সূর্যগ্রহণ ঘিরে বিশ্বের নানা প্রান্তের এই 'কথিত' কাহিনি অবাক করার মতো
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে আফ্রিকা বিশ্বের সর্বত্রই সূর্যগ্রহণ নিয়ে রয়েছে নানা পৌরানিক কাহিনি। দেখে নেওয়া যাক, সেই সব কাহিনিকে।
সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণকে নিয়ে বহু পৌরাণিক কাহিনি পরবর্তীকালে বিশ্বাসে পরিণত হয়েছে। শুধু ভারত নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গ্রহণ ঘিরে রয়েছে একাধিক ধর্মীয় ও সংস্কৃতিগত 'বিশ্বাস'। আমেরিকা থেকে শুরু করে আফ্রিকা বিশ্বের সর্বত্রই সূর্যগ্রহণ নিয়ে রয়েছে নানা পৌরানিক কাহিনি। দেখে নেওয়া যাক, সেই সব কাহিনিকে।
[আরও পড়ুন:২১ অগাস্ট সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে এই তথ্যগুলিতে একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন]
'সূর্যকে গিলে ফেলা' -র তত্ত্ব
হিন্দু শাস্ত্রে যেমন মনে করা হয় যে রাহু গ্রাসে যাওয়ার ফলে সূর্যের গ্রহণ হয়। তেমনি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার মানুষ বহু আদিম সময় থেকেই মনে করেন যে সূর্যকে কেউ বা কারা গ্রাস করছে বলেই 'গ্রহণ' -এর মতো মহাজাগতিক ঘটনা ঘটে। ভিয়েতনামে মনে করা হয়, কোনও ব্যাঙ এসে গিলে ফেলছে সূর্যকে। ইওরোপের ভাইকিংসরা মনে করেন যে কোনও নেকড়ে এসে খেয়ে ফেলছে সূর্যকে।
শাঁখ বাজানো
হিন্দুশাস্ত্র মতে মনে করা হয় যে যেহেতু রাহু নামের রাক্ষস সূর্যকে গ্রাস করে ফেলে , তাই সেই সময়টিতে শাঁখ বাজিয়ে রাহুকে ভয় দেখানো হয়।
চুরি হয়েছে সূর্য
কোরিয়ানরা মনে করেন যে সূর্যকে চুরি করে নিয়েছে কোনও রাক্ষুসে কুকুর। কোরিয়ান লোক সঙ্গীতে এই নিয়ে বহু সুরও বাঁধা হয়েছে।
গ্রীকদের বিশ্বাস
প্রাচীন গ্রিসের পৌরনিক কাহিনিতে মনে করা হত সূর্যগ্রহণের ঘটনা মানেই কোনও না কোনও দেবদেবী রুষ্ট হয়েছেন। যার ফলে কোনও দুর্যোগের আশঙ্কা করা হত। মূলত এই মহাজগতিক ঘটনাকে নেতিবাচক চোখে দেখা হত এখানে।
উপবাস
ভারতের বিভিন্ন অংশে, সূর্যগ্রহণের সময়কালে খাওয়া দাওয়া বন্ধ রাখা হয়। অনেক এই সময়ে উপবাসও করে থাকেন।
সূর্য ও চন্দ্রের যুদ্ধ
পশ্চিম আফ্রিকার বেনিন ও টোগে উপজাতির মানুষরা বিশ্বাস করেন যে 'গ্রহণ' মানে সূর্য ও চন্দ্রের মধ্যে ক্রমাগত যুদ্ধ। তাঁদের আরও ধারণা যে একমাত্র পৃথিবীই এই যুদ্ধ মেটাতে সক্ষম।