ভাগ্য ও জীবন বদলাতে মেনে চলুন এই বাস্তু টিপস
আপনার বাড়িতে বাস্তুর সমস্যা আপনার জীবনে ডেকে আনতে পারে নানা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি, নানা অঘটন। তবে অন্দরমহলে বাস্তুশাস্ত্র মেনে সামান্য রদবদল জীবনে শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে।
বাস্তু শব্দের আক্ষরিক অর্থই হল বাসস্থান। সেই বাসস্থান সংক্রান্ত বিজ্ঞান বা শাস্ত্রতে বলা আছে কীভাবে পৃথিবী, জল, আগুন, হাওয়া এবং শূণ্য-এর সঠিক তালমিলে ঘরে অবস্থান করে সম্পূর্ণ সমন্বয়। আপনার বাড়িতে বাস্তুর সমস্যা আপনার জীবনে ডেকে আনতে পারে নানা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি, নানা অঘটন। তবে অন্দরমহলে বাস্তুশাস্ত্র মেনে সামান্য রদবদল জীবনে শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে।
যাঁরা ফ্ল্যাট বা পুরনো বাড়ি কেনেন তাঁদের বাস্তু নিয়ে সব থেকে বড় সমস্যায় পড়তে হয়। একটি বাড়ি বা ফ্ল্যাটের নকশা তো পুরোপুরি বদলে দেওয়া সম্ভব হয় না, তাই সামান্য রদবদলেই হোক বাস্তু-শুদ্ধি।
এই ১৫ বাস্তু টোটকা বদলে দেবে আপনার জীবন!
বাড়ি থেকে অশুভ শক্তি তাড়াবেন কী ভাবে?
আপনার বাড়িতে কি প্রতিদিন অশান্তি হয় ? ঝগড়াঝাটি রোজকার ঘটনা ? বা বাড়ির সদস্যদের অসুখ-বিসুখ লেগেই আছে ? কী করে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন, ভাবছেন ? জ্যোতিষশাস্ত্রে কিন্তু এর সমাধান আছে। বাড়িতে প্রতিদিনের অশান্তির কারণ হতে পারে নেগেটিভ এনার্জি।
আমাদের আশেপাশে যা কিছু আছে, তার সবকটি থেকেই এনার্জি নির্গত হয়। আপনি কি অজান্তেই বাড়িতে নেগেটিভ এনার্জি জমাচ্ছেন ? সামান্য কয়েকটি আদল-বদল করে বাড়িতে সুখশান্তি ফিরিয়ে আনতে পারেন।
কী করে ? জেনে নিন এখানে।
- ফেংশুই মতে সি সল্ট ঘরে রাখা অত্যন্ত শুভ। ঘরের নেগেটিভ এনার্জে দূরে সরায় সি সল্ট। একটা পাত্রে খানিকটা সি সল্ট ঘরে উত্তর-পূর্ব অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে রেখে দিন। প্রতিদিনের ঘর মোছার জলেও কিছুটা সি সল্ট মিশিয়ে নিতে পারেন।
- ঘরের কার্পেট ও রাগে ধুলো জমে থাকলে, তা থেকে নেগেটিভ এনার্জি নির্গত হয়। সপ্তাহে অন্তত একদিন করে কার্পেট ও রাগ পরিস্কার করুন। ধুলোবালির সঙ্গে নেগেটিভ এনার্জিও সরে যাবে।
- বাড়িতে অপ্রয়োজনীয় জিনিস জড়ো করে রাখবেন না। নষ্ট হয়ে যাওয়া জিনিসপত্র ফেলে সেখানে নতুন জিনিস আনুন। অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে দিতে দ্বিধাবোধ করবেন না। ঘর যত স্তূপীকৃত হয়ে থাকবে, ততই নেগেটিভ এনার্জির গুদাম হবে।
- ঘরের টেবিল গোছগাছ করে রাখুন। টেবিল যেন নোংরা হয়ে না থাকে। ড্রয়ারগুলিও মাঝেমধ্যে পরিস্কার করুন। ধুলোবালি নেগেটিভ এনার্জিকে আকৃষ্ট করে।
- নোংরা জামাকাপড় বাড়ির এখানে সেখানে ছড়িয়ে রাখবেন না। একটা লন্ড্রি বাস্কেটে সব গুছিয়ে রাখুন। নোংরা জামাকাপড় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকলে পজিটিভ এনার্জি আপনার বাড়ি থেকে দূরে পালাবে। আলমারির মধ্যে পরিস্কার জামাকাপড় গুছিয়ে ভাঁজ করে রাখুন।
- ঘুমের সময় ছাড়া একদম চুপচাপ ঘরে থাকা ঠিক নয়। এতে ঘরের মধ্যেকার বাতাসের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ঘরে একা থাকলে, হালকা কোনও মিউজিক চালিয়ে রাখুন।
- বদ্ধ ঘর নেগেটিভ এনার্জির গুদাম হয়ে থাকে। সব জানালা খুলে বাইরের আলো-বাতাস আসতে দিন। এতে ঘরের মধ্যের পরিবেশ উন্নত হবে। মন ভালো হবে ঘরের বাসিন্দাদেরও।
- দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় ধ্যান করুন। ধ্যান শুধু যে আপনাকে শান্ত ও সংযত করবে তাই নয়, ঘরের পরিবেশও উন্নত করতে সাহায্য করবে।
- সুগন্ধী মোমবাতি ঘরে পজিটিভ এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে। ঘরের এক কোণে সুন্দর মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখুন। দেখুন ম্যাজিকের মতো কাজ হবে।
- ঘরকে একগাদা ফার্নিচারের গুদাম করে তুলবেন না। যতটা সম্ভব ফাঁকা জায়গা রাখুন।
- টবে কিছু গাছ লাগাতে পারেন। ইনডোর প্ল্যান্ট ঘরে পজিটিভ এবার্জি আনবে। সঙ্গে পাবেন টাটকা অক্সিজেন। যা ঘরের বাসিন্দাদের মন ভালো করবে।
বাড়িতে পজিটিভিটি আনার জন্য আমরা অনেক কিছুই করে থাকি। নিজেদের সম্বন্ধকে আরও দৃঢ় করার জন্য আমরা অনেক উপায়ই করে থাকি। আজ জেনে নিন, কী কী উপায় করলে নিজের গেরস্থালিকে হাসি-খুশি রাখতে পারেন।
পাশ্চাত্য দেশগুলির পরম্পরা অনুসারে লাভ বার্ডস প্রেম এবং রোম্যান্সের প্রতীক। আবার চিনা সংস্কৃতী অনুযায়ী ম্যান্ডারিন হাঁসের জোড়া নববিবাহিত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা ও রোম্যান্সের প্রতীক। এদের বাড়ি অথবা শয়নকক্ষের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে রাখা যেতে পারে। কারণ এই কোণটি পারস্পরিক সম্বন্ধ এবং রোম্যান্সের ক্ষেত্র।
আপনি যদি বিবাহ করতে ইচ্ছুক, তা হলে এই হাঁসের চিত্র নিজের শয়নকক্ষে টাঙাতে পারেন। কিন্তু লক্ষ রাখবেন, এক জোড়া হাঁসই রাখতে হবে। একটি বা তিনটি হাঁস রাখলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। একটি হাঁস রাখলে আপনি একা থেকে যাবেন। আবার তিনটি হাঁস রাখলে, আপনার বৈবাহিক জীবনে তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশের সম্ভাবনা থাকবে।
রোম্যান্সের জন্য ক্রিস্টাল বল
বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিক ভালোবাসা, রোম্যান্সের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত। এই ক্ষেত্রর শক্তি বাড়ানোর জন্য দু'টো আসল ক্রিস্টাল বল রাখা যেতে পারে। ক্রিস্টাল বল পরিষ্কার করা জরুরি। এই বলের সঙ্গে যুক্ত নেতিবাচক শক্তি দূর করার জন্য অন্ততপক্ষে এক সপ্তাহের জন্য নুন জলে ডুবিয়ে রাখা উচিত।
ক্রিম রঙের চিনা মাটির ফুলদানি
বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে ক্রিম রঙের চিনা মাটির ফুলদানিতে হলুদ রঙের কৃত্রিম ফুল রাখুন।
লাফিং বুদ্ধার মূর্তি
ধন-সম্পত্তির জন্য লাফিং বুদ্ধার মূ্র্তি রাখতে পারেন। মুখ্য দ্বারের সামনে ৩০ ইঞ্চের উচ্চতায় একে রাখা উচিত। লাফিং বুদ্ধার মূর্তি মুখ্য দ্বারের সামনে রাখেল, বাড়িত প্রবেশকারী শক্তিকে অভিনন্দন জানায়। এই শক্তি ক্রিয়াশীল সমৃদ্ধি প্রদান করে। যদি কোনও কারণে, উক্ত স্থানে মূর্তি রাখা সম্ভব না-হয়, তা হলে পাশের টেবিলে অথবা কোণায় রাখা যেতে পারে। কিন্তু লাফিং বুদ্ধার মুখ মূল দরজার দিকেই থাকতে হবে। শয়নকক্ষ অথবা খাবার ঘরে লাফিং বুদ্ধার মূর্তি রাখতে নেই।
কারোর বাড়ীতে/ অফিসে কিংবা দোকানে শত্রু দ্বারা তুকতাক কালাযাদু, নজর লাগা ইত্যাদি জাতীয় যেকোনো রকমের ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালাজাদুর অশুভ প্রভাব থাকলে সেই কুপ্রভাব থেকে নিজেদের বাড়ীর বাস্তুকে সুরক্ষিত করবার উপায় হিসেবে অতিব সস্তায় খুবই সহজ ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুবই শক্তিশালী ও কার্য্যকরী টোটকা...!!
আমার ব্যক্তিগত জ্যোতিষ কর্মজীবনে অনেক মানুষের বাস্তু বিচার করতে গিয়ে তাদের অনেকেরই বাড়ীর বাস্তুর মধ্যে বিশেষ করে দক্ষিন-পশ্চিম কোণ বা নৈঋৎ কোণ (বাস্তুশাস্ত্র মতে সেই দিকটাই নির্দেশ দেয় যে, সেই বাড়ীতে ব্ল্যাক ম্যাজিক এর অশুভ প্রভাব পরেছে কিনা) বরাবর জায়গাটাতে এমন কিছু উপসর্গ বা বাস্তু পরিবেশ দেখে লক্ষ করেছি যে,, তাদের বাড়ীর বাস্তুতে শত্রু দ্বারা কোনো ব্ল্যাক ম্যাজিক বা তুকতাক করার জন্য তাদের জীবনে প্রতিটি কাজে তাদের বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে... হয়তো এমন পরিস্থিতির শিকার আপনিও যদি হয়ে থাকেন তো তাহলে এইসব নজর লাগা, যাদুটোনা, Black Magic এর অশুভ প্রভাব থেকে নিজের বাস্তুকে সুরক্ষিত করতে আমার অতিব সস্তায় খুবই শক্তিশালী কার্য্যকরী টোটকাটা আপনারা অনুসরণ করে দেখতে পারেন... আমি নিশ্চিত যে, আপনারা অবশ্যই সুফল পাবেন...
(১)- টোটকা করার শুভ দিন = শুক্ল পক্ষ্যের যেকোনো শনিবার দিন থেকে এটা শুরু করতে হবে... তারপরে প্রতি সপ্তাহ অন্তর পরপর শনিবার করে পুনরায় নতুন করে টোটকা করতে হবে এবং পুরোনোটা আপনাদের বাড়ীর বাস্তু থেকে দূরে বাইরে অন্য কোথাও ফেলে দিয়ে আসতে হবে... এভাবে ১৯ সপ্তাহ ধরে একটানা করে যেতে হবে... অর্থাৎ এটা সম্পূর্ণ ১৯ সপ্তাহের একটা টোটকা করার কোর্স.. এই কোর্স ঠিকঠাক যথাযতভাবে সম্পূর্ণ করলে তবেই কাজ দেবে,, আর না করলে কিন্তু কাজ দেবে না...
পুনশ্চ= টোটকা করার শুরুটা হবে শুক্ল পক্ষ্যের শনিবার,, তারপরের সপ্তাহ থেকে পক্ষ্যটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, তখন শনিবার দিনটা গুরুত্বপূর্ণ...
(২)- টোটকা করার শুভ সময় = শনিবার সূর্য্যোদয়ের পর থেকে সকাল ৯টার মধ্যে এই টোটকা করলে অধিক কার্য্যকরি হবে... একান্তই যদি কেউ এই সময়ের মধ্যে করতে না পারেন তাহলে দুপুর ১১ টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে অতি অবশ্যই করার চেষ্টা করবেন... তবে অতি অবশ্যই টোটকা করার আগে স্নান করে শুদ্ধ হয়ে নেবেন...
(৩)- উপকরন = ১ টা পাতিলেবু (অন্যকোনোও লেবু না, একমাত্র পাতিলেবু নিতে হবে), ৭ টা একটু লম্বা আকারের বোঁটা সমেত কাঁচা লঙ্কা (বেশি ঝাল হলে আরোও ভালো), আর একটা সাদা রঙের সুতো আর সুঁচ দরকার...
(৪)- টোটকা করার প্রনালী
প্রথম ধাপ = শনিবার দিন সকাল বেলা স্নানের পর একটা পাতিলেবু এবং সাতটি কাঁচা লঙ্কাকে সুঁচ দিয়ে সাদা সুতোতে গাঁথতে হবে... যেভাবে এই পোষ্টে দেওয়া ছবিতে দেখানো হয়েছে, ঠিক সেইভাবে লেবু নিচে থাকবে আর তার উপর পরপর ৭টা লঙ্কা গাঁথতে হবে...
দ্বিতীয় ধাপ = এবার এটাকে আপনাদের বাড়ী/দোকান/অফিসের (যেখানে ব্ল্যাক ম্যাজিক এর কু-প্রভাব থাকবে) প্রধান সদর দরজার উপরে মাঝখান বরাবর বাড়ীর বাইরের দিকে মাটি থেকে মোটামুটি ৬ ফুট উঁচুতে ঝুলিয়ে দিন... যদি কখনোও সদর দরজা বা প্রধান দরজার উপরে বাইরের দিকে ঝোলালে কারোর দ্বারা সেটা ছিড়ে দেবার সম্ভাবনা থাকে তো,, তখন সেক্ষেত্রে সদর দরজার ভিতর দিকে ঝুলিয়ে রাখতেও পারেন... তবে বাইরের দিকে ঝোলানোটাই বেশী কার্য্যকরী হবে...
তৃতীয় ধাপ = এবার এভাবে প্রতি শনিবার করে একটানা 19 সপ্তাহ ধরে এই টোটকা করতে হবে।
(৫)- ফলাফল = এভাবে সময় মতো মনেকরে প্রতি সপ্তাহে টোটকা-টা একটানা করা যায় তো,, তাহলে ১৯ সপ্তাহ পর নিশ্চিতভাবে ৮০ শতাংশ থেকে সম্পূর্ণ ১০০ শতাংশ পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে আপনাদের বাড়ীর বাস্তু থেকে আপনাদের শত্রু দ্বারা যেকোনো ব্ল্যাক ম্যাজিক, কালাযাদু, নজর লাগার কুপ্রভাব দূরীকরণ করতে পারবেন...