নিয়ে টনির কথা মিলে গিয়েছে। সৌর বিদ্যুতের চাহিদা আজ ঊর্ধ্বমুখী। ফলে জ্বালানি তেল নিয়ে টনির ভবিষ্যদ্বাণী পাঁচ বছর পর মিলবে কিনা তা সময়ই বলবে।
তবে অসম্ভব নয়। কারণ সেবা জানাচ্ছেন, ব্যাটারি চালিত বা সৌর বিদ্যুতে চালিত গাড়ির ব্যবহার পেট্রোলের চাহিদা কমিয়ে আনবে। ফলে ব্যারেল প্রতি পেট্রোলের দাম ২৫ ডলারে নেমে আসতে পারে। ২০২০-২০২১ সালে পেট্রোলের দাম বাড়বে, তারপর ধীরে ধীরে দাম কমতে থাকবে বলে সেবা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।
এর আগে টনি সেবা দাবি করেন, ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীর ৯৫ শতাংশ মানুষের নিজের গাড়ি থাকবে না। ফলে অটোমোবাইল শিল্প অস্বিত্বহীন হয়ে পড়বে। এছাড়া ইলেকট্রিক গাড়ি তেল শিল্পকেও বিপন্ন করে তুলবে।
কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত সমস্ত গাড়ি ইলেকট্রিকের করে দেওয়ার ব্যাপারে পদক্ষেপ করছেন বলে ঘোষণা করেছেন। অর্থাৎ আগামী ১৫ বছরের পর দেশে কোনও পেট্রোল অথবা ডিজেল গাড়ি কেনা-বেচা হবে না বলে তিনি দাবি করেছেন।
বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করলে টনি সেবার মতামত একেবারে উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। এতে কোনও সন্দেহ নেই যে আগামিদিনে ইলেকট্রিক গাড়িই বাজার দখল করতে চলেছে। এছাড়া উবার ও ওলার মতো গাড়ির রমরমা ব্যবসা দেখে এটা ধরে নেওয়া যায়, অনেকেই শেয়ার গাড়িতে যাতায়াত পছন্দ করছেন।
তেল শিল্প মার খেলে সারা বিশ্বের রাজনৈতিক সমীকরণও বদলে যাবে। কারণ এখনও বিশ্ব অর্থনীতি তেলের উপরে নির্ভরশীল। ফলে তেলের দাম কমলে আরব দেশগুলি পায়ের তলার জমি হারাবে।